আকর্ষণ প্রকরণ: ত্রি-লোকের যে কাউকে আকর্ষণ করার মন্ত্র
অঙ্গন্যাস— “ হ্রাং হৃদয়ায় নমঃ, হ্রীং শিরসে স্বাহা , হ্রুং শিখরৈ বষট্, হৈং কবচায় হ্রূং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্, হ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।”
তারপর দেবীর ধ্যান করে রক্তচন্দন, জবাপুষ্প, ধূপ, দীপ নৈবেদ্য দ্বারা দেবীর পূজা করবে।
ধ্যান— “ভাবয়ন্ চেতসাং দেবীং ত্রিনেত্রাং চন্দ্রশেখরাম্।
বাল্যর্ককিরণ প্রখ্যাং সিন্দুরারুণ বিগ্রহাম্ ।।
পদ্মঞ্চ দক্ষিণে পাণৌ জপমালাঞ্চ বামকে।
অনুবাদ— দেবী ত্রিনয়না। তার দেহকান্তি বাল সূর্যের ন্যায় রক্তবর্ণ ও উজ্জ্বল। তিনি চন্দ্রশেখরা, দক্ষিণ হস্তে পদ্ম এবং বামহস্তে জপমালা রুদ্রাক্ষ । এইরূপ দেবীকে চিন্তা করে যন্ত্রে পূজা করবে।
পূজামন্ত্র— “ওঁ হ্রীং ত্রিপুরায়ৈ নমঃ।”
জপমন্ত্র— “ওঁ শ্রীং ক্লীং হ্রীং ত্রিপুরে অমুকীং আকর্ষয় আকর্ষয় স্বাহা।”
উক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করলেই কার্যসিদ্ধি হবে, অর্থাৎ নারী আকর্ষিত হয়ে সাধকের কাছে আসবে। মন্ত্রে ‘অমুকীং' স্থলে অভিলষিত নারীর নাম বলবে। এই মন্ত্র প্রভাবে স্বর্গের অপ্সরাদেরও আকর্ষণ করা যায় , সামান্যা মানবী তাে কোন ছার।
গণক্কার বাণী: আপনাকে একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো অন্যায় ভাবে আকর্ষণ, বশীকরণ পাপ কার্যের মধ্যে পড়ে। এতে নিজের ক্ষতি হয়। তাই ভালো কাজে আকর্ষণ মন্ত্র যন্ত্র তন্ত্র প্রয়োগ করুন। আর একটি কথা না বললেই নয়, তাহলো গুরু ধরতে হবে। গুরুর আদেশ ছাড়া মন্ত্র কাজ করে না। গুরু ধরার আরো একটি কারণ রয়েছে। তা হল; গুরুরা বলে দিতে পারবে কিভাবে আসন করতে হয় আর কিভাবে মন্ত্রোচ্চারণ করতে হয়। এছাড়াও কোন মন্ত্র-তন্ত্র কার্যে গুরুরা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে আপনি মন্ত্র-তন্ত্র সাধনায় নানান দিক থেকে সহযোগিতা পেতে পারেন।