স্বাস্থ্য রেখা বিচার — হাত দেখার কৌশল

স্বাস্থ্য রেখা 

হস্তরেখা গুলোর মধ্যে সাস্থ্য রেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি রেখা। মণিবন্ধ হইতে বা আয়ুরেখার শেষ অংশ হইতে যে রেখা উঠিয়া বুধের স্থানাভিমুখে যায়, তাহাকে স্বাস্থ্যরেখা বলে। ( চিত্র ২ চিহ্ন ৭ )।
স্বাস্থ্যরেখা আয়ুরেখা স্পর্শ না কয়িয়া যদি বুধের স্থানে যায়, তবে জাতক দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্যবান ও ব্যবসায়ে উন্নত হয়। ( চিত্র চ ১ চিহ্ন ১ )।
আর উক্ত রেখাটি যদি আয়ুরেখা স্পর্শ করিয়া উঠে এবং বিবর্ণ হয়, তবে জাতক স্বাস্থ্য হীন, হৃদরােগযুক্ত ও মূর্ছা রােগগ্রস্ত হয়। ( চিত্র চ ১ চিহ্ন ২ )।
স্বাস্থ্যরেখা হীন হইলে জাতক সতর্ক, চতুর, স্বাস্থ্যবান, চঞ্চল ও বাকপটু হয়। স্বাস্থ্যরেখা যদি দুইটি থাকে, তবে জাতক লম্পট ও অর্থলিপ্সু হয়। ( চিত্র ১ চিহ্ন ২ )। স্বাস্থ্যরেখা তরঙ্গায়িত ভাবে থাকিলে জাতক নৈতিক চরিত্রহীন ও স্বল্পায়ুঃ হয়। ( চিত্র চ ২ চিহ্ন ১ )। স্বাস্থ্যরেখাটি যদি দুইটি শাখাযুক্ত হয়, তবে জাতক দুর্বল এবং সাধারণতঃ বৃদ্ধ বয়সে স্বাস্থ্য হীন হয়। ( চিত্র চ ২ চিহ্ন ২ )। স্বাস্থ্যরেখাটি যদি ছোট ছােট টুকরা হয়, তবে জাতক সারাজীবন রোগযুক্ত হয়। ( চিত্র চ ২ চিহ্ন ৩ )। স্বাস্থ্যরেখা, ' ভাগ্য রেখা ও শিরোরেখা মিলিয়া যদি একটী ত্রিভুজাকার ধারণ করে, তবে জাতক গুপ্তবিদ্যায় পারদর্শী, কোমল হৃদয় ও উক্ত ত্রিভুজের মধ্যে যদি নক্ষত্র চিহ্ন থাকে, তবে জাতক অন্ধ হয়। ( চিত্র চ ৩ চিহ্ন ১ )।  

স্বাস্থ্যরেখার উপর যদি ক্রস চিহ্ন থাকে এবং শিরােরেখার উপর একটি বৃত্ত চিহ্ন থাকে, তবে জাতক অন্ধ, হয়। ( চিত্র চ ৪ চিহ্ন ১ )। স্বাস্থ্যরেখার উপর যদি নক্ষত্র চিহ্ন থাকে, তবে সে ব্যক্তি সন্তানহীন ও ন্যাবা রোগগ্রস্ত হয়। ( চিত্র চ ৪ চিহ্ন ২ )। স্বাস্থ্যরেখার উপর যদি যব চিহ্ন থাকে, তবে জাতক নিদ্রাবস্থায় অলীক স্বপ্ন দেখে। ( চিত্র ৪ চিহ্ন ৩ )।
সঠিকভাবে  হাত দেখার নিয়ম শেখার জন্য গণক্কারের “ হস্তরেখা বিচার ” সূচিপত্রের বাকি পোস্ট গুলো দেখুন।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url