আধকপালি রোগের চিকিৎসা

আধকপালী নিবারণ (১) 

অনেকের মাথার বা কপালের অর্ধাংশে তীব্র যন্ত্রণা হয়, রােগী মাথা তুলতে পারে না। একে বলা হয় আধকপালী রােগ। এই রকম রােগীকে ভােরবেলা ঘুম থেকে তুলে, ঘরের কাছে চৌরাস্তায় নিয়ে যাবে। সেখানে দক্ষিণ মুখে রােগীকে দাড় করিয়ে গুড়ের ডেলা, (সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে) দাতে কেটে রাস্তার ওপর থু থু করে ফেলে দেবে। অবশিষ্ট গুড় কাছে থাকলে রােগী সেটাও রাস্তায় ফেলে দেবে, খাওয়া চলবে না। এই তান্ত্রিক প্রয়ােগে আধকপালী আরােগ্য হয়।

আধকপালী নিবারণ (২)

বিধি— শ্বেত চিরমিটী গাছের মূল জলে পেষণ করে ঘ্রাণ নিলে আধ কপালী রােগ আরােগ্য হয়।

আধকপালী নিবারণ মন্ত্র (১)

মন্ত্র— “বন্ মে জাঈ বন্দরী জো আধা ফল খাই। খড়ে মুহফদ হক পেঁ আধা শীশী জাহ।”

বিধি— গ্রহণের দিন উক্ত মন্ত্র ১০০০ (এক হাজার) বার জপ করলে সিদ্ধ হবে। এরপর শুক্লপক্ষের প্রথম বৃহস্পতিবার উক্ত সিদ্ধ মন্ত্র ১০১ বার জপ করলেও মন্ত্র সিদ্ধ হয়। এবার রােগীর মাথার যেদিকে যন্ত্রণা হচ্ছে, সেদিকে উক্ত মন্ত্র পাঠ করে ৩ বার ফু দিলে আরােগ্য হয়।

আধকপালী নিবারণ মন্ত্র (২)

মন্ত্র—
“কালী চিড়িয়া কিলকিলাে।
কালে বনফল খাঈ।
খড়ে মুহম্মদ শাহ আঁক দে
আধা শিশি জায়।”

বিধি— গ্রহণের দিন উক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) বার জপ করলে সিদ্ধ হবে। এবার রােগীকে দুপুর ১২ টার সময় কোনও খােলা জায়গায় দাড় করিয়ে সূর্যের দিকে কটকট করে চেয়ে থাকতে বলবে এবং নিজে ৩৬ বার মন্ত্র পাঠ করবে। প্রত্যেক বার মন্ত্রোচ্চারণ করে কাঠ কয়লার দ্বারা মাটিতে একটি করে দাগ দিতে থাকবে। ৩৬ বার মন্ত্র জপ করে, ৩৫ টি দাগের ওপর একটা লম্বা আড়াআড়ি দাগ দিয়ে কেটে দেবে। রােগীকে এক মিনিটের জন্য মাটির দিকে চেয়ে দেখতে বলবে। পরে পুনরায় এই ক্রিয়া করবে, এইভাবে এই প্রক্রিয়া ৩ বার করবে, ৩ বার এই প্রক্রিয়া করলে মন্ত্র জপ সংখ্যা ১০৮ হবে। এতেই রােগীর পীড়া দূর হবে। এই প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার করতে হবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url