বিভিন্ন প্রকার জ্বরের কবিরাজি চিকিৎসা
বিভিন্ন প্রকার জ্বরের তন্ত্র মতে কবিরাজি চিকিৎসা।
বিষম জ্বর নিবারণ
রবিবার দিন অপমার্গের মূল উপরােক্ত নিয়মে তুলে জলে সাতটি সূতায় টুকরাে টুকরাে করে বেঁধে রােগীর হাতে বেঁধে দিলে বিষম জ্বর নাশ হয়।রাত্রি জ্বর নিবারণ
কিছু রােগী দিনের বেলা বেশ সুস্থ থাকে, কিন্তু রাত্রে জ্বর আসে ও সমস্ত রাত্রি জ্বর ভােগ করে, ভােরে জ্বর ছেড়ে যায়। উপরােক্ত রােগীকে মকাই গাছের মূল রবিবারে তুলে এনে কানে বেঁধে দিলে রাত জ্বর আরােগ্য হয়।বিঃদ্রঃ পূর্বোক্ত নিয়মে গাছের মূল তুলতে হবে।
শীত জ্বর নিবারণ
এই জ্বর আসার সময় রােগীর হাড় পর্যন্ত শীতে কাপতে থাকে। তারপর জ্বর খুব বেড়ে যায়। এই সব রােগীর পক্ষে রসুন অত্যন্ত উপকারী। রবিবার অথবা মঙ্গলবার দিন রসুনের ৭ টি কোয়া (এক কোয়া রসুনের ৭ টি হলে খুব ভালাে হয়) পেষণ করে কালাে কাপড়ে বেঁধে রাখবে, সেই কাপড় রােগীর পায়ের বুড়াে আঙুলে বেঁধে দেবে। তিন ঘণ্টা পরে কাপড়টি খুলে নিয়ে চৌরাস্তার ওপর ছুঁড়ে দিয়ে আসবে। এই প্রয়ােগে শীত জ্বর আরােগ্য হয়।ভূত জ্বর নিবারণ
বিধি— হুড়হুড়ে গাছের মূল তুলে এনে রােগীর কানে কালাে সুতা দ্বারা বেঁধে দিলে ভূত-প্রেতের প্রকোপ জনিত জ্বর আরােগ্য হয়।বিঃদ্রঃ পূর্বোক্ত বিধিতে গাছের মূল তুলতে হবে।
এ্যাহিক বা চাতুর্থিক জ্বর নিবারণ
এই জ্বরের বিশেষত্ব হলাে, একবার জ্বর হলে, সেই জ্বর ৩/৪ দিন থাকে, তারপর জ্বর ছেড়ে যায়, রােগী কয়েকদিন ভালাে থাকে, আবার জ্বর হয় ও ৩/৪ দিন থাকে।বিধি— এই জ্বর হলে রবিবার শ্বেত অপমার্গের মূল তুলে এনে লাল কাপড়ে বেঁধে যেদিন জ্বর আসবে সেইদিন রােগীর বাম হাতে বেঁধে দিলে এই জ্বর আরােগ্য হয়।
বিঃদ্রঃ পূর্বোক্ত নিয়মে গাছের মূল তুলতে হবে।