ছেলেদের জন্য বিউটি টিপস Beauty tips for boys

সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় রূপচর্চা শুধু মেয়েদের জন্য। কিন্তু আসলে কি তাই? রূপচর্চার ব্যাপারটি কি শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য নির্ধারিত? এসব প্রশ্নে জবাব একটাই। না। প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে। সে মেয়েই কিংবা ছেলেই হােক। আর সৌন্দর্যের সাথে ব্যক্তিত্ব ওতপ্রােতভাবে জড়িত। তাই সৌন্দর্যের জন্য ছেলেদের রূপেও দরকার পরিচর্যার ছোঁয়া। আজকাল ছেলেদের মধ্যে সৌন্দর্য সচেতনতা বেড়েছে। নিজে নিজে ঘরে বসেই সৌন্দর্য চর্চা করেন অনেক ছেলেই। শহরে বিভিন্ন নামী দামী বিখ্যাত সেলুন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার ছােট খাটো সাধারণ সেলুনেও রয়েছে পুরুষের সৌন্দর্য বিকাশের নানা সুযােগ সুবিধা। যেখানে শেভ থেকে শুরু করে ফেস ওয়াশ, স্ক্র্যাব, স্টিমিং ইত্যাদির সুযােগ রয়েছে। এমনিতে ছেলেদের ত্বক মেয়েদের ত্বকের তুলনায় আলাদা। কারণ ছেলেদের ত্বকে থাকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন। ফলে ত্বক হয় পুরু ও মােটা। ছেলেদের ত্বকে তেল নিঃসরণের মাত্রাটাও থাকে বেশি। নানা কাজের ব্যস্ততায় বাইরে রােদে বৃষ্টিতে ছােটাছুটি করতে হয়। সারাদিন বাইরে থাকতে হয় বলে ত্বকের ওপর অত্যাচারের মাত্রাটাও বেশি।

ছেলেদের জন্য বিউটি টিপস

সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সৌন্দর্যের মূল কথা। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের প্রয়ােজন তাে রয়েছেই, কিন্তু তার সঙ্গেও জরুরি শারীরিক সুস্থতা। কারণ সৌন্দর্য শুধু রূপচর্চার ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে রয়েছে সিজনাল চেঞ্জ, পলিউশন, মেন্টাল স্ট্রেস, দীর্ঘক্ষণ এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে থাকার মতাে সমস্যা। তাই ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল কেয়ারের মধ্যে যথাযথ ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করুন। কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে তা জেনে নিন।

ব্যালেন্সড ডায়েট: ত্বকের সুস্থতার জন্য ন্যাচারাল ফুড জরুরি। ন্যাচারাল ফুড মানে সবজি, ফল, অঙ্কুরিত ছােলা, দই, সিরিয়াল ত্বকের পক্ষে উপকারী। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান জরুরি। এছাড়া ফল বা সবজির রসও শরীরের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য উপকারী। শরীরের প্রয়ােজন অনুযায়ী খাবারে ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম যথাযথ পরিমাণে থাকলে ব্যয়বহুল ফেশিয়াল ট্রিটমেন্টের তেমন প্রয়ােজন পড়ে না।

এক্সারসাইজ: এক্সারসাইজ রক্ত চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকলাপে সাহায্য করে। এর ফলে স্কিন ও স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন ভালাে হয়। মেন্টাল ট্রেস থেকে ত্বক ও চুলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত এক্সারসাইজ এ সমস্যার সমাধানে কাজ করে। ঘুম ও রিলাক্সেশন ডায়েট ও এক্সারসাইজের সঙ্গে জরুরি ঘুম ও রিল্যাক্সেশনের। ঘুমের সময় বডি সিস্টেম স্লো ডাউন হয়ে যায়। সেল রিনিউয়াল প্রসেস শুরু হয়।

নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে নিন: কসমেটিক ব্যবহারের আগে নিজের স্কিন টাইপ বুঝে নেওয়া সবচেয়ে প্রয়ােজন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মুখ ধােয়ার আগে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছুন। টিস্যু পরিষ্কার হলে বুঝবেন আপনার নর্মাল ও ড্রাই স্কিন। সমান্য তেলাভাব থাকলে নর্মাল ও অয়েলি স্কিন ৷ কপাল, নাক, থুতনি মুখের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা টিস্যু ব্যবহার করুন। কম্বিনেশন স্কিন কি না বুঝতে সুবিধা হবে। অয়েল গ্লান্ডের ওপর আপনার ত্বক কি ধরনের তা অনেকটা নির্ভর করে। ত্বকে সেবাম অয়েলের এ ব্যালেন্স নানা কারণে ব্যাহত হতে পারে, যেমন বেশিক্ষণ রােদে থাকা, শুকনাে আবহাওয়া, সাবান, ক্লোরিন যুক্ত পানির ব্যবহার, এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বেশিক্ষণ থাকা, হরমােনাল ইমব্যালেন্স। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, অ্যাকনে বা র্যাশের মতাে সমস্যা দেখা যায়। তাই ক্লিনজার, টোনার, ময়শ্চারাইজার কেনার সময় নিজের স্কিন টাইপের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যাগুলাের কথাও মনে রাখা দরকার। যেমন বেশিক্ষণ রােদে ঘুরে কাজ করতে হলে আপনার প্রয়ােজন সানস্ক্রিন, পলিউশনের জন্য দরকার ভালাে ক্লেনজার।

ধুলাে-ময়লা, পলিউশন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন: এয়ার পলিউশনের কারণে ত্বকের ওপর টঙ্কিন জাতীয় পদার্থ জমতে শুরু করে, ফলে স্কিন সাপাের্টিভ টিস্যু ড্যামেজড হয়। প্রে-ম্যাচিউর এজিংয়ের সমস্যা শুরু হয়। এর থেকে ত্বককে সুরক্ষার জন্য জরুরি নিয়মিত ক্লিনজিং। ক্লিনজিং ক্রিম বা ক্লিনজিং মিল্ক এ ক্ষেত্রে ভালাে কাজ করে। সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। রােদ থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি ধুলাে-ময়লা থেকে ত্বককেও রক্ষা করবে। সপ্তাহে না পারলেও মাসে অন্তত এক বার ফেসিয়াল করুন। 

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url