সকল প্রকার চিন্তা নাশক মঙ্গল দায়ক মন্ত্র
চিন্তানাশক সিদ্ধ মন্ত্র
চিন্তা মানুষকে কুড়ে কুড়ে খায়। অধিক চিন্তায় ব্যক্তি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংসারে অশান্তি দেখা দেয়, এমনকি ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকেন। আর এই চিন্তাগুলো হতে পারে সাংসারিক, আর্থিক, মানসিক এমনকি গোপন ও ব্যক্তিগত চিন্তা।
যেমন কেউ পরিবারের কারো জন্য মানসিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। সন্তান বিপথগামী হয়েছে, স্ত্রী অন্যায় পথে চলছে, পরিবারের কোন সদস্য দীর্ঘ অসুস্থতায় ভুগছেন, যুবতী মেয়ে বা কন্যাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে, বিবাহ বারবার ভেঙে যাচ্ছে ইত্যাদি। চিন্তা যাই হোক না কেন। সেই চিন্তা যদি দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়, তাহলে সেই চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করার উপায় খুঁজে বের করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় দুচিন্তা জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
সাধারণত যে পরামর্শ দেয়া হয় তাহলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং খাদ্য গ্রহণ। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজের টেনশন বা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে নেশা গ্রহণ করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করেন। তারা মনে করেন যে, মাদকদ্রব্য গ্রহণে মানসিক চিন্তা হালকা বা স্লো কাজ করে। এদিকে কিছুটা টেনশন মাথা থেকে কমে যায়। কিন্তু সত্যি বলতে মাদক মানসিক টেনশন কমায় না। বরং তাকে কুপথে নিয়ে যায় এবং খারাপ চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে তাকে বিপথগামী করে তোলে। সামাজিকভাবে অপরাধের পথে নিয়ে যায় এবং শারীরিক ভাবে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিকভাবে।
আপনি যদি সৎ চিন্তার ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং প্রকৃতির মন্ত্র শক্তির মাধ্যমে নিজের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চান। তাহলে নিম্নের মন্ত্রটি প্রয়োগ করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকরী মন্ত্র। বিধি মেনে প্রয়োগ করলে অবশ্যই সুফল পাবেন।
মন্ত্র— “ওঁ হ্রীং শ্রীং ভগবতী চিন্তামণি,
সর্বার্থসিদ্ধিং দেহি দেহি স্বাহা।”
বিধি— প্রথমে মন্ত্রসিদ্ধির জন্য আপন আপন বর্ণাশ্রম ধর্ম পালন করা খুব প্রয়ােজন। এইরূপ নিষ্ঠাবান ব্যক্তি যদি উপরােক্ত মন্ত্র তন্ত্রোক্ত মতানুসারে বিধিপূর্বক মহালয়ার পর প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত অথবা বাসন্তী পূজার আগের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই নয় দিনে ২১,০০০ (একুশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হবে। এরপর উক্ত সিদ্ধ মন্ত্র প্রত্যহ ১০৮ বার জপ করলে মানুষের দুশ্চিন্তা দূর হয়। মনােরথ সিদ্ধ হয়।
মন্ত্রটি ভালোভাবে বুঝতে এবং প্রয়োগের জন্য আপনি আপনার গুরুর শরনাপন্ন হতে পারেন। মন্ত্রগুরু অথবা আপনার এলাকায় যে বিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছে, যিনি বর্ণাশ্রম বিষয়ে ভালো জানেন তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনি এর প্রয়োগ করতে পারেন।