নারীদের স্তন উন্নত করার উপায়

প্রায়ই দু'একটি সন্তান হবার পর অথবা সন্তান না হলেও ২৫ বছর বয়সের পরে কিছু সংখ্যক নারীর স্তন ঢিলা হয়ে যায়। সেই স্তন দেখে বা তাতে হাত দিয়ে পুরুষের ততটা উত্তেজনাত্মক আনন্দ আসে না, যতটা আসে কঠোর এবং উন্নত স্তনে হাত দিয়ে। সহবাসকালীন পুরুষ নারীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি স্পর্শ করে। সেই স্পর্শ দ্বারা পুরুষ সুখ পায়, কিন্তু যদি নারীর কামাঙ্গ ঢিলে-ঢালা হয়, তবে পুরুষ উদাসী হয়ে পড়ে এবং তার বিরক্তি আসে। দর্শন এবং স্পর্শসুখের দৃষ্টিতে নারীর দেহের মধ্যে স্তন একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে।


স্তন উন্নত করার উপায়

যদি কোন নারীর স্তন ঢিলা হয়ে যায়, তাহলে সে তার নিজের স্বামীর মনঃতুষ্টির জন্য নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন পূর্বক নিজেই সুন্দর ও সুদৃঢ় স্তন তৈরী করে নিতে পারে। তাতে নিশ্চয়ই নারী ও তার স্বামী উভয়েই আনন্দ লাভ করতে পারবে। প্রথম পদ্ধতি–বচ, অশ্বগন্ধা, গজপীপল সমান ভাগে নিয়ে চূর্ণ করবে। তারপর সেই চূর্ণ কাপড়ে ছেঁকে মহিষের ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মলমের মতো করে নেবে। সেই মলমের দ্বারা স্তনে প্রলেপ দিলে ও মালিশ করলে স্তনের শিথিলতা দূর করে তাকে পুষ্ট, মাংসল ও কঠোর করে তোলে।

দ্বিতীয় প্রয়োগ—গম্ভীরা গাছের পাতার রস বার করে, সমান মাত্রায় তার সঙ্গে তেল মেশাবে। এদের মিশ্রণ যতটা হবে, ঠিক ততটা জল মেশাবে তার সঙ্গে। অর্থাৎ ১০ গ্রাম গম্ভীরার রস, ১০ গ্রাম তিল তেল, ২০ গ্রাম জল, সব এর সঙ্গে মিশিয়ে উনুনে চাপাবে। জল শুকনো হয়ে যখন শুধু তেল থাকবে তখন উনুন থেকে নামিয়ে কাপড়ে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখবে। সেই তেল দ্বারা স্তন মালিশ করলে স্তন সুডৌল ও দৃঢ় হয়।

তৃতীয় প্রয়োগ—সৈন্ধব লবণ, খীল, হলুদ, খরৈটি ও প্রিয়ঙ্গু সমান মাত্রায় নিয়ে, তার সঙ্গে চারগুণ জল দিয়ে ক্বাথ তৈরী করবে। জল মাত্র এক ভাগ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে, তার সঙ্গে তিল তেল, তেলের অর্ধেক ভাগ মহিষের ঘি মিশিয়ে তাকে আবার উনুনে চড়াবে। জল মরে যখন শুধুমাত্র তেল ও ঘি অবশিষ্ট থাকবে, তখন তাকে একটা শিশিতে ভরে রাখবে। তারপর নিয়মিত ভাবে সেই তেল সামান্য নাকে দিয়ে ভিতরে টেনে নেবে। অর্থাৎ নস্যির মতো ব্যবহার করবে। এই নস্যির প্রভাবে স্তনে দৃঢ়তা আসে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url