মন্ত্রের মধ্যমে নারী বশীকরণ করার উপায়

তন্ত্র শাস্ত্রে বশীকরণকে একটা কৌশলের মত দেখা হয়েছে। এটা একটা উপায়। যেখানে কোন প্রাণীকে (অর্থাৎ প্রাণ আছে যার) তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে নিজের প্রতি আকর্ষিত করা হয় একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তবে অবশ্যই এই সকল কর্মে বিধি-নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তন্ত্র মন্ত্র গুলো অংকের মত। আপনি যদি সঠিক হিসাব না করে এগুলো পুরো করতে চান তাহলে আপনার ফলাফল ভুল হবে। অর্থাৎ আপনি একটুও ফল পাবেন না। 

তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা যেমন কাউকে বশীভূত করা যায়, তেমন বশীভূত ব্যক্তির সাথে বিদ্বেষণ ঘটানোও সম্ভব। স্বার্থতার কারণে কাউকে বশ করা বা বিদ্বেষ ঘটানো পাপ কার্য বলে গণ্য হয়।  

নিম্নে মূল সংস্কৃত সহ একটি বশীকরণ তন্ত্রের কার্যবিধি তুলে ধরা হলো। এর মাধ্যমে গুরুর অনুমতি সাপেক্ষে আপনি যেকোনো নারীকে বশীভূত করতে পারবেন। 

মৃগশীর্ষে তু সংগ্রাহ্যং সুরক্ত করবীকম্। নবাঙ্গুলং কীলকং তৎ সপ্তবারাভিমন্ত্রিতম্। যস্য নাম্না খনেক্ ভূমৌ সা বশ্যো ভবতি ধ্রুবম্ ॥ 

মন্ত্র:—“ওঁ হুঁ হুঁ স্বাহা” 

তত্তৎস্থানে যথাসংখ্য মমুক্তে ত্বযুতং জপেৎ- অর্থাৎ মৃগশীরা নক্ষত্রে 'রক্ত করবীর নয় অঙ্গুল পরিমাণ একটা কীলক (গোজ) প্রস্তুত করিয়া "ওঁ হুঁ হুঁ স্বাহা” এই মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করিয়া যাহার নামে মৃত্তিকা মধ্যে পুঁতিয়া রাখিবে, সেই স্ত্রী বশীভুতা হইবে। অবশ্যই ভালো বা উপযুক্ত স্থলে মন্ত্র অযুতবার, জপ করিবে। 

সহজ কথায়, মৃগশিরা নক্ষত্র যখন হবে, সেই লগ্নে রক্তকরবীর একটি ডাল ৯ (নয়) আঙ্গুল পরিমাণ কেটে নেবে। সেটার গোজ/কাঠি/খুটি তৈরি করতে হবে এবং উপরের মন্ত্রটি রক্তকরবীর কাটা ডালের কাঠির উপড়— দশ হাজার বার অভিমন্ত্রিত করবে। 

তারপর যাকে বশীভূত করতে চাও, তার নাম স্মরণ করে বা “আমি অমুককে (নারীর নাম) বশীভূত করতে চাই, আমার মনের আশা পূর্ণ হোক। এই কথা বলে কাঠিটি মাটিতে পুঁতে দেবে। যেকোনো ফাঁকা ও পরিষ্কার স্থানে কাঠি পুঁতে রাখবে। কোন নোংরা স্থানে কাঠিপুঁতে রাখবে না। অবশ্যই মনে বিশ্বাস রাখবে এবং ষটকর্ম-বিধি অনুসরণ করবে।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url