কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকা পাতলা সিমসিমে চেহেরা এবং কোমল দেহি হয়। এরা ভাবুক, সরল প্রকৃতির হয়। এরা ছলচাতুরি জানে না। কাউকে ধোঁকা দেবার প্রবৃত্তি তাদের মধ্যে নেই। এরা যে কোনও কথা বলে সরল মনেই বলে এবং সাদাসিধা ভঙ্গীতে। এরা হয় নিষ্কপট। কাউকে ঠকিয়ে যাওয়া বা প্রতারণা করা এদের স্বভাব বিরুদ্ধ। এজন্য এদের ভাবুক প্রকৃতির বলা যায়। এদের মধ্যে একটা আশ্চর্য ক্ষমতা দেখা যায় যে, এরা কপট ব্যক্তিকে বেশ ভালভাবেই চিনতে পারে। এরা বোঝে যে এই ব্যক্তি তাকে ধোকা দেবার চেষ্টা করছে। জেনে শুনেও এরা ধোকায় পড়ে যায়। এরা তার প্রতিবাদও করে না এবং বিরোধ বা কলহ করে না। 

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার সাংসারিক জীবন সাধারণ বলা যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ লেগেই থাকে। উভয়েই শিক্ষিত হয়ে থাকে, অথবা উভয়েই নিজেকে বেশী বুদ্ধিমান ভাবে। দুজনে নিজের মত-পথে চলতে চায় দৃঢ় ভাবে। এরা পরস্পরে নিজের ভুল স্বীকার করে মাথা নত করতে চায় না। তার ফলে দাম্পত্য জীবনে মানসিক অশান্তি বেড়ে চলতে থাকে। সাংসারিক সুখ নষ্ট হয়ে যায়। এদের মধ্যে উভয়েই নিজেকে বড় বলে প্রমাণ করতে চায়। তার ফলে লোকে এদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা করে বসে। এরা গরীব হলেও বড় লোকের মতো চাল-চলন দেখাতে যায়। কুরূপ হলেও নিজেরা নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুরূপ করে তোলার চেষ্টা করে। বিপদে বা কোনও সংঘর্ষে এরা টিকে থাকতে পারে না। তাড়াতাড়ি পিছিয়ে যায় । এই রকম অবস্থায় এরা মীমাংসা করে নেয় অথবা পালিয়ে যাবার প্রবৃত্তি পোষণ করে মনে। এদের প্রবৃত্তি কবিতা বা চিত্র দ্বারা প্রকাশিত হয়। চিত্র বা কবিতার প্রতি এদের বিশেষ ঝোক দেখা যায়।

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

কর্কট রাশির প্রভাব

অশুভ তিথি—দ্বিতীয়া, সপ্তমী এবং দ্বাদশী।।
অশুভ বারবুধবার।
অশুভ মাস—পৌষ।
অশুভ প্রহর—প্রথম প্রহর।
অশুভ চন্দ্র- দ্বিতীয় স্থানে। জাতিকাদের ৬ষ্ঠে।
শুভ তারিখ- ২, ১০, ২০ এবং ২৯।
শুভ তিথি—তৃতীয়া, একাদশী।
শুভবার—সোমবার।
শুভ প্রহর—দ্বিতীয় প্রহর।
লাভ—ঈশান কোণে।
মিত্র—বৃশ্চিক ও মীন রাশি।

বিঃ দ্রঃ-সময় ঠিক না চললে, দশা দুর্বল হলে,  কাজকর্ম, আয়-উপার্জনে বাধা বিঘ্ন এলে, সোমবার ব্রত করতে হবে। স্ত্রীলোকদের ‘মহাদেব’ ব্রত করতে হবে। পুরুষরা। প্রত্যহ শিবপূজা করবে।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url