মহব্বত সৃষ্টির ৯টি কার্যকরী মুসলিম তদবির

মানুষ দুটি জাতিতে বিভক্ত। একটি পুরুষ জাতি এবং অন্যটি নারী জাতি। মানব সৃষ্টি থেকেই নারী পুরুষের প্রতি এবং পুরুষ নারীর প্রতি আকর্ষিত হয়ে আসছে। বলা যায় নারী-পুরুষ দুটি চুম্বকের দুই প্রান্ত। যাইহোক, প্রাচীন যুগের ভালোবাসা আর বর্তমান যুগের ভালোবাসার অনেক তফাৎ রয়েছে। কিন্তু মানুষের আবেগ বদলায়নি। হয়তো চাওয়া-পাওয়া গুলো বদলে গেছে।

এই প্রবন্ধে আমরা এই চাওয়া-পাওয়ার একাংশ মহব্বত নিয়ে আলোচনা করব। “মহব্বত” এর বাংলা অর্থ প্রেম বা ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসা হলো; নারী-পুরুষের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ভালোবাসা। সেটা যুবক-যুবতীর মধ্যে হতে পারে, তরুণ-তরুণীর মধ্যেও হতে পারে। হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। যেকোনো বয়স্ক দুজন নর-নারীর মধ্যেও হতে পারে।

তবে যাই হোক; মহব্বত তৈরি হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে দুজন ব্যক্তির মনের মিল। কারণ মনে মনে মিল না হলে এক মন হয় না। তাই দুজনের মনের মিলন প্রয়োজন। আর এই মিলন হওয়া সম্ভব— সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র এবং ভালো বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলীর মাধ্যমে। মহব্বত তৈরিতে অন্যের মন জয় করতে হয়। অনেকেই সেটা হাসির মাধ্যমেও করতে পারে।

আমরা অনেকেই শুনে থাকি; হাসিতে পাগল করা। অর্থাৎ মহব্বতের একটি অর্থও কিন্তু হচ্ছে পাগলামি। এই পাগলামি হচ্ছে কাউকে প্রচন্ড চাওয়া বা কারো কিছু অত্যধিক ভালো লেগে যাওয়া। অনেকেই আবার টাকার মোহে মহাব্বতে পড়ে যান। সেটা ব্যাপার আলাদা। রূপে-গুণে প্রেমে পড়ার ব্যাপারটিও অন্যরকম।

কিন্তু যাদের কাছে টাকা-রূপ কিছুই নেই। তাদের জন্য কিভাবে মহব্বত তৈরি হবে? এই উত্তরের আগে একটি কথা বলে রাখা ভাল। তা হচ্ছে, জীবনে বাঁচতে হলে অর্থের প্রয়োজন। প্রচুর অর্থ দরকার নেই। জীবনটা যাতে চলে সেই রকম অর্থের অবশ্যই দরকার আছে। আর রুপ! শরীরের অর্থাৎ বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্য ভালো হওয়া প্রয়োজন। কারণ মুখের সৌন্দর্য দিয়ে কাউকে কিছুক্ষণের জন্য আকৃষ্ট করা যায়। আর মনের সৌন্দর্য দিয়ে সারা জীবন বেধে রাখা যায়।

এই বিষয়ে বেশি কথা বলতে যাব না। যাদের সুন্দর মন, সুন্দর ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও কাঙ্খিত নর-নারীর মহাব্বতে আবদ্ধ হতে পারেননি। তাদের জন্য কিছু তদবির নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল। আর হ্যাঁ; তদবির গুলো অবশ্যই বিধি মেনে পালন করতে হবে। এর জন্য ষটকর্ম প্রবন্ধের নিচে মুসলিম তদবিরের নিয়ম গুলো দেখতে পারেন। অথবা যে ক'দিন তদবির ব্যবহার করবেন সে ক'দিন মাছ মাংস খাবেন না, ধর্মীয় প্রার্থনা করবেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন, পরিচ্ছন্ন পোশাক-আশাক পরিধান করবেন। আর শেষ কথা হল; কুচিন্তা নিয়ে বা খারাপ উদ্দেশ্যে তদবির করলে তা কখনোই সফল হবে না।

কাহাকেও মহব্বতে বাধ্য করার প্রথম তদবীর
লাল রংয়ের একটি সেপ ফলের উপর মীম “م” অক্ষরটি একশত পঞ্চান্নবার লিখিয়া মাহবুবের নাম লিখিয়া তাহাকে খাওয়াইবে। তাহা হইলে উভয়ের মাঝে গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হইবে।

মানুষকে মহববতে বাধ্য করার দ্বিতীয় তদবীর
আইন “ع” অক্ষরটি সাত শতবার কাগজে লিখিয়া শরীরের সঙ্গে রাখিলে অথবা কিছু মিষ্টি বস্তুর উপর ফুঁক দিয়া মাহবুবকে খাওয়াইলে সে তাহার মহববতে বাধ্য হইয়া যাইবে। অথবা; গাইন “غ” অক্ষরটি এক হাজারবার কাগজে লিখিয়া সঙ্গে ধারণ করিলে আল্লাহর রহমতে সকল মাখলুক তাহার বাধ্য হইয়া যাইবে।

ভালবাসার তৃতীয় তদবীর
নিম্নোক্ত আয়াত লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে সকলে তাহাকে মহববৎ করিবে।

يس والقـرآن الـحـكـيـم

ভালবাসার চতুর্থ তদবীর নকশা
যদি কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া সঙ্গে রাখে, তবে সমস্ত মাখলুক তাহার বাধ্যগত হইবে। এবং তাহাকে ভালবাসিবে।

মহববৎ সৃষ্টির পঞ্চম তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি নতুন কাপড়ের টুকড়ায় লিখিয়া শলিতা বানাইয়া নতুন একটি মাটির পাত্রে রাখিয়া চামেলি তৈল ঢালিয়া আগুনে জ্বালাইবে। আল্লাহর রহমতে মহববৎ সৃষ্টি হইবে। মতলুবের নাম নকশার মাঝ খানে লিখিবে।

মহব্বত সৃষ্টির ষষ্ঠ তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাপড়ে লিখিয়া শলিতা বানাইয়া একটি মাটির নতুন পাত্রে রাখিয়া সরিষার তৈল দিয়া আগুনে জ্বালাইবে। আর শলিতার মুখ মাহবুবের বাড়ীর দিকে রাখিবে। শলিতা জ্বালাইবার পরে কিছু মিষ্টি জাতীয় বস্তুর উপর হযরত বড় পীর সাহেব, হযরত শাহ আঃ ওয়াহিদ সাহেব ও শাহ্ আঃ সামাদের নামে ফাতেহা দিয়া উহা গরীব মিছকীনের মধ্যে বিতরণ করিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে মহববত সৃষ্টি হইয়া যাইবে।

মহব্বত সৃষ্টির সপ্তম তদবীর
দুই জনের মধ্যে মহববত সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি সীসার পাতে খুদিয়া সঙ্গে ব্যবহার করিলে, আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মহববত সৃষ্টি হইবে।

মহব্বত সৃষ্টির অষ্টম তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি মুরগীর ডিমের উপর লিখিয়া আগুনের ছাইয়ের ভিতরে রাখিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে মহববত পয়দা হইবে।

মহব্বত সৃষ্টির নবম তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া মাদুলিতে ভরিয়া সঙ্গে ব্যবহার করিলে, আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মহববৎ সৃষ্টি হইবে।


Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url