কাক ডাকলে কি হয় | কাকের ডাকে শুভাশুভ জেনে নিন ও কাক ডাকের ফলাফল।
কাক-চরিত
দাঁড় কাকের ডাক অনুধাবন করিয়া মুনষ্যগণ ভবিষ্যৎ শুভাশুভ জানিতে পারিবেন।
নাগার্জ্জুন বলেনঃ⤵
“কাকচরিতং প্রবক্ষামি যথোক্তং মুনিসত্ততে।
যস্য বিজ্ঞানযাত্রেণ সর্বতত্ত্বং লভেন্নরঃ।”
১/ উষার প্রথমতে যদি 'অয় অয়' ধ্বনিতে কাক ডাকে তবে মহৎ সুখ্যাতি লাভ হয়।'
২/ দ্বিতীয় দলে অগ্নিকোণে যদি ‘অয় অয়' ধ্বনি করে তবে শোক উপস্থিত হয়। কিন্তু যদি উর্ধ্বমুখে ঐ ধ্বনি করে তার সন্তান হইত শোক হয়।
৩/ তৃতীয় দণ্ডে দক্ষিণ দিকে যদি ‘মুয় মুয়’ ধ্বনি করে তবে সেই দিবসে অকস্মাৎ ধন লাভ হতে পারে।
৪/ দিবা চতুর্থ দণ্ডে নৈঋত কোণে ঊর্ধ্বমুখে ‘ময় ময়’ রব করিলে অগ্নি ভয় এবং আধোমুখে চোর ভয় হয়।
৫/ পশ্চিম দিকে পঞ্চম দণ্ডে যদি ‘অহ অহ’ রব করে তবে সেই দিবসে ধন লাভ হয়। উর্ধমুখে ডাকিলে দূর হইতে আর আধোমুখে ডাকিলে নিকটে শীঘ্র ধন প্রাপ্তি হয়।
৬/ পশ্চিম দিকে ষষ্ঠ দণ্ডে কাক যদি ‘কাহা কাহা' রব করে তবে কার্যে লাভ ব্যক্ত করে।
৭/ বায়ুকোণে সপ্তম দণ্ডে কাক যদি ‘আহে আহে’ ধ্বনি করে তবে বাস্তু মধ্যে কেহ ব্যধিযুক্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা।
৮/ সপ্তম দণ্ডে উত্তর দিকে ‘যা যা’ রব করিলে অন্য দেশ হইতে সেই দিবসে কোনো সংবাদ আসে।
৯/ অষ্টম দণ্ডে ঈশান কোণে যদি ‘হা হা' ধ্বনি করে তবে সেই দিন কেহ মরে বা মৃত্যুসংবাদ আসে।
১০/ নবম দণ্ডে ব্রহ্মস্থানে মস্তকোপরি ‘হা হা' রব করিলে সেই দিন পূর্ব প্রার্থনা সিদ্ধ হয়।
১১/ দশম দণ্ডে যাহার সম্মুখে ‘আবা আবা’ শব্দ করে তাহার দৈবাৎ দেশ গমন হয়।'
১২/ কাক যদি একাদশ দণ্ড মধ্যে অগ্নিকোণে ধ্বনি করে তবে সেই দিন সেই গৃহে পুত্র জন্ম।
১৩/ দ্বাদশ দণ্ড মধ্যে ‘জয় জয়’ রবে বায়ুকোণে কাক ধ্বনি করিলে সেই দিন কোনো শোকোৎপত্তি হয়।
১৪/ নৈকোণে দিবা ত্রয়োদশ দণ্ডে ‘কা কা’ ধ্বনি করিলে সেই দিবস অতিশয় ক্লেশযুক্ত হয়।
১৫/ দিবা চতুর্দশ দণ্ডে উত্তর দিকে ‘কোব কোব’ শব্দ করিলে হঠাৎ ঐ দিবস বৈরীভয় উপস্থিত হয়।
১৬/ পঞ্চদশ দণ্ডে ঈশানকোণে যদি ‘যা যা’ ধ্বনি করে সেই দিবসে মহা-দুঃখ উপস্থিত হয়।
১৭/ ষোড়শ দরে কাক যদি ‘কোবা কোবা' রব করে তবে অকস্মাৎ সদ্বন্ধু লাভ করে।
১৮/ সপ্তদশ দণ্ডে দক্ষিণ দিকে ‘আয় আয়' রব করিলে সকলের মহৎ দুংখভয় উপস্থিত হয়।
১৯/ অষ্টাদশ দন্ড সময়ে অগ্নিকোণে যদি ‘খাবা খাবা’ রব করে তবে অকস্মাৎ উত্তম কর্মলাভ।
২০/ উনবিংশ দণ্ড সময়ে পশ্চিম দিয়ে যদি ‘মহ মহ’ শব্দ করে, তবে গৃহস্বামীকে বিদেশ যাইতে হতে পারে।
২১/ কাক যদি বিংশদণ্ড সময়ে ‘জয় জয়’ শব্দ করে তবে সেই দিবসে অর্ধলাভ হয়।
২২/ একবিংশ দণ্ড সময়ে উধ্বস্থিত হইয়া কাক যদি ‘না না’ ধ্বনি করে তবে সেই দিবসে গৃহস্বামীর ভূমি লাভ হয়।
২৩/ পূর্ব পার্শে দ্বাবিংশ দণ্ড সময়ে 'আকা আকা’ শব্দ করিলে সেই ব্যক্তির সেই দিবসে বাস্তুলাভ হয়।
২৪/ কাক যদি এয়োবিংশ দণ্ড সময়ে ‘অদ্বয় অদ্বয়’ শব্দ করে তবে সেই দিবসে ঐশ্বর্য লাভ হয়।
২৫/ কাক চতুর্বিংশ দণ্ডে দক্ষিণদিকে ‘ওয়া ওয়া’ শব্দ করিলে অকস্মাৎ চক্রান্তের অপরাধে পড়িতে হয়।
২৬/ কাক চতুর্বিংশ দন্ডে ‘খায়ে খায়ে’ শব্দ করিলে সেই গৃহের কেহ সর্পাঘাতে প্রাণত্যাগ করিতে পারে।
২৭/ ষষ্ঠবিংশ দত্ত সময়ে পশ্চিম দিকে ‘আহা আহা’ শব্দ করিলে গৃহস্থের সেই দিন সর্বত্র লাভ হয়।
২৮/ উত্তর দিকে সপ্তবিংশ-দণ্ডে ‘আকা আকা' শব্দ যে ব্যক্তির বাড়িতে করে সেই ব্যক্তি সুখী।
২৯/ ঈশানকোণে অষ্টবিংশ দণ্ড সময়ে যদি কাকে ‘সা সা’ শব্দ করে তবে তাহার বাসনা সিদ্ধ হয়।
৩০/ উর্ধ্ব দিকে যাহার বাড়িতে উনত্রিশ দণ্ডে ‘আখা আখা’ রব করিলে সেই দিবসটি তাহার সুখে কাটে।
৩১/ ত্রিশদন্ড সময়ে ভূমিতে বসিয়া ‘আবা আবা’ রবে কাক ডাকিলে সেই দিন দুঃখে যায়।।
বিঃদ্রঃ কাক সমাচারটি জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী তুলে ধরা হলো।
দাঁড় কাকের ডাক অনুধাবন করিয়া মুনষ্যগণ ভবিষ্যৎ শুভাশুভ জানিতে পারিবেন।
নাগার্জ্জুন বলেনঃ⤵
“কাকচরিতং প্রবক্ষামি যথোক্তং মুনিসত্ততে।
যস্য বিজ্ঞানযাত্রেণ সর্বতত্ত্বং লভেন্নরঃ।”
কাক ডাকের ফলাফল নিয়ে প্রদত্ত হইল
১/ উষার প্রথমতে যদি 'অয় অয়' ধ্বনিতে কাক ডাকে তবে মহৎ সুখ্যাতি লাভ হয়।'
২/ দ্বিতীয় দলে অগ্নিকোণে যদি ‘অয় অয়' ধ্বনি করে তবে শোক উপস্থিত হয়। কিন্তু যদি উর্ধ্বমুখে ঐ ধ্বনি করে তার সন্তান হইত শোক হয়।
৩/ তৃতীয় দণ্ডে দক্ষিণ দিকে যদি ‘মুয় মুয়’ ধ্বনি করে তবে সেই দিবসে অকস্মাৎ ধন লাভ হতে পারে।
৪/ দিবা চতুর্থ দণ্ডে নৈঋত কোণে ঊর্ধ্বমুখে ‘ময় ময়’ রব করিলে অগ্নি ভয় এবং আধোমুখে চোর ভয় হয়।
৫/ পশ্চিম দিকে পঞ্চম দণ্ডে যদি ‘অহ অহ’ রব করে তবে সেই দিবসে ধন লাভ হয়। উর্ধমুখে ডাকিলে দূর হইতে আর আধোমুখে ডাকিলে নিকটে শীঘ্র ধন প্রাপ্তি হয়।
৬/ পশ্চিম দিকে ষষ্ঠ দণ্ডে কাক যদি ‘কাহা কাহা' রব করে তবে কার্যে লাভ ব্যক্ত করে।
৭/ বায়ুকোণে সপ্তম দণ্ডে কাক যদি ‘আহে আহে’ ধ্বনি করে তবে বাস্তু মধ্যে কেহ ব্যধিযুক্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা।
৮/ সপ্তম দণ্ডে উত্তর দিকে ‘যা যা’ রব করিলে অন্য দেশ হইতে সেই দিবসে কোনো সংবাদ আসে।
৯/ অষ্টম দণ্ডে ঈশান কোণে যদি ‘হা হা' ধ্বনি করে তবে সেই দিন কেহ মরে বা মৃত্যুসংবাদ আসে।
১০/ নবম দণ্ডে ব্রহ্মস্থানে মস্তকোপরি ‘হা হা' রব করিলে সেই দিন পূর্ব প্রার্থনা সিদ্ধ হয়।
১১/ দশম দণ্ডে যাহার সম্মুখে ‘আবা আবা’ শব্দ করে তাহার দৈবাৎ দেশ গমন হয়।'
১২/ কাক যদি একাদশ দণ্ড মধ্যে অগ্নিকোণে ধ্বনি করে তবে সেই দিন সেই গৃহে পুত্র জন্ম।
১৩/ দ্বাদশ দণ্ড মধ্যে ‘জয় জয়’ রবে বায়ুকোণে কাক ধ্বনি করিলে সেই দিন কোনো শোকোৎপত্তি হয়।
১৪/ নৈকোণে দিবা ত্রয়োদশ দণ্ডে ‘কা কা’ ধ্বনি করিলে সেই দিবস অতিশয় ক্লেশযুক্ত হয়।
১৫/ দিবা চতুর্দশ দণ্ডে উত্তর দিকে ‘কোব কোব’ শব্দ করিলে হঠাৎ ঐ দিবস বৈরীভয় উপস্থিত হয়।
১৬/ পঞ্চদশ দণ্ডে ঈশানকোণে যদি ‘যা যা’ ধ্বনি করে সেই দিবসে মহা-দুঃখ উপস্থিত হয়।
১৭/ ষোড়শ দরে কাক যদি ‘কোবা কোবা' রব করে তবে অকস্মাৎ সদ্বন্ধু লাভ করে।
১৮/ সপ্তদশ দণ্ডে দক্ষিণ দিকে ‘আয় আয়' রব করিলে সকলের মহৎ দুংখভয় উপস্থিত হয়।
১৯/ অষ্টাদশ দন্ড সময়ে অগ্নিকোণে যদি ‘খাবা খাবা’ রব করে তবে অকস্মাৎ উত্তম কর্মলাভ।
২০/ উনবিংশ দণ্ড সময়ে পশ্চিম দিয়ে যদি ‘মহ মহ’ শব্দ করে, তবে গৃহস্বামীকে বিদেশ যাইতে হতে পারে।
২১/ কাক যদি বিংশদণ্ড সময়ে ‘জয় জয়’ শব্দ করে তবে সেই দিবসে অর্ধলাভ হয়।
২২/ একবিংশ দণ্ড সময়ে উধ্বস্থিত হইয়া কাক যদি ‘না না’ ধ্বনি করে তবে সেই দিবসে গৃহস্বামীর ভূমি লাভ হয়।
২৩/ পূর্ব পার্শে দ্বাবিংশ দণ্ড সময়ে 'আকা আকা’ শব্দ করিলে সেই ব্যক্তির সেই দিবসে বাস্তুলাভ হয়।
২৪/ কাক যদি এয়োবিংশ দণ্ড সময়ে ‘অদ্বয় অদ্বয়’ শব্দ করে তবে সেই দিবসে ঐশ্বর্য লাভ হয়।
২৫/ কাক চতুর্বিংশ দণ্ডে দক্ষিণদিকে ‘ওয়া ওয়া’ শব্দ করিলে অকস্মাৎ চক্রান্তের অপরাধে পড়িতে হয়।
২৬/ কাক চতুর্বিংশ দন্ডে ‘খায়ে খায়ে’ শব্দ করিলে সেই গৃহের কেহ সর্পাঘাতে প্রাণত্যাগ করিতে পারে।
২৭/ ষষ্ঠবিংশ দত্ত সময়ে পশ্চিম দিকে ‘আহা আহা’ শব্দ করিলে গৃহস্থের সেই দিন সর্বত্র লাভ হয়।
২৮/ উত্তর দিকে সপ্তবিংশ-দণ্ডে ‘আকা আকা' শব্দ যে ব্যক্তির বাড়িতে করে সেই ব্যক্তি সুখী।
২৯/ ঈশানকোণে অষ্টবিংশ দণ্ড সময়ে যদি কাকে ‘সা সা’ শব্দ করে তবে তাহার বাসনা সিদ্ধ হয়।
৩০/ উর্ধ্ব দিকে যাহার বাড়িতে উনত্রিশ দণ্ডে ‘আখা আখা’ রব করিলে সেই দিবসটি তাহার সুখে কাটে।
৩১/ ত্রিশদন্ড সময়ে ভূমিতে বসিয়া ‘আবা আবা’ রবে কাক ডাকিলে সেই দিন দুঃখে যায়।।
বিঃদ্রঃ কাক সমাচারটি জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী তুলে ধরা হলো।