কোন রাশির মেয়েরা সবচেয়ে সুন্দরী হয়?

রাশি অনুযায়ী রূপবতী মেয়েদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য

কোন রাশির মেয়েরা সুন্দরী

কোন রাশির মেয়েরা বেশী সুন্দরী হয়? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেকেই খুঁজে থাকি। সবচেয়ে  সুন্দরী বলতে বোঝায়, যার উপর আর কারও সৌন্দর্য নেই। তবে সুন্দরী বলতে শুধু রুপ নয়, গুণেরও প্রয়োজন হয়। আর গুণ হলো সৌন্দর্যর প্রধান উৎস। মেয়েদের সুন্দর গুণ তখনই প্রকাশিত হয় যখন কোন মেয়ের মনটা সুন্দর হয়। কথায় বলে; যে মেয়ের মন যত বেশি ভালো, তাঁর সৌন্দর্য তত বেশি। আর মন ভালো হলে একজন মানুষের স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা তাঁর রূপে প্রকাশিত হয়।

এবার আসা যাক— সুন্দরী মেয়ের বাহ্যিক সৌন্দর্যে।দেহের রূপের মোহে অবশ্য অনেকের হৃদয়ই আটকা পড়ে! কোন সুন্দরী মেয়ের চুল মন কাড়ে,  কারো মন কাড়ে মেয়ের ঠোঁট, কারো নাক, চোখ, ভ্রুঁ ইত্যাদি। আর যাদের হার্টের অসুখ বা হৃদরোগ আছে, তাদের জন্য ক্ষতিকর হলো সুন্দরী মেয়ে! অবাক হবার কিছু নেই। আধুনিক গবেষণায় এটা প্রমানিত। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে; বিভিন্ন মেয়ের শারীরিক সৌন্দর্য বিভিন্ন রকমের হয়। আর তা নির্ধারণ করতে পারা যায় রাশির বিচারে। এক একটি রাশির মেয়েদের এক এক রকমের রূপের ধরণ হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই—

কোন রাশির মেয়েরা কি কি কারণে সুন্দরী হয়:     

মেষ 
মেষ রাশির মেয়েদের ভুরু বা আইব্রো অসম্ভব সুন্দর হয়। তাঁদের চোখের আর মুখের সৌন্দর্যের মধ্যে তাঁদের ভ্রুঁ আলাদা করে নজর কাড়ে। বলা যায় মেষ রাশির মেয়েদের সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় দিক হল ভুরু। 

বৃষ 
বৃষরাশির জাতিকাদের ত্বক খুবই ভালো হয়। তাঁদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্যই তাঁদের রূপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য! ফলে বৃষ রাশির মেয়েরা নিজের ত্বকের বিষয়ে যদি আরও বেশি যত্নবান হন, তাহলে সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।  

মিথুন 
মিথুন রাশির মেয়েদের মুখ এমনিতেই সুন্দর হয়। তবে রূপের মধ্যে তাঁদের চওড়া কপাল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়। আর কপাল চওড়া মুখের সৌন্দর্যে অনেক পুরুষই ধরা দিয়ে ফেলেন। 

কর্কট 
কর্কট রাশির মেয়েরা এমনিতেই ভীষণ মিষ্টি হন। সব মিলিয়ে তাঁদের মুখ খুবই সুন্দর হয়। তবে রাশিফল বলছে, এঁদের গালের সৌন্দর্যই আরও বাড়িয়ে দেয় তাঁদের মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য।  

সিংহ 
সিংহ রাশির মেয়েদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট হল চুল। এঁদের চুলের গোছ এত বেশি হয়, এবং লম্বা চুল হওয়ার দরুন, এঁরা সহজেই যে কাউকে আকর্ষণ করতে পারেন। পাশাপাশি রূপও বেশ উজ্জ্বল হয় এঁদের।   

কন্যা
কন্যা রাশির জাতিকারা অধিকাংশে সুন্দরী হয়। তবে বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে তাঁদের পিঠের আকার একটি বড় দিক। কন্যা রাশির জাতিকাদের পিঠ সুন্দর হয় বলে মত জ্যোতিষদের।  

তুলা 
তুলা রাশির জাতিকাদের চেহারার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আকর্ষণের রসদ। বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র। যেকোনও পোশাক তুলা রাশির জাতিকারা সুন্দরী হয়ে ওঠেন। আর এই গুণেই তুলা রাশির জাতিকারা বহু পুরুষের মন মজিয়ে দেন।   

বৃশ্চিক 
বৃশ্চিক রাশির জাতকিরারা সুন্দর চোখের অধিকারী। এঁদের চোখের কমনীয়তায় সম্মোহনে অনেক পুরুষই মাত হয়ে যান। জ্যোতিষবিদরা বলছেন, বৃশ্চিক রাশির জাতিকারা চোখ দিয়েই কার্যত কথা বলেন!  

ধনু 
ধনু রাশির জাতিকাদের পা অত্যন্ত সুন্দর হয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এঁদের লম্বা গড়ন হওয়ার প্রবণতা থাকে। ফলে সুন্দর পায়েরসঙ্গে লম্বা গড়নের অধিকারী ধনু রাশির জাতিকারা বহু পুরুষের মন মজিয়ে দেন। 

মকর 
চোখের পাতার সৌন্দর্য নিয়ে যদি কথা হয় তাহলে তা সবচেয়ে আকর্ষণীয় মকর রাশির জাতিকাদের। এই রাশির জাতিকারা সুন্দর চোখের পাতার অধিকারী হওয়ায় , সুন্দর চোখও পেয়ে থাকেন।  

কুম্ভ 
কুম্ভ রাশির জাতিকাদের দেহ সৌষ্ঠব অত্যন্ত সুঠাম হয়। অন্যদের থেকে এঁরা চেহারার দিক দিয়ে আলাদা হন। আর এই চেহারাই অনেক পুরুষের মন মজিয়ে দেয়।   

মীন 
মীন রাশির জাতিকাদের ঠোঁট খুবই সুন্দর হয়। এঁদের ঠোঁটই এই মেয়েদের রূপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই সম্মোহনী ঠোঁটের হাসিতেই ঘায়েল হন বহু পুরুষ।

আরেকটি কথা; যেহেতু রুপে নয় গুণে পরিচয় আর সবার চোখের ভাল লাগা এক নয়। একেক জনের একেক জনকে ভালো লাগে। তাই, জীবনে কাউকে বেছে নিতে হলে তার মনের মিলটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রাশির মেয়েদের যে বৈশিষ্ট্যগুলো বলা হলো, তা অনুযায়ী বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেয়েদের মনের মিল থাকতেই হবে, অনেক সময় এমনটা না ঘটতেও পারে। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্যের সঙ্গে মনেরও সৌন্দর্য দেখা প্রয়োজন। 

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url