পায়ের গােড়ালি ফাটলে করণীয় ও শীতে ত্বকের পুষ্টি

পায়ের গােড়ালি ফাটা প্রতিরােধ

অনেকেরই ঘরে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস। ফলে দেখা যায় পায়ের গােড়ালিতে শুষ্ক সাদাটে দাগ বসেছে অর্থাৎ গােড়ালির ত্বক শুষ্ক হয়ে ফাটার উপক্রম হয়েছে। কারাে কারো শীতের সময় এমনিতেই এরকম হয়। পায়ের গােড়ালি ফাটা প্রতিরােধে করণীয় কী?

শীত অনেকেরই পায়ের গােড়ালি ফাটে। যারা খালি পায়ে হাঁটেন তাদের সব সময়ই গােড়ালি ফাটতে পারে বা রক্ষা থাকতে পারে। তবে শীতে পায়ের গােড়ালি ফাটার প্রবণতা খুব বেড়ে যায়। এটি প্রতিরােধে, কয়েকটি ব্যবস্থা নিতে হবে-খালি পায়ে হাঁটা যাবে না, পায়ে যেন ধুলাে না লাগে, গােসলের সময় খড়খড়ে ফ্লোরে গােড়ালি ঘষে কিংবা ঝামা অথবা গােড়ালি ঘষার বিশেষ উপকরণ দিয়ে ঘষে গােড়ালির মরা চামড়া দূর করতে হবে, গােসলের পর মুছে সেখানে ভেসিলিন গ্লিসারিন লাগাতে হবে, দরকার পড়লে সল্টবাথের স্যালাইন ওয়াটারে পা ১০ মিনিট ভিজিয়ে ঘষে মুছে সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। এছাড়া দিনের অন্যান্য সময়েও গােড়ালিতে প্রসাধন লাগিয়ে রাখতে হবে।

পায়ের গােড়ালি ফাটলে করণীয়

শীতে যাদের পায়ের গােড়ালি ইতােমধ্যে ফেটে গেছে তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কী?

পায়ের গােড়ালি ফেটে গেলে ৫% -১০% স্যালিসাইলিক এসিড জাতীয় মলম গােড়ালিতে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে সেখানে লাগানাে যেতে পারে। নিয়মিত এটি ব্যবহারে গােড়ালির ফাটা কমে যাবে। সেরে যাওয়ার পর গােড়ালি ফাটা প্রতিরােধে করণীয় বিষয়গুলাে অনুসরণ করতে হবে। তবে পায়ের গােড়ালি বেশি ফাটলে চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা করাতে হবে। পরে গােড়ালি ফাটা অবস্থায় কোনক্রমেই খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। এতে গােড়ালির ফাটা ফাকে ধুলাে ময়লা ঢুকে অবস্থার অবনতি ঘটাবে।

শীতে ত্বকের যত্নে পানি পান

অনেকেই বলেন, শীতের সময় বেশি পানি পান করা ত্বকের জন্য ভাল, আসলেই কি তাই?

শীতের সময় বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। তাই শরীরের ত্বক কিছুটা শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই শুষ্কতা পূরণের জন্য বাড়তি পানি পান করা শরীরে জন্য উপকারী। শীতে শরীরে ঘাম কম হয় বলে প্রস্রাব বেশি হয়। বেশি প্রস্রাব হওয়াটা তখন স্বাভাবিক। প্রতিদন একজন পূর্ণবয়স্ক লােকের কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

শীতে ত্বকের পুষ্টি

ত্বকে পুষ্টি ও সৌন্দর্যের জন্য শীতকালে কী ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে?

পুষ্টিসম্পন্ন ত্বক মানেই সুন্দর ত্বক। ত্বকের জন্য প্রয়ােজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণের শীতের চেয়ে ভাল, সুযােগ আর নেই। কারণ শীতকালে প্রচুর সবুজ ও হলুদ শাক সবজি ও শাক পাতা পাওয়া যায় যা অন্যকোনাে ঋতুতে পাওয়া যায় না। এই সবজিতে রয়েছে ত্বকের জন্য প্রয়ােজনীয় ভিটামিন (ই, বি, সি) এন্টি অক্সিডেন্ট ও জিংক। যা ত্বকের পুষ্টি যােগায় ও সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটায়। শাকসবজি-র এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সূর্যরশ্মির বিরূপ প্রভাবের কারণে ত্বকে সৃষ্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালসকে দূর করে। এই ফ্রি রেডিক্যালস ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার পেছনে শতকরা ৬০-৮০ ভাগ দায়ী। যার ফলশ্রুতিতে ত্বক ঢিলে হয়ে যায় ও ভাঁজ পড়ে। খাবারের পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ভাজ রােধক ভিটামিন-ই ক্রীম বা লােশন মাখা যেতে পারে। 

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url