কাশ রোগের লোক চিকিৎসা ও ঔষধ (কফ রোগ)

নিচের চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো কাশি রোগের জন্য উপকারী।

কাশি: কাশি চিকিৎসার জন্য নিম্নোক্ত উপায়সমূহ অবলম্বন করা হয়। 

ঘৃত কুমারী: ঘৃত কুমারীর ডাটার মধ্যস্থ শাস বা তরল পদার্থ, আঁখের চিনি সহ প্রতিদিন সকালে এক সপ্তাহ সেবল করলে কাশি নিরাময় হয়।

অর্জুনের ছাল+বাসক পাতা+মধু: অর্জুনের ছালের গুঁড়া, বাসক পাতার রস ও মধু একত্রে দৈনিক দু'তিনবার করে সপ্তাহ খানেক সেবল ক'রলে কাশি এমনকি যক্ষ্মা নিরাময় হয়।

বাওসের (বাসকের) গাছ: বাসকের কচি পাতা লবণ দিয়ে পিষে রস করে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুবার করে আধ থেকে এক চামচ পরিমাণ কয়েক দিন খাওয়ালে কাশি আরােগ্য হয়। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)

বাসকেরর গাছ+মিশ্রী: বাসিকের কচি পাতা ও মিশ্রী পানিতে জ্বালিয়ে ক্বাথ তৈরী করে, সেই ক্বাথ প্রতিদিন দুবার করে কয়েক দিন খেলে কাশি নিরাময় হয়।

বাসকের পাতার রস+লােহা গরম: বাসকের কচি পাতার রসের মধ্যে অতি উত্তপ্ত লােহা ভিজিয়ে নাড়িয়ে, আধ থেকে এক ঝিনুক পরিমাণ প্রতিদিন সকালে ও বৈকালে দুবার করে কয়েকদিন সেবন করলে কাশি নিরাময় হয়। এ ঔষধ শিশুদেরও দেওয়া চলে।

পিঁপুলের ছােটা: পিঁপুলের ছােটা '(লতা) শিকড়বাকড়সহ ছােট ছােট করে কেটে লবণ, রসুন, তেল, হলুদ ও পানি দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি ও ছােটা একটু লবণ দিয়ে মেখে কয়েকদিন নিয় দু'তিন বার খেলে কাশিতে উপশম হয়। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ) (এই ক্বাথ দু-তিন দিন থেকে দু-তিন সপ্তাহও খাওয়া যায়। কোন অপকার হয় না।)

লবঙ্গ+বচ+যষ্টি মধু+তাল মিশ্রী: লবঙ্গ, বচ, জৈষ্ঠ্য, মধু ও তাল মিশ্রী একত্রে পানির সঙ্গে জ্বালিয়ে ‘ক্বাথ' তৈরী করে প্রতি রাতে শােবার সময় এক সপ্তাহ সেবন করলে কাশি আরােগ্য হয়। (ক্বাথ তৈরী করতে হলে পাঁচ ছটাক পানিতে তিন-চারটা লবঙ্গ, যষ্টি মধু, বচ-এর পরিমাণ যষ্টি মধু অপেক্ষা একটু বেশী এবং ঐ সবের সমপরিমাণ তাল মিশ্রী দিয়ে একত্রে জ্বালিয়ে আধ পােয়া পরিমাণ থাকতে নামালেই ক্বাথ প্রস্তুত হয়। উক্ত ক্বাথ প্রতিবারে দু'ঝিনুক পরিমাণ সেব্য।)

কাগজি লেবু: কাগজি লেবু বা পাতি লেবুর গায়ে কাদা মাখিয়ে ঐ লেবুটি আগুনে ঢুকিয়ে সিদ্ধ করে, কাদা ফেলে দিয়ে ধুয়ে ভাল করে বেটে আঁটি সরিষার তেল দিয়ে মেড়ে বুকে মালিশ করলে শ্ৰেহ্মর প্রকোপ হ্রাস পায় এবং কাশি দমন হয়।

সর্ষের তেল: খাটি সর্ষের তেল দুহাতে ঘষে গরম করে বুকে ও কণ্ঠায় মালিশ করলে কাশি হ্রাস পায় বা সাময়িক উপশম ঘটে। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)।

তুলসী পাতার রস+লবণ: কাচা তুলসী পাতার রস লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে বিকালে দুবার করে খেলে শ্লেষ্ম দমন হয় এবং কাশির উপশম ঘটে। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)।

চিরতার পানি: প্রত্যেক সকালে বাসি পেটে চিরতা ভেজানাে পানি দু-তিন সপ্তাহ যাবৎ পান করলে ক্রিমি জনিত কাশি আরােগ্য হয়। এতে পিত্ত প্রকুপিত কাশিও নিরাময় হয়।

আদার রস+মিশ্রী: মিশ্রীর গুঁড়া আদার রসে ভিজিয়ে খেলে কাশি আরােগ্য হয়। দৈনিক দু'তিনবার করে কয়েকদিন সেব্য।

কুঁজের গাছ: কুঁজের গাছ, পাতা ও শিকড় এক সঙ্গে পিষে রস তৈরী করে, দৈনিক দু'তিনবার এক সপ্তাহ যাবৎ আধ বা এক চামচ পরিমাণ খাওয়ালে কাশি নিরাময় হয়।

তুলসী পাতার রস+মধু: প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতার রস মধুসহ এক ঝিনুক পরিমাণ এক সপ্তাহ যাবৎ সেবন করলে কাশি নিরাময় হয়। 

অশ্বগন্ধার গুঁড়া: দৈনিক অশ্বগন্ধার গুঁড়া সিকি ঝিনুক পরিমাণ গরম পানি সহ খেলে কাশি নিরাময় হয়। এ ঔষধ এক থেকে তিন সপ্তাহ খেতে হয়।

মালিশ

আমরুলি শাকের রস, সর্ষের তেলের সাথে মিশিয়ে সামান্য গরম করে বুকে মালিশ করলে শ্লেষ্মা তরল হয় এবং কাশি সহজে উঠে গিয়ে শীঘ্র নিরাময় হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url