যৌবন শক্তি বৃদ্ধি ও বীর্য ঘন করার উপায়
যদি আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন। কিংবা যৌন জীবনে ভিতর থেকে শক্তি জোগাতে পারেন না। বীর্য ঘন করার উপায় বা কামশক্তি বাড়ানোর ঔষধ খুঁজছেন। তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য। যদিও বাজারের এই বিষয়ের ঔষধ গুলো অনেকেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধ গুলো আপনাকে পুরুষত্বহীন করে দিতে পারে। এর অনেক উদাহরণ এই সমাজে রয়েছে।
কিন্তু, এখানে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হচ্ছে বাজীকরণ ঔষধ নিয়ে, যা যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বাজীকরণ হলো; যে সকল ক্ৰিয়াদ্বারা অশ্বের ন্যায় অত্যধিক রতিশক্তি বর্ধিত হয় বা বীর্য ঘন হয়, তাহাকে বাজীকরণ বলে। এর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আদি যুগ থেকে এর ব্যবহার চলে আসছে।
আগেকার রাজাগণ একাধিক রাণী ও প্রেমিকার সাথে সহবাসের শক্তি যোগাত এই সকল বাজীকরণ ঔষধের মাধ্যমে। যা রাজ-হেকিম বা বৈদ্যরা যুগিয়ে দিত আর রাজাদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে এই অষুধ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল হয় তাহলে আপনার সংসার বা জীবনসঙ্গী আপনার থেকে দূরে সরে যেতে পারে অথবা পরকীয়ায় আবদ্ধ হতে পারে। ধাতু দুর্বলতার কারণে যৌন সঙ্গমে যেমন সঙ্গীকে তৃপ্তি দিতে অক্ষম, তেমনি পুরুষ হয়ে যায় সন্তান উৎপাদনে ব্যর্থ। জীবন হয়ে ওঠে অন্ধকারময়।
আয়ুর্বেদের এই পদ্ধতি তিনটি প্রয়োগ করে যৌন শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ তৈরি করতে পারেন।
প্রথম ওষুধ: ভূমিকুষ্মণ্ডের চূর্ণ— ভূমিকুষ্মণ্ডের রসে, অথবা আমলকী চূর্ণ— আমলকীর রসে বারংবার ভাবিত করিয়া, ঘৃত ও মধুর সহিত মিশ্রিত করিয়া সেবন করিলেও, যথেষ্ট শুক্রবৃদ্ধি হয়ে থাকে। এতে বীর্য গাঢ় হয় এবং যৌন শক্তি বাড়ায়।
দ্বিতীয় ওষুধ: সদ্যোমাংস (তাজা মাংস) বা মৎস্য ঘৃতে ভাজিয়া ভােজন করিলে, শুক্রের ও রতিশক্তির বৃদ্ধি হয়। একনাগাড়ে কয়েকদিন এভাবে খেলে, স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাটানো যায়। বীর্য গাঢ় হয় এবং দন্ড হয়ে ওঠে সবল ও শক্ত।
তৃতীয় ওষুধ: চড়ুই-পাখীর মাংস পৰ্য্যাপ্তপরিমাণে ভােজন করিয়া দুগ্ধ পান করিলে, রতিশক্তি অত্যন্ত বৰ্ধিত হয়ে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি করে।
প্রিয় পাঠক, এই বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচের সূচিপত্র দেখুন।