বাজীকরণ ঔষধ — বীর্য বাড়ানোর আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা


বাজীকরণ সংজ্ঞাঃ আয়ুৰ্ব্বেদের অষ্টম অঙ্গ-বাজীকরণ। যে সকল ক্ৰিয়াদ্বারা অশ্বের ন্যায় অত্যধিক রতিশক্তি বর্ধিত হয়, তাহাকে বাজীকরণ কহে। স্বভাবতঃ যাহাদের রতিশক্তি অল্প, অথবা অতিরিক্ত স্ত্রী-সহবাস কিংবা অযথা শুক্রক্ষয়াদি কারণে যাহাদের রতিশক্তির হীনতা ঘটিয়াছে, বাজীকরণ-ঔষধ ব্যবহার করা তাহাদের একান্ত আবশ্যক। স্ত্রী-সহবাসের মুখ্য উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন। রতিশক্তির হীনতা ঘটলে, সেই উদ্দেশ্য সফল হতে পারে না; পুত্রহীন অবস্থায় সংসারে বিবিধ অশান্তি ভােগ করিতে হয়। 

বিশেষতঃ শুক্র ধাতুই শরীরের সার পদার্থ, সুতরাং শুক্রক্ষয় ঘটিলে, ক্রমশঃ সকল ধাতুরই ক্ষয় হয়ে, অকালে শরীর নষ্ট হবারও সম্পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। এইজন্যও বাজীকরণ ঔষধাদি সেবনদ্বারা ক্ষীণশুক্রের পূরণ করা নিতান্ত প্রয়োজন।

সাধারণতঃ ঘৃত, দুগ্ধ, মাংস প্রভৃতি পুষ্টিকর ভােজ্য পদার্থ উপযুক্ত পরিমাণে আহার করিলেই, বাজীকরণ ঔষধের প্রয়োজন অনেক পরিমাণে পূর্ণ হয়ে থাকে। যে সকল দ্রব্য মধুররস, স্নিগ্ধ, পুষ্টিকারক, বলবর্ধক ও তৃপ্তিজনক, সেই সকল পদার্থকে সাধারণতঃ বৃষ্য বা বাজীকরণ বলিয়া আয়ুর্বেদে কথিত আছে। 

প্রিয়তমা এবং অনুরক্তা সুন্দরী যুবতী রমণীই বাজীকরণের প্রধান উপাদান বলিয়া অভিহিত হয়ে থাকে। 

শুক্রবন্ধনের উপায় (বাজীকরণ ঔষধ)

ঘৃতে মাষকলাই ভাজিয়া দুগ্ধের সহিত তাহার পায়েস প্রস্তুত করিয়া, সেবন করিলে শুক্রবৃদ্ধি হয়। দুগ্ধের সহিত গােঙ্গুর, ইক্ষুরস, মাষকলাই, আলকুশীবীজ ও শতমূলী সেবন করিলে, শুক্র বা বীর্য ও রতিশক্তি অত্যন্ত বর্ধিত হয়। স্ত্রী সহবাসে আনন্দ ও সুখ লাভ হয়।

এছাড়াও ধারােষ্ণ দুগ্ধ ও চিনির সহিত আলকুশী বীজের বা তালমাখানা বীজের চূর্ণ, কিংবা কাঁড়াশৃঙ্গীর চূর্ণ সেবন করিলে, শুক্র বা বীর্য বৃদ্ধি ও রতিশক্তি বর্ধিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় দুর্বল পুরুষ সবল হয়ে উঠে, যৌন জীবন আনন্দে ভরে উঠে।

প্রিয় পাঠক, এই সকল ওষুধের উপকরণ কবিরাজি দোকানে পাবেন। বাজীকরণ বিষয়ে আরো পোষ্ট পড়তে নিচের সূচিপত্র দেখুন।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url