জ্বীন ভূতের আছর ও রোগ চিনিবার তদবীর

যে কোন রোগীর কিংবা জ্বিনে পাওয়া ব্যক্তির অবস্থা জানার প্রয়োজন হইলে, সেই রোগীর কপালের চুলের গোড়া হইতে ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথার নখ পর্যন্ত নীল রংয়ের সাতটী সূতা দ্বারা মাপ দিবে। তারপর উক্ত সূতার উপর একবার দুরূদ শরীফ, সাতবার সূরা ফাতেহা ও একবার আয়াতুল কুরছী পাঠ করিয়া প্রতিবারে দম করিবে। ইহার পর নিম্নোক্ত দোয়াটি সাতবার পাঠ করিয়া প্রতিবার সূতায় ফুঁক দিবে।

দোয়া উচ্চারণঃ— ক্বায়ুশিন মাক্কশিন রাজমাশিন মিআশিন শাক্কিছিন মাশিন্ আবুশিন, বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন।

ইহার পর পূর্বের মত সুতাটি রোগীর কপাল হইতে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথা পর্যন্ত মাপ দিবে। যদি উক্ত সূতা এক আঙ্গুল কম হয় তবে মনে করিতে হইবে যে, রোগীর উপর দানবের আছর আছে। যদি দুই আঙ্গুল কম হয় তবে বুঝিতে হইবে যে, তাহার উপর জ্বিনের আছর আছে। আর তিন আঙ্গুল কম হইলে মনে করিতে হইবে যে, তাহার উপর যাদু টোনা করা হইয়াছে। আর চার আঙ্গুল কম হইলে বুঝিতে হইবে যে উনমুচ্ছিবিয়ান হইয়াছে। যদি উক্ত সূতা এক আঙ্গুল বৰ্দ্ধিত হয় তবে বুঝিতে হইবে তাহার উপর বদ নজর বা মুখ দোষ লাগিয়াছে। দুই আঙ্গুল কম হইলে বুঝিতে হইবে যে, ভূত প্রেতের আছর হইয়াছে। তিন আঙ্গুল কম হইলে বাত্তবাতাশের দোষ লাগিয়াছে মনে করিবে। চার আঙ্গুল কম হইলে জ্বর মনে করিবে। আর যদি উক্ত সূতা কম বেশী কিছুই না হয় অর্থাৎ সমান থাকে তবে শারীরিক রোগ মনে করিবে।

রোগীর রোগ চিনিবার দ্বিতীয় তদবীর

যে কোন একটি পাত্রের উপর নিম্নোক্ত তাবিজটি কালি দিয়া লিখিয়া পাত্রটি আগুনের উপর রাখিবে। যদি পাত্রটি গরম হইবার পরে তাবিজের অক্ষরগুলি কালোবর্ণ হইয়া যায় তবে মনে করিতে হইবে শারীরিক অসুস্থতা। আর যদি উহা সাদা বর্ণ ধারণ করে তবে মনে করিতে হইবে যে, যাদু টোনা করা হইয়াছে। আর যদি উক্ত তাবিজ লালবর্ণ হয় তবে মনে করিতে হইবে যে জ্বিন - ভূতের আছর হইয়াছে।

তাবিজটি এই—

مصطلحهم طلعسول ۱۱۳۱۱ ع ح عص ۱۱۸ ۱۱ عصر ۱۱۱۱


রোগীর রোগ পরীক্ষার তৃতীয় তদবীর

কোন লোকের উপর জ্বিন - পরীর আছর কিংবা যে কোন রোগ পরীক্ষা কারীবার প্রয়োজন হইলে অজু করিয়া নিম্নের নকশাটি কাগজে লিখিবে। তারপর উহার উপর এই নামগুলি সাতবার পাঠ করিয়া সাতবার ফুক দিবে।

নামগুলি এই— ملحشفا একবার, بلحشفا দুইবার,  ملحشفا তিনবার।

তারপর নিম্নোক্ত দোয়া পড়িয়া রোগীর হাতের তালুতে ফুঁক দিবে। 

যদি রোগীর মাথা ঘুরায় তবে যাদু টোনার আছর মনে করিবে। আর যদি কাঁদিতে থাকে তবে জ্বিন - ভূতের আছর মনে করিবে। আর যদি রোগীর উপর কোন ক্রিয়া না হয় তবে শারীরিক রোগ মনে করিবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url