কাউকে প্রেমে জড়ানোর তদবির বা নারী বশীকরণ

প্রেম হলো একটি পবিত্র বন্ধন। তাই বলা হয়ে থাকে “প্রেম স্বর্গীয়”। নারী পুরুষের প্রতি আকর্ষিত হবে এবং পুরুষ নারীর প্রতি আকর্ষিত হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম বা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সবাইকে সবার ভালো লাগে না। ধরুন আপনি যাকে ভালবাসলেন বা যাকে আপনার মনে ভালো লেগেছে, সে কিন্তু আপনাকে ভালো না বাসতেও পারে। এমনকি তার মনে অন্য কেউ থাকতে পারে।

যদি আপনি কাউকে ভালোবাসেন এবং তাকে একান্তভাবে কাছে পেতে চান। তাহলে আপনি নিম্নোক্ত তদবিরগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। এই তদবির গুলো প্রয়োগের আগে আপনাকে অবশ্যই একটি কথা বলে রাখা ভাল। সেটা হচ্ছে, শুধু তদবির গুলো করলেই সহজে কাজ হয়ে যাবে এমনটা ভাববেন না।

কারণ, আপনার মনের মানুষ যদি অন্য কারো প্রেমে আগে থেকেই আবদ্ধ থাকেন। বা সে কারো সঙ্গে প্রেম করছে। তখন কিন্তু আপনার এই তদবির খাটবে না।

এর জন্য করতে হবে কি? আগে তার সেই প্রেমটি ভাঙতে হবে। অর্থাৎ তাদের প্রেমের বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে। (নিচে বিদ্বেষণ মন্ত্র বিষয়ক পোস্ট গুলো দেখুন) বিচ্ছেদ ঘটালে আপনার মনের মানুষ একাকীত্ব বোধ করবেন। আর এই একাকিত্বের সুযোগ নিতে আপনি এই তদবির করতে পারেন।

সহজ কথায়, যখন কারো মনে কেউ থাকে না অর্থাৎ মনে কোনো ব্যক্তির প্রতি প্রেম যদি কারো না থাকে। সেই ব্যক্তির প্রতি তদবির গুলো খাটে। মনে করুন, আপনি খাবার খাবেন। যদি আপনার পেট আগে থেকেই ভরা থাকে, তাহলে কি নতুন করে কিছু খেতে পারবেন? এর জন্য আপনাকে পেট খালি করতে হবে,তারপর আবার খেতে হবে। কারণ খালি পেটে খাওয়া যায়। ভরাপেটে নয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো: খারাপ কাজে বশীকরণ বা প্রেমে পটানো পাপ কাজ। এছাড়া কারো মধুর সম্পর্ক নষ্ট করাটাও যেমন অপরাধ, তেমনি গুনাহা। বশীকরণ এর সঠিক প্রয়োগ গুলো বা বিধিবিধানগুলো জানতে “ষটকর্ম” দেখুন আর তদবির প্রয়োগের জন্য মুসলিম নিয়ম গুলো দেখুন। গণক্কার কখনো খারাপ কাজে অনুমতি দেয় না।

প্রেমে আবদ্ধ করিবার তদবীর

কেহ কাহাকেও প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করিতে চাইলে গভীর রাত্রে নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ চৌদ্দবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে কিছু চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কোন বস্তুর উপর দম করিয়া যাহাকে খাওয়াইবে, সে তাহার প্রতি আশেক হইয়া ছুটিয়া আসিবে। আয়াত এই:

يحبونهم كحب الله والذين امنوا اشتحبا لله . 

উচ্চারণ:— ইউহিবধূনাহুম কাহুবিবল্লাহি ওয়াল্লাজীনা আমানূ আশাদ্দ হুববান লিল্লাহি।

মহব্বতে আবদ্ধ করার তদবীর

কোন লোক অন্য লোককে মহববতের বন্ধনে আবদ্ধ করিতে ইচ্ছা করিলে, তাহার পায়ের নিচের মাটি লইয়া এবং নিজের বাম পায়ের তলার মাটি লইয়া উভয়ের মাটি একত্র করিয়া উহার উপর নিম্নোক্ত আয়াত সাতবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে দম করিয়া সেই মাঠি নিজের পায়ের নীচে রাখিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে সে ব্যক্তি পাগলের মত হইয়া অতিশিঘ্র ছুটিয়া আসিবে। আয়াত এই:

هو الذي خلق السموات والأرض في ستة أيام

উচ্চারণ:— হুওয়াল্লাজী খালাক্বা চ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা ফী ছিত্তাতি আইয়ামিন।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url