অগ্নি, নৌকা, কড়াই, তেল, বীর্য স্তম্ভন মন্ত্র তন্ত্র

স্তম্ভন কার্যের পূর্বে সাধক, দেবতা, ঋতু, কাল, দিক প্রভৃতি এই সাইটে ষট্‌কর্মের যে নিয়ম আছে, সেইভাবে কাজ করবে। স্তম্ভন কার্যের পূর্বে বগলামুখীর পূজা করতে হবে। এজন্য (নিম্নে বগলামুখী-প্রয়োগ দেখুন) পূজাবিধি দেখতে হবে। 

বিঃদ্রঃ প্রিয় পাঠক, নিম্নের ঝুঁকিপূর্ণ অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র গুলোতে অবশ্যই নিজ গুরুর অনুমতি এবং পরামর্শ নেবেন।

স্তম্ভনের জন্য বগলামুখী মন্ত্র
যেকোনো স্তম্ভন কাজের পূর্বে দেবীর অবয়ব স্মরণ করে তার ধ্যান করবে। তারপর মন্ত্র দ্বারা তাকে প্রণাম করে স্তম্ভন কর্ম শুরু করবে। সম্ভব হলে মূর্তি বা ফটো রেখে পুজো করবে।

বগলামুখী ধ্যানম্:
ওঁ নানারত্ননিবদ্ধরভ্যরসনাং পীতাম্বরাম্ ভাগ্যদাং
বর্মাশ্বগ্নিশশাঙ্ককরম্য নয়নাং সিংহাসনস্থাং পরাম্। সদ্রাগেয়নিমাং মহাধর্মণিভিরুদ্ ভাসিতাঙ্গী সদা,
দেবেশি বগলামুখী হৃদি ভজে ভক্তেষ্টদাং ভক্তিদাম্ ৷৷

বগলামুখী দেবীর মন্ত্র: ওঁ হ্লীঁং ভগবতী বগলামুখী দেবী সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং পাদং স্তম্ভায় স্তম্ভায় জিহ্বাং কীলয় কীলয় বুদ্ধিং বিনাশয় বিনাশয় হ্লীঁ ওঁ স্বাহা”
দেবীর অস্ত্র: মুগুর
দেবীর বাহন: মৃতদেহ বা প্রেত


বগলামুখী দেবীর চিত্র (অবয়ব)
বগলামুখী দেবীর চিত্র (অবয়ব)


অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র
মন্ত্র—“ওঁ হ্রীং মহিষমর্দিনী লহ লহ হন হন কঠ কঠ স্তম্ভয় স্তম্ভয় অগ্নিং জড়ীভূতং কুরু কুরু স্বাহা হ্রীং।”

মহিষমর্দিনীর পূজাদি সমাপ্ত করে উপরোক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে। তারপর উক্ত সিদ্ধ মন্ত্র ১০৮ বার বলে গায়ে ১০৮টি ফুঁ দিয়ে অগ্নিমধ্যে প্রবেশ করলেও দেহ দগ্ধ হয় না।

মহিষমর্দিনী পূজা
প্রথমে ঘটস্থাপন করে যথাশক্তি উপচারে মহিষমর্দিনীর পূজা করবে।
পূজামন্ত্র—“ওঁ হ্রীং মহিষমর্দিন্যৈ নমঃ।”
হোমের মন্ত্র—“ওঁ হ্রীং মহিষমর্দিন্যৈ স্বাহা।
তর্পণ মন্ত্র—“ওঁ মহিষমর্দিনী দেবীং তর্পয়ামি নমঃ।অভিষেক মন্ত্র—“ওঁ মহিষমর্দিনী অভিষিঞ্চামি।”


নৌকা স্তম্ভন মন্ত্র (১)
মন্ত্র–“ওঁ হ্রীং বগলামুখীং নৌ স্তম্ভয় স্তম্ভয় স্বাহা।”

প্রথমে বগলামুখীর পূজাদি সমাপন করে। উপরোক্ত মন্ত্র ১০,০০০০ (এক লক্ষ) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে। তারপর যার নৌকা স্তম্ভন করতে হবে। মন্ত্র মধ্যে যেখানে 'নৌ' শব্দ আছে, সেখানে ‘অমুকস্য নৌ' উচ্চারণ করে মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলেই নৌকার গতিরোধ করা যায়।

নৌকা স্তম্ভন মন্ত্র (২)
প্রথমোক্ত স্তম্ভন রীতি অনুযায়ী সমস্ত কার্য সমাপ্ত করে। নিম্ন মন্ত্র ১০,০০০০ (এক লক্ষ) বার জপ করবে।

মন্ত্র—“ওঁ হ্রীং বগলামুখীং নৌ স্তম্ভয় স্তম্ভয় স্বাহা।”

১০০০০০ (এক লক্ষ) জপে মন্ত্র সিদ্ধ হবার পর ভরণী নক্ষত্রে পাঁচ অঙ্গুলি পরিমাণ ক্ষীরিকা কাঠের একটি কীলক (খোঁটা) উক্ত মন্ত্রে ১০৮ বার অভিমন্ত্রিত করে নৌকায় নিক্ষেপ করলে নৌকার গতি স্তম্ভন হয়।

আসন স্তম্ভন
মড়ার মাথার খুলি নিয়ে ভালভাবে চূর্ণ করতে হবে। পরে শ্লেষ্মাতক গাছের ফল পেড়ে এনে পেষণ করে মড়ার মাথার চূর্ণের সঙ্গে মেশাতে হবে। এবার এই মিশ্রণ আসনে ২ আঙুল পুরু করে লেপন করবে তারপর আসন শুষ্ক করে নিতে হবে। এবার যখন ইচ্ছা হবে, তখন আসনটি নিয়ে নদীতে গিয়ে নদীর জলে আসন পাতবে ও তার ওপর স্বয়ং বসবে, তাহলে আসন ভেসে থাকবে ও ডুববে না।

গজ স্তম্ভন
শ্বেত কুঁচের মূল তুলে এনে বাহুতে বা মাথায় ধারণ করলে ও হাতীর নিকট গেলে হাতীও স্তম্ভিত হয়।

বীর্য স্তম্ভন
শ্বেত কুঁচের মূল তুলে স্ত্রী সহবাসকালীন মুখ মধ্যে ধারণ করলে সহসা বীর্যপাত হয় না।

পাষাণ স্তম্ভন মন্ত্র
মন্ত্র—“সমুদ্র সমুদ্র মেঁ দীপ দীপ মেঁ কূপ কূপ মেঁ কুহ্ জহা তে চলে হরিহর পরে চারো তরফ্ বরাবর চলা হনুমন্ত্ বরাবত্ চলা ভীম ঈশ্বর গৌরী চলা, ভোলা ঈশ্বর ভান্‌ন্জি মঠ মেঁ জাঈ গওরা ব্যায়ঠী দ্বারে হায় ঠপ্কৈ নউদ্ পরে ল পেলা রাজা ইন্দ্র কী দুহাঈ মেরী ভক্তি গুরুকী শক্তি ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।”

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্র ১০০০ (এক হাজার) জপ করলে সিদ্ধ হয়। এবার কোনও পাথরের দিকে চেয়ে উক্ত মন্ত্র পাঠ করলে পাষাণ স্তম্ভিত হয়। অর্থাৎ পড়বার উপক্রম হলেও পড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কারও আঘাত লাগে না।

কড়াই স্তম্ভন মন্ত্র (১)
মন্ত্র— “মহি থাম্ভো মহি অর্থান্তো থাম্ভো মাটী সার, থান্তনো অপ্‌নো - ব্যয়সন্দর তেহি করো তুষার।

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্র এক ডেলা নুনে ৭ বার পড়ে ফুঁ দিয়ে উনুনে দিয়ে দিলে কড়াই স্তম্ভন হয়। অর্থাৎ গরম কড়াই ঠাণ্ডা হয়ে যায়, যতই গরম করা হোক, কিছুতেই গরম হবে না।

কড়াই স্তম্ভন মন্ত্র (২)
মন্ত্র—‘বন্ বান্ধী বল্ মেঁ, দিনি বান্‌ধৌ বান্‌ধৌ কন্ঠাবীর, তহা থাম্ভৌ তেল তেলাঈ অ থাম্‌ভৌ ব্যায়সন্দর ছার। বন মেঁ প্লুশীতলতাতে লাওয়ে জয় পার ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ তীনি অঞ্চল কেদার দেওয়ী দেওয়ী কামাখা কী দুহাঈ পানি পন্‌খ হোঈ জাই।”

বিধি—প্রথমোক্ত বিধি অনুযায়ী হবে।

তেল স্তম্ভন মন্ত্র
মন্ত্র— তেল থাম্‌ভৌ তেলাঈ থাম্‌ভৌ অগ্নি ব্যায়সন্দর থাম্ভৌ পাঁচ পুত্র কুন্তীকে পাঁচো চলে কেদার অগ্নি চলন্তে হম চলে অগিয়া পরা তুষার্।”

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্র ৭ বার পাঠ করে ফুঁ দিলে কলুর ঘানি থেকে তেল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র (১)
মন্ত্র
“অজ্ঞান বাঁধো বিজ্ঞান বাঁধো বাঁধৌ ঘোরাঘাট।
আট কোটি ব্যায়সন্দর বাঁধৌ অন্ত হমারা ভাঈ।
আনহি দেখে ঝঝকে মোহি দেখি বুঝার।
হনুমত বাঁধৌ পানি দোহ জাই অগ্নি ভবেতে,
কে ভবে জসমত্তো হাথী হোই,
ব্যায়সন্দর বাঁধৌ নারায়ণ,
সাখী মোরী ভক্তি গুরু কী শক্তি,
ফূরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।”

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্রটি সাত বার পাঠ করে ফুঁ দিলে, উনুন নিভে যাবে বা আগুন আর জ্বলবে না।

অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র (২)
মন্ত্র
“অগ্নি বাঁধৌ বাহন বাঁধৌ কুল্ল্যাহা
বাঁধৌ বাঁধৌ বীচ কী বায়ু,
চারিহু খুটে ব্যায়সন্দর বাঁধৌ,
আতস মেরা ভাব।
অওয়র্ দেখে উমগে হম হি দেখে,
শীতল হোই জাই।
অগ্নি গলিগণ্ডে লড়ী বাঁধৌ,
বহিনি বাঁধৌ শাল।
হাথ জরে ন জিহ্বা জরে,
হনুবন্ত বীর কী আজ্ঞা ফূরে,
দেখি বায়ু ওয়ীর্ হনুমন্ত্
তেরী ভক্তি গুরু কী শক্তি
ফূরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।”

বিধি—১নং মন্ত্রের বিধি অনুযায়ী।

অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র (৩)
মন্ত্র
কাচী হান্‌ডী কাচী পালী,
উপর বজ্র কী থালী,
নীচে ভৈরু কিল্‌ কিলায়।
উপর নৃসিংহ গাজে।
জো ইস হান্ডী কো আঁচ লগে তো
অঞ্জনী পুত্র লাজে।
দুহাঈ হনুমন্ত জতী কী।
দুহাঈ অঞ্জনী কে পুত কী।
শব্দ সাঁচা, পিণ্ড কাঁচা।
ফূরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।”

বিধি—১নং স্তম্ভন বিধির ন্যায় হবে।

অগ্নি স্তম্ভন মন্ত্র (৪)
মন্ত্র
“ওঁ নমো জল বাধুং
জলওয়াই বাঁধু, বাঁধু তুবা তাঈ।
নৌরগ্ গাঁও কা ওয়ীর বুলাউঁ।
রহো রহো রে কড়াহী।
জতী হনুমন্ত কী দুহাঈ।”

বিধি—উপরোক্ত ১নং স্তম্ভন বিধির ন্যায়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url