মহব্বত সৃষ্টি এবং অমিল দূর করনের কিছু দোয়া ও নকশা

যে কাউকে মহব্বতে আকৃষ্ট করা বা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করার তদবির এবং স্বামী স্ত্রীর অমিল দূর করনের কিছু নকশা নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করব। এই তদবির গুলো প্রয়োগ করে আপনি কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে সুফল লাভ করবেন এই আশা রাখা যায়।

আজকাল মানুষ দোয়া তদবিরের উপর বিশ্বাস হারাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেখানে টাকাপয়সা, বুদ্ধি বিবেচনা এবং লোক বল প্রয়োগ করেও যখন কোনো সমাধান হয় না। তখন দোয়া তদবিরের উপরেই আমাদের নির্ভর হতে হয়।

এই প্রবন্ধে আমরা কয়েক প্রকারের তদবির নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। একেকটি তদবিরের একেকটি নিয়ম রয়েছে। আমরা তদবিরের সঙ্গে তার প্রয়োগের নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে উপকৃত হবেন।

মহব্বত সৃষ্টির অপুর্ব তদবীর
যদি কেহ কাউকে মহব্বত করতে চায় তবে নিম্নোক্ত নকশাটি ইক্ষুর উপরে লিখে কাঙ্খিত লোককে খাইতে দিবে। আল্লাহর রহমতে মহববত সৃষ্টি হয়ে যাবে। (১ নং নকশা)

মহব্বত সৃষ্টির খোদাই তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি তামার পাতে খুদিয়া সঙ্গে ব্যবহার করিলে উভয়ের মধ্যে মহববত পয়দা হবে। (২ নং নকশা)

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য মহব্বত নিবিড় করিবার তদবীর
নিম্নলিখিত নকশাটি মেশক জাফরানের কালি দ্বারা লিখে পানি দ্বারা ধৌত করিয়া স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ঐ পানি পান করিবে। এই প্রকারে একচল্লিশ দিন পর্যন্ত আমল করিবে। আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মহববত ও পরস্পরের মাঝে আকর্ষণ তীব্র হবে। (৩ নং নকশা)

মহব্বত সৃষ্টির তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখে শলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাবে। আল্লাহর রহমতে দুই জনের মধ্যে মহববত হবে। (৪ নং নকশা)

মহব্বত সৃষ্টির কবজ তদবীর
দুই জনের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি হরিনের ঝিল্লির উপর লিখে কবজ বানাইয়া সঙ্গে ব্যবহার করিলে, আল্লাহর রহমতে মহববত পয়দা হবে। (৫ নং নকশা)

মহব্বত সৃষ্টির তদবীর ৬
দুইজন লোকের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি রেশমী কাপড়ের উপর লিখে সঙ্গে ব্যবহার করিলে, আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি হয়ে যাবে। (৬ নং নকশা)

 

মহব্বত সৃষ্টির তদবীর ৭
দুই ব্যক্তির মাঝে মহব্বত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত নকশাটি মাটির নতুন পাত্রে লিখে আগুনের মধ্যে ফেলিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মহব্বত পয়দা হবে। নিচের ছোট্ট লেখা নকশা টি।

٩ ك ٨١٧٥٨١٢

আবাধ্য স্বামীকে বশ করিবার তদবীর
যে স্বামী স্ত্রীর উপর খুশী নয় বা স্ত্রীকে মনের মত ভালবাসেনা, সর্বদা স্ত্রীর উপর নাখোশ থাকে, এই প্রকার স্বামীকে বশ করিবার জন্য নিম্নোক্ত আমল দ্বারা খুবই সহজ উপায়। মিষ্টি যাতীয় কোন পিঠা বা মোরববা অথবা হালুয়া তৈয়ার করিবার সময় নিম্নোক্ত আয়াত মনে মনে পাঠ করিবে। তারপর মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈয়ার হওয়ার পরে উহার উপর পুনরায় উক্ত আয়াত তিনবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে দম করিবে। ইহার পরে উক্ত মিষ্টান্ন স্বামীকে খাইতে দিবে। আল্লাহর রহমতে স্বামী তাকে ভালবাসিবে এবং আকৃষ্ট হবে।

আয়াত উচ্চারণ: অমিনান্নাছি মাইয়াত্তাখিযু মিন দুনিল্লাহি আনদাদাই ইয়ুহিববূনাহুম কাহুবিবল্লাহি, অল্লাযীনা আমানূ আশদ্দু হুববান লিল্লাহি, অলাত্ত ইয়ারাল্লাযীনা যালামু ইয্ ইয়ারাওনাল আযাবা ইন্নাল কুয়্যাতা লিল্লাহি জামীয়া, অ আন্নাল্লাহা শাদীদুল আযাব।

স্বামীকে স্ত্রীর বাধ্যগত রাখার তদবীর
স্বামীকে স্ত্রীর বাধ্যগত রাখিবার জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখে মাটির ভিতরে গাড়িয়া রাখিবে। নকশার মাঝখানে প্রথম ফলান এবনে ফলানের স্থানে স্বামীর ও তাহার পিতার নাম লিখিবে আর দ্বিতীয় ফলান এবনে ফলানের স্থানে স্ত্রীর নাম ও তাহার পিতার নাম লিখিবে। (নিচে নকশা)

আশেক মাশুকের মধ্যে মিলনের জোড়া তদবীর
যদি কোন ব্যক্তি কাহারও উপর আশেক হয়ে থাকে, তবে নিম্নোক্ত নকশাটি দুইটি লিখে শরবতের মধ্যে গুলিয়ে মাশুককে পান করাবে। আল্লাহর রহমতে উভয়ের মিলন হবে। (জোড়া নকশা)

 

আশেক মাশুকের মিলনের অন্য তদবীর
আশেক ও মাশুকের মধ্যে মিলনের জন্য নিম্নোক্ত নকশা তিনটি লিখে শলিতা বানাইয়া শরিসার তৈল মাখিয়া মাশুকের বাড়ীর দিকে শলিতার মুখ রাখিয়া তিন রাত্রে তিনটি আগুনে জালাবে। নকশার নীচে ফলানের স্থানে আশেক মাশুকের নাম ও পিতার নাম লিখিবে। প্রথমে আশেকের পরে মাশুকের নাম লিখিবে।

কাউকে আশক্ত করার তদবীর
যদি কোন ব্যক্তি কাউকে তাহার প্রতি আশক্ত করতে চায়, তবে নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখে কোন গাছের ডালে ঝুলাইয়া বাঁধিয়া রাখিবে। যখন উহা বাতাসে নড়াচড়া করিবে তখন উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বেকারার হয়ে ছুটিয়া আসিবে। (আশক্ত তদবির)

মহববৎ সৃষ্টি করার রহমতীয়া তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি লিখে শরবতের সাথে গুলিয়ে যার সঙ্গে মহব্বত করতে চায় তাকে পান করাবে। আল্লাহর রহমতে তাহাদের উভয়ের মধ্যে মহববৎ সৃষ্টি হয়ে যাবে। (রহমতীয়া তদবির)

মহব্বৎ সৃষ্টির অপর তদবীর
যদি দুই জনের মধ্যে মহববৎ সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করে, তবে প্রথমে একটুকরা কাগজে “ইয়া শাফীউ” পাঠ করিয়া ফুক দিবে তারপর উক্ত কাগজে নিম্নোক্ত নকশাটি লিখে পানিতে ধৌত করিয়া ঐ পানি উভয়ে পান করিবে। আল্লাহর রহমতে তাহাদের মধ্যে মহববৎ স্থায়ী হবে। (শাফীউ তদবির)

মহব্বত সৃষ্টির তদবীর নকশা
দুই জনের মধ্যে মহববৎ সৃষ্টি করার জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখে শলিতা বানাইয়া উহার মুখ মাতলুবের বাড়ীর দিকে রাখিয়া আগুন দ্বারা জ্বালাবে। (নিচের ক নং নকশা)

মহব্বত সৃষ্টির দ্বিতীয় তদবীর নকশা
দুইজনের মধ্যে মহববত সৃষ্টির জন্য জাফরান গোলা কালি দ্বারা বৃহস্পতিবার দিন নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখে শলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাবে। নকশাটি জ্বালাবার সময় সম্মুখে কিছু গাভীর দুধ রাখিয়া লবে। আল্লাহর রহমতে মহববৎ সৃষ্টি হবে। (নিচের খ নং নকশা)


Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url