কাউকে বশীকরণের কয়েকটি মুসলিম তদবির

প্রিয় পাঠক, আপনাকে স্বাগতম গণক্কারে। এই প্রবন্ধে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হচ্ছে বশীকরণ। বশীকরণ বলতে সহজ কথায় বোঝানো হয়— কাঙ্খিত ব্যক্তি বা প্রাণীকে অলৌকিক ভাবে নিজের কাছে টেনে আনা। এই অলৌকিক শক্তি হলো এক ধরনের মায়া। মানুষ বা প্রাণী বিভিন্নভাবে বশীভূত হতে পারে।

কেউ যদি কারো প্রেমে পড়ে, সেটাও এক ধরনের বশীকরণ। কারণ, প্রেমে পড়লে মানুষ কারো প্রতি আসক্ত হয়। আর আসক্ত হওয়াটাই বশীকরণ। এছাড়াও কেউ যদি কারো ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয় তার ভক্ত হয় বা আকর্ষিত হয়ে সর্বদা তাকে অনুসরণ করা এবং স্বেচ্ছায় তার অধীনস্থ হওয়াটাও কিন্তু বশীকরণ এর মধ্যে পড়ে।

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, মগজ ধোলাই করাটাও একটি বশীকরণ। আমরা যে প্রাণীগুলোকে পোষ মানাই সেটাও কিন্তু বশীকরণ। যাইহোক বশীকরণের অনেক সংজ্ঞা এবং উদাহরণ রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে কথা বললে প্রবন্ধটি বেশ দীর্ঘ হয়ে যাবে। আসুন এই প্রবন্ধের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

একজন মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তার বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হতে পারে। কারণ এটা প্রকৃতির নিয়ম। আপনি যদি আপনার মনের মানুষকে আপনার বশে আনতে চান তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার জন্য। তবে একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল আপনি যাকে বশে আনতে চান সে যেন সিঙ্গেল থাকে। অর্থাৎ তার মনের মধ্যে অন্য কোন ব্যক্তি যেন না থাকে। কারণ ফাঁকা মনে জায়গা করে নেয়া যায়, ভরাট মনে ইতিমধ্যেই অন্য কেউ থাকায় নতুন করে জায়গা পাওয়া যায় না। তবে স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ বিপথগামী স্বামী বা স্ত্রীকে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট নকশাগুলো নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োগ করলে কাজ হবে।

কাহাকেও বশীকরণের তদবীর
কেহ কাহাকেও বশ করিতে চাহিলে একখানা মিহিন কাপড়ের টুকরা লইয়া উহার উপর নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া পলিতা বানাইয়া শরিষার তৈল দ্বারা প্রাদিপে জালাইবে এবং নিজে সেখানে বসিয়া থাকিবে। আর পলিতার মুখ মতলুবের বাড়ীর দিকে রাখিবে। নিম্নোক্ত ছবিতে ১নং নকশাটি প্রযোজ্য।

মহববত ও শত্রু বশ তদবীর
যে স্বামী দাসী অথবা অন্য নারীদের সহিত সহবাস করে, নিজ স্ত্রীকে পছন্দ করে না এই অবস্থায় নিম্নোক্ত নকশাটি দুই টুকড়া কাগজে লিখিয়া একটি স্বামীর ও অপরটি স্ত্রীর ডান হাতে বাঁধিয়া ব্যবহার করিবে। আল্লাহর রহমতে স্বামী আর কখনো অন্য নারীর কাছে যাইবে না নিজ স্ত্রীর নিকটই আসিবে। নিম্নোক্ত ছবিতে ২নং নকশাটি প্রযোজ্য।


স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-প্রীতি প্রতিষ্ঠার বশীকরণ তদবীর
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও ভালবাসা স্থাপনের জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া বালিশের মধ্যে রাখিয়া দিবে! আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে অত্যাধিক প্রেম ও ভালবাসা জন্মিবে।
١٨١١٧٥ واض ٢١٥٢١ ج ۲.۱۲۱ ۱۱۱ ص

প্রেমাশক্তি সঞ্চারের বশীকরণ তদবীর
যদি কাহাকেও নিজের প্রতি প্রেমের বন্ধনে আকৃষ্ট করিতে চায়, তবে নিম্নোক্ত দোয়াটি রবিবার সূর্য উদয়ের সময় লিখিয়া পুরাতন কবরের মধ্যে পুঁতিয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে মতলুব অচিরেই তাহার প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হইয়া ছুটিয়া আসিবে। দোয়ার শেষে উভয়ের নাম লিখিবে।

یا تیلثا باطلوع ما ما عج ما عجا ما عـعـبـوالـي يـالـهـا نا اهیاس اهيا اوصـاون الـرشـداى مـتـبـن ابـلسـيـن و

ملـسـيـن الـححلا الجر الحلا الـعـجـل الـعـجـل الـعـجـل الـوحا بين فلان بن فلان الوحا الوحا- لحب فلان بن فلان

কাহাকেও আশেক করিবার বশীকরণ তদবীর
যদি কেহ কাহাকেও নিজের প্রতি আশেক করিতে বাসনা করে, তবে নিম্নোক্ত নকশাটি তিন টুকরা কাগজে লিখিয়া তিনটি পলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাইবে। এই নিয়মে তিন দিন পর্যন্ত পলিতা জ্বালাইবে। প্রকাশ থাকে যে, নকশার নীচে নিজের নাম পিতার নাম এবং যাহাকে পাইতে চায় তাহার নাম ও মায়ের নাম লিখিতে হইবে।

 ۱۱ ۹۱
عمو ۱۱ عج ع ۱۱ ۱۱ ۱١ 
الحب فلان بن فلان على فلان بنت فلا

মহব্বত পয়দা হইবার বশীকরণ তদবীর
দুইজনের মাঝে মহববত পয়দা করিবার জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি তিনটি কাগজে লিখিয়া পলিতা বানাইয়া তিন দিনে তিনটি আগুনে জ্বালাইবে।

প্রথম দিন:

د اووما ـ ااوا دررار اما هے لادددد لا لا لا ردالا ۱۱۱

দ্বিতীয় দিন:

١١١ ٢١ دد صمخ ۱۱د ۱۱ وی ح برده ۱۱ وداه م ۱۲

তৃতীয় দিন:

۱۱۹دح ۱۱۱۱ لا ۱۱۱ و ۱۱ واع ۱۱ ود ۱۱د اددام مـوح

প্রিয় পাঠক, তদবির প্রয়োগের শাস্ত্রীয় বিধি বা মুসলিম দোয়া তাবিজ আমলের নিয়ম গুলো জানতে ষটকর্ম প্রবন্ধ টি পড়ুন। এখানেই তন্ত্র মন্ত্র দোয়া তদবির প্রয়োগের সঠিক নিয়ম গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url