জ্বীন ভূতের তদবীর ও দোয়া নকশা

আমরা অনেকেই জ্বীন ভূতের কথা শুনেছি। এমনকি এদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন এমন রোগীও বেশ সংখ্যক দেখা গিয়েছে। অনেক সময় জ্বীন ভূতের কবলে পড়ে অনেক ব্যক্তির  নানান ভাবে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।  এইরকম  পরিস্থিতির থেকে মুক্তি পেতে এই জ্বীন ভূতের তদবীর প্রবন্ধটি লেখা হলো। দোয়া-তদবির বা নকশা ব্যবহারের আগে দোয়া তাবিজ বা আমলের নিয়ম সমূহ গুলো অবশ্যই পড়বেন। 

প্রথম তদবির—পানি পড়া

যদি কোন লোকের উপর জিনে আছর করিয়া থাকে, আর রোগী বেহুশ হইয়া যায় তবে সুরায়ে ফাতেহা, আয়াতুল কুরছী এবং সূরায়ে জ্বিনের প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠ করিয়া কিছু পানিতে ফুঁক দিয়া ঐ পানি রোগীর নাকে, মুখে ও চোখে ছিটাইয়া দিলে আল্লাহর রহমতে রোগীর হুশ ফিরিয়া আসিবে। যে বাড়ীতে জ্বিন-ভুতের উপদ্রব আছে সেই বাড়ীর চদুর্দিকে এই পানি ছিটাইয়া দিলে আল্লাহ রহমতে জ্বিন-ভূতের উপদ্রব বন্ধ হইয়া যাইবে।

সূরায় জ্বিনের প্রথম পাঁচ আয়াত:
কুল উহিয়া ইলাইয়্যা আন্নাহুছ্ তামাআা’ নাফারুম্ মিনাল জ্বিন্নে ফাক্বালূ ইন্না ছামেঅ'না কুরআনান আজাবা। ইয়াহ্দী ইলার রুশদি ফা আমান্না বিহী, ওয়ালান্ নুশরিকা বি-রবিবনা আহাদা। ওয়া আন্নাহু তায়া'লা জাদ্দু রাবিবনা মাত্তাখাজা ছাহিবাতাওঁ ওয়ালা ওয়ালাদা। ওয়া আন্নাহু কানা ইয়াক্কুলু ছাফীহুনা আ'লাল্লাহি শতাত্বা। ওয়া আন্না যানান্না আল্লান্ তাকূলাল্ ইনছু ওয়াল জ্বিন্নু আ'লাল্লাহি কাযিবা।

দ্বিতীয় তদবির—তৈল পড়া

জ্বিন গ্রন্থ রোগীর জন্য নিম্নোক্ত আয়াত ও দোয়াগুলি যথা নিয়মে পাঠ করিয়া সরিষার তৈলের উপর ফুঁক দিয়া ঐ তৈল জ্বিন গ্রস্থ রোগীর চোখে, কানে, ও নাকের ভিতরে দিবে। যদি রোগী বেহুস থাকে তবে হুশ হইবে। আর ঐ তৈল গোছলের পর রোগীর সর্ব শরীরে চল্লিশ দিন পর্যন্ত মালিশ করিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন ছাড়য়িা যাইবে, রোগী সুস্থ হইবে। প্রকাশ থাকে যে নিন্মোক্ত দোয়া ও আয়াত সমূহ একেক বার পাঠ করিয়া প্রতিবার তৈলের উপর ফুঁক দিবে।

১। অস্তাগফিরুল্লাহা রাববী মিন কুল্লি যাবিউ ওয়া আতুবু ইলাইহি। (দশ বার)
২। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ'লা ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আছহাবিহী ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লিম। (দশ বার)
৩। সূরায়ে ফাতিহা (তিনবার, তিন শ্বাসে)
8। আয়াতুল কুরছি (তিনবার, তিন শ্বাসে)
উচ্চারণঃ আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যুম। লাতা’ খুজুহু ছিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মাফিচ্ছামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মানযাল্লাযী ইয়াফাউ, ইনদাহু ইল্লা বিইয্নহী, ইয়া'লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশইয়িম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শায়া ওয়াছিয়া কুরছিয্যুহু চ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফয্হুমা ওয়া হুয়াল আ’লিয়্যুল আ'যীম। লা-ইকরাহা। ফিদ্দীনি, ক্বাদ্ তাবাইয়ানার রুশদু মিনাল গাইয়ি্যু, ফামাই ইয়াগফুর বিত্তাগুতি ওয়া ইউমিম বিল্লাহি ফাক্বাদিছ তামছাকা বিল উ’রওয়াতিল উছক্কা, লানফিছামা লাহা ওয়াল্লাহ্ ছামীউ'ন আলীম। আল্লাহ ওয়ালিয়্যুল্লাযীনা আমানু ইউরিজুহুম মিনায্যলুমাতি ইলানূর, ওয়াল্লাযীনা কাফারূ আওলিয়াউহুমুত্ ত্বাগুতু ইউরিযূনাহুম মিনান্ নূরি ইলায্ যূলুমাতি, উলাইকা আছহাবুন্নারি হুম ফীহা খালিদূন।

৫। আয়াতে কুতুব এগারো বার:
উচ্চারণঃ ছুম্মা আনযালা আ’লাইকুম মিম্ বা’দিল গাম্মি আমানাতান্ নুআ’হাই ইয়াগ্‌শা জ্বায়েফাতাম্ মিনকুম, ওয়া ত্বায়েফাতুন ক্বাদ আহাম্মাতহুম আন্‌ফুছাহুম ইয়াযুনূনা বিল্লাহি গাইরাল হাকক্কি যান্নাল য্যাহেলিয়্যাতে, ইয়াক্কুলূনা হাল লানা মিনাল আমরি মিন শাইয়িন, কুল ইন্‌নাল আমরা কুল্লাহ্ ইয়াকূলূনা হাল লানা মিনাল আমরি মিন শাইয়িন, কুল ইন্নাল আমরা কুল্লাহু লিল্লাহি, ইউখফুনা ফী আন্‌ফুছিহিম মালা ইয়াবদূনা লাকা, ইয়াকুলূনা লাও কানা লানা মিনাল আমরি শাইয়য়িন্ মা জ্বতিলনা হা-হুনা, জ্বল লাও কুনতুম ফী বুয়ূতিকুম লাবারাযাল্লাযীনা কুতিবা আ’লাইহিমু। জ্বালু ইলা মাদ্বাজিই’ হিম ওয়ালি ইয়াব তালিয়াল্লাহু মা ফী ছুদূরিকুম, ওয়ালি ইউমাহ্‌হিছা মাফী জ্বলূৱিকুম, ওয়াল্লাহু আ’লীমুন বিযাতিছ্ ছুদূর।

৬। নিম্নের আয়াতগুলি তিনবার:
উচ্চারণঃ আফাহাছিবতুম আন্নামা খালাক্বনাকুম আ’বাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা লা তুরস্কাউ’ন। ফাতা আ'লাল্লাহুল মালিকুল হাক্ব লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া রাব্বুল আরশিল কারীম। মাইয়ীদ্উ’ মাআ' ল্লাহি ইলাহান আখারা লা বুরহানা লাহু বিহী। ফাইন্নামা হিছাবুহু ইন্দা রাব্বিহী, ইন্নাহু লা ইয়ূফলিহুল কাফিরূন। ওয়া কর রাব্বিগ্‌ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

৭। সূরায়ে ছফ্ফাতের নিন্মোক্ত দশ আয়াত তিন বার:
উচ্চারণঃ ওয়াছ্ ছাফ্ফাতি ছাফ্ফান, ফায্যাজিরাতি যাজ্রান, ফাত্তালিয়াতে যিক্রা, ইন্না ইলাহুকুম লা ওয়াহিদ, রাববুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া মা বাইনাহুমা ওয়া রাববুল মাশারিক। ইন্না যাইয়ান্নাহ্ ছামায়া’দ দুনইয়া বিযীনাতি- নিল কাওয়াকিব। ওয়া হিফযাম্ মিন কুল্লি শাইত্বানিম মারিদ। লা ইয়া- চ্ছাম্মাউ’না ইলাল মালাইল আ'লা ওয়া ইয়াক্বযিফূনা মিন কুল্লি জানিব, দুহুরাওঁ ওয়া লাহুম আযাবুওঁ ওয়াছিব। ইল্লা মান খাত্বিফাল খাত্বফাতা ফয়াতবাআ’হু শিহাবুন ছাকিব ফাতাফতিহিম আহুম আশাদ্দু খালক্বান্ আম্মান্ আলাক্বনা। ইন্না খালাক্বনাকুম মিন জ্বীনিল লাযিব।

৮। সুরায়ে আর-রাহমানের নিম্নের দুই আয়াত একবার:
উচ্চারণঃ ইয়া মা’শারাল জ্বিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাত্মা’তুম আন তানফুযূ মিন আক্বত্বারিছ্ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ফানফুযূ লা তানফযূনা ইল্লা বি ছুলত্বান, ফাবি আইয়্যি আলাই রাব্বিকুমা তুকাযযিবান। ইউরছালু আলইকুমা শুওয়ায়ুম্ মিনরিওঁ ওয়া নুহাছুন ফালা তানতাছিরান।

১৩। সূরায়ে কাফেরূন (কুলইয়া আইউহাল কাফিরূন) একবার তৎপর নিম্নের আয়াত একবার:

উচ্চারণঃ ওয়াছবির ওয়ামা ছাবারুকা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা তাহ্যান আলাইহিম ওয়ালা তাকু ফী দ্বাইক্কিম্ মিম্মা ইয়ামকুরুন। ইন্নাল্লাহা মায়া- লাযীনাত্ তাক্ব ওয়াল্ লাযীনা হুম মুহছিনূন।

১১। নূরায়ে এখলাছ (কুলাহু ওয়াল্লাহ্) দশবার
১২। সূরায়ে ফালাক্ব (জ্বল আউজুবি রব্বিল ফালাক্ব) দশবার।
১৩। সূরায়ে নাছ (জ্বলআইজুবি রাব্বিন্নাছ) দশবার।
১৪। সূরায়ে ফাতেহা (আলহামদুলিল্লাহ্) একদমে একবার।
১৫। নিম্নের দোয়া- দশবার:
لاحول ولاقوة إلا بالله العلي العظيم

উচ্চারণঃ লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আ’যীম।

১৬। সূরায়ে জ্বালাম এর নিম্মোক্ত শেষ আয়াত দশবার: 

وإن يكاد الذين كفروا ليزلقونك بأبصارهم لما سمع الذكر ويقولون إنه لمجنون - وما هو إلا ذكر للعلميـن

উচ্চারণঃ ওয়া ইয়্যাকাদু স্নাযীনা কাফার লাইলিক্‌নাকা বি আবছারিহিম লাম্মা ছামিউ’যযিক্রা ওয়া ইয়াক্কুলূনা ইন্নাহু লামাজনূন। ওয়ামা হুয়া ইল্লা যিকরুল লিল আ'লামীন।

১৭। তারপর পাঁচবার দুরূদ শরীফ এবং সাতবার আস্তাগ ফিরুল্লাহ পড়িয়া তৈলের উপর দম করিয়া শেষ করিবে।

বিঃ দ্রঃ- যে তৈল একবার মালিশ করার জন্য বাহির করিবে ঐ তৈল পুনঃ বোতলে রাখিবে না।

তৃতীয় তদবির— তাগা বা সুতা পড়া

রুগীর শরীরের মাথা হইতে পা পর্যন্ত কুসুম রং এর একুশ নাল সুতা লইয়া নিন্মোক্ত নিয়মে একুশটি গিড়া দিয়া উক্ত সুতা রুগীর কোমরে বাঁধিয়া দিবে।

সুতা পড়ার নিয়ম এই—
১। সুরায় ফাতেহা (আলহামদু) সাতবার পাঠ করিয়া সাতটি গিড়া দিবে।
২। আয়াতুল কুরছি সাতবার পাঠ করিয়া প্রতিবার গিড়া দিবে।
৩। সূরায়ে ফাকিরূন এবং ২নং তদবীরের ১০ নং দোয়া (ওয়াছবির ওয়ামা ছাবারুকা) পাঠ করিয়া প্রতিবার গীড়া দিবে মোট সাতটি।

চতুর্থ তদবির— তৈল পড়া

নিম্নোক্ত চেহেলকাফ তিনবার পাঠ করিয়া কিছু সরিষার তৈলে প্রতিবারে ফুঁক দিয়া ঐ তৈল রুগীর উভয় কর্ণে এবং নাকের ছিদ্রে দিয়া শাহাদত অঙ্গুলী উভয় কর্ণের ভিতরে দিয়া চাঁপিয়া ধরিবে, জ্বিন ছাড়িয়া যাইবে। এবং ঐ তৈল পড়া চল্লিশ দিন পর্যন্ত রুগীর সর্ব শরীরে মালিশ করিবে। তৈল শেষ হইবার পূর্বে উহার সহিত তৈল মিলাইয়া লইবে।
চেহেল কাফ এই:

كفاك ربك كم يكفيك - وكنة كنكا نها ككمين كان
من كلوب تكر كرا - كبر الكر في كبد تحكى مشكشكة كلكلك لكل كفاك مابي كفاك الكاف كربته ياكوكبا كان يحكي كوكب الفلك*

উচ্চারণঃ কাফাকা রাববুকা কাম ইয়াকফীকা, ওয়া কিফাতান কিফকা ফুহা ককামামীনিন্ কানা মিন কালুকিন তাকিররু কাররান, কাকাররিল কারির ফী কাবাদিন তাকী মুশাকশাকাতান্ কালুকলুকি লাকাকিন কাফাকা মাবী ফায়াকাল কাফফু কুরবাতাহু ইয়া কাওকাবান কানা ইয়াকী কাওকাবাল ফালাক।

পঞ্চম তদবির— লটকাইবার তাবিজ

নিম্মোক্ত আছহাবে কাহাফের নামগুলি জাফরানের কালি দ্বারা কাগজে লিখিয়া ঘরের বেড়ায় বা দেওয়ালে লটকাইয়া রাখিলে, আল্লাহর রহমতে ঐ ঘরে জ্বিন-ভূত আসিতে পারিবে না এবং উৎপাত বন্ধ ইহয়া যাইবে। আছহাবে কাহাফের নামগুলি এইঃ

الهي بحـومـت يـمـليـخا- مكشلينا - مثـلـيـنا مـرنـوش دبـرنـوش - شادنوش - کفشـطـطـيـوش - قطم قطمير *

ষষ্ঠ তদবির— বাড়ী ঘর বন্ধের জন্য

প্রথমে চার পাঁচ আঙ্গুল লম্বা চারটি লোহা বা পেরেক যোগার করিয়া লইবে। তারপর প্রত্যেকটি লোহার উপরে আলাদা ভাবে নিম্নোক্ত আয়াত একুশবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে ফুঁক দিবে। তারপর লোহার পেরেক চারটি ঘরের চার কোনায় গাড়িয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে ঐ ঘরে আর জ্বিন ভূতের উপদ্রব হইবে না।
আয়াত এইঃ
 
إنهم يكيدون كيدا واكيد كيدا- فمهل الكافرين أمهلهم  رویـدا 

উচ্চারণঃ ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ ওয়া আকীদু কাইদা, ফামাহিলিল কাফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা।

সপ্তম তদবির— হেরজে আবুদজানা

কোন মানুষের উপর অথবা বাড়ী ঘরের উপর জ্বিন-ভূতের উপদ্রব দেখা দিলে, নিম্নোক্ত নিয়মে নামাশরীফের আমল করিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন গ্রন্থ রুগী সুস্থ হইবে এবং বাড়ীঘর হইতে জ্বিন-ভূতের উপদ্রব বন্ধ হইয়া যাইবে। ইহা পরীক্ষিত আমল।

নামা শরীফের আমলঃ রাত্রি দুপুরের সময় নিদ্রা হইতে জাগরিত হইয়া প্রথমে গোছল করিয়া পাক পবিত্র হইবে। অতঃপর জায়নামাজে দাড়াইয়া বার রাকয়াত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করিবে। তারপর জায়নামাজে বসিয়া নিম্নোক্ত দোয়াটি হাজার বার পড়িবে। দোয়াটি হলো:

اللهم صلى على محمدن النبي المبعوث إلى الإنس والجـن والاسود والأحمر والأصغر والاكبر صاحب الكوثر وبارك وسلم 

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদানিন্ নাবিয়্যিল মাব্‌উ’ছি ইলাল ইনছি ওয়াল জ্বিন্নি ওয়াল আছওয়াদি ওয়াল আহমারি ওয়াল আছগারি ওয়াল আকবারি ছাহিবিল কাওছারি ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লিম।

অতঃপর নিন্মোক্ত নামা শরীফ একশত এক চল্লিশবার পাঠ করিবে। এবং এই নামা শরীফ তখন কাগজে লিখিয়া জ্বিন গ্রন্থ রুগীর শিয়রের বালিশের নীচে এক দিন রখিবে। তারপর রুগীর গলায় অথবা হাতে বাঁধিয়া দিবে। আর যেই বাড়ী ঘরে জ্বিনের উপদ্রব আছে সেই ঘরের বেড়ায় অথবা দেওয়ালে এই কাগজ লটকাইয়া রাখিবে। আর এই তদবীর আমল ছাড়াও করা যায়, তবে আমল করিয়া এই তদবীর করিলে অতি উত্তম হইবে। নামা শরীফ এই: 

بسم الله الرحمن الرحيم - هذا كتاب من محمد رسول رب العلمين إلى من يطرق لدار من العتاد والزوار - ولاطارقا يطرق بخير - أما بعد - فإن لنا ولكم في الحق سعة فإن كنـت عاشقا مولعا أو فاجر امقتحما - فهذا كتاب الله ينطق علينا وعليكم بالحق إنا كنا نستنسخ ماكنتم تعملون ورسلنا يكتبون ماتمكرون - أتركوا صاحب كتابي هذا ونطلقوا إلى عبدة الأوثان والأصنام وإلى من يزعم أن مع الله إلها أخر لا إله إلاهو- كل شيئ هالك إلا وجهه - له الحكم وإليه ترجعون - تقلبون حلم لاتنصرون حمعسق تفرق أعـداء الله وبلغت حجة الله ولاحول ولاقوة إلا بالله العلي العظيم فسيكفيكهم الله وهو السميع العليم

উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। হাজা কিতাবুম্ মিন্ মুহাম্মাদির রাছুলি রাব্বিল আ'লামীনা ইলা মান ইয়াত্বরুকু লিদারা মিনাল উ’ম্মারি ওয়ায্ যাওয়ারি, ওয়ালা ত্বারিক্কাই ইয়াত্বরুকু বিখাইরিন, আম্মা বা’দু। ফাইন্না লানা ওয়ালাকুম ফীল হাক্বকি ছিয়া’তুন, ফাইন্‌ কুনতা আ’শিক্বাম মুলিয়া’ন আও ফাজিরাম মুক্বতাহিমান, ফাহাযা কিতাবুল্লাহি ইয়ানত্বিক আ'লাইনা ওয়া আ'লাইকুম বিল হাক্কি, ইন্নাকুন্না নাছতানছিখু মা কুনতুম তা'মালূন। ওয়া রুছুলুনা ইয়াকতুবুনা মা তুমকিরূন। উৎরিকূ ছাহিবা কিতাবী হাজা, ওয়ান জ্বালিক ইলা আ’বাদাতিল আওছানি ওয়াল আছনামি, ওয়া ইলা মাই ইয়ায্-আ’মু আন্না মাআ’ল্লাহি ইলাহান আখারা লা তাক্বলাবূন। হা-মীম লাতুছুরূনা হা-মীম—আইন-ছীন-ক্বাফ তাফাররাক্বা আ’দাউল্লাহি ওয়া বালাগাত হুজ্জাতুল্লাহি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাত ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম। ফাছাইয়াফীকাহুমুল লাহু ওয়া হুওয়াছ্ ছামীউল আ’লীম।

অষ্টম তদবির— নিদ্রায় ভূত প্রেতের আছর হইলে

নিদার মধ্যে যদি কোন লোকের উপর ভূত-প্রেতের আছর হয়, তবে নিম্নোক্ত তাবিজটি কাগজে লিখিয়া রুগীর গলায় বাঁধিয়া দিবে। তাবিজটি এইঃ

الله الرحمن الرحيم - اعوذ بكلمات الله التامات من الله الذي لايضر مع بسم لامة وعيـن بسم شر كل شيطان وهامة اسمه شيئ في السماء ولا في الارض – وهو السميع العليـم - الشيطان اللهم اني اعوذبك من سوء الاحلام ومن ان يتلاعب بي في اليقظة والمنام - اللهـم تحصنت بحسن الف الف لاحول ولاقوة الا بالله العلى العظيـم

নবম তদবির— বাড়ী বন্ধ করার নিয়ম

বসত বাড়ীতে যাহাতে জ্বিন-ভূতের আক্রমণ ও বালা মুছিবত আসিতে না পারে সে জন্য বাড়ী বন্ধ করিতে হয়, ইহার নিয়ম কানুন এই যে, লোহার লম্বা চারটি পেরেক লইয়া উহার প্রত্যেকটির উপর আলাদা ভাবে সূরায়ে মুজ্জাম্মিল তিনবার পাঠ করিয়া দম করিবে, তার পর চেহেলক্বাফ তিনবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে দম করিবে। পূর্বেই ৩/৪ জন কোরআনে হাফেজ যোগার করিয়া রাখিবে। তারপর বাড়ীর এক কোনে সকলে দাড়াইয়া তিনবার সূরায়ে মুজ্জাম্মিল ও তিনবার চেহেলক্বাফ পাঠ করিয়া একজনে আযান দিবে আর আমেল একটি লোহার পেরেক মাটির গর্তের ভিতের গাড়িবে ইহার পর সকলে মিলিয়া নিম্নের দোয়া জোড়ে জোড়ে শব্দ করিয়া পড়িতে পড়িতে অন্য কোনায় যাইবে।

سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله الله اكبر*

উচ্চারণঃ ছুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহ আকবার।

দ্বিতীয় কোনায় পৌছিয়া পূর্বের মত তিনবার সূরায়ে মুজ্জাম্মিল ও তিনবার চেহেল ক্বাফ পাঠ করিয়া আজান দিবে ও পেরেক গাড়িবে। এই প্রকারে অন্য তৃতীয় ও চতুর্থ কোনায় পেরেক গাড়িয়া বাড়ী বন্ধ করার কাজ শেষ করিবে। আল্লাহর রহমতে ঐ বাড়ীতে জ্বিন-ভূতের আছর হইবে না। চেহেল কাফ এইঃ

كفاك ربك كم يكفيك واكفه كفكافها ككمين كان من كلك تكر كرا ككر الكر في كبدي تحكي مشكشكة كلكلك لككا كفاك الكاف مابي كفا كربته يا كوكبا كان يحكي كوكب الفلك

উচ্চারণঃ কাফাকা রাব্বকা কাম ইয়াকফীকা ওয়াকিফাতান। কাফকাফুহা। কাকামীনিন কানা মিন কুলুকিন তাকাররা কুররা কাকাররিল কুররি ফী কাবাদী তাহকী মুশাশাকাতিন কালুকলুকিন লাকাকা কাফাকাল কাফু মাবী কাফা কুরবাতাহু ইয়া কাওকাবা কানা ইয়াহকী কাওকাবাল ফালাকি।

চেহেল ক্বাফের আমল
যদি কোন লোক এক বৈঠকে চল্লিশবার উপরোক্ত চেহেল ক্বাফ পাঠ করিয়া পরবর্তিতে দৈনিক একবার করিয়া উহা পাঠ করে, তবে সে লোক ইহা সর্ব প্রকার তদবীরে ব্যবহার করিতে পারিবে। বিশেষ করে জ্বিন গ্রস্থ রুগীর শরীরে ইহা পাঠ করিয়া ফুক দিলে রোগ ভাল হইবে। সরিষার তৈলে ফুক দিয়া রুগীর চোখে কানে ও নাকে দিলে জ্বিন ছাড়িয়া যাইবে। এবং চল্লিশ দিন পর্যন্ত মালিশ করিবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url