শরীর বন্ধ করার তদবির ও জিন হাজির করার আমল পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক, এই প্রবন্ধের তদবির গুলো সর্তকতা অবলম্বন করে প্রয়োগ করবেন। অবশ্যই একজন ভালো ওস্তাদ বা গুরুর পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে। আর আপনি যদি এই বিষয়ে আগে থেকেই দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে প্রয়োগবিধি গুলো মনোযোগ সহকারে দেখবেন। প্রতিটি প্রবন্ধে আমরা যে কথাটি বলি তা হচ্ছে; দোয়া-তদবির ও নকশা প্রয়োগের বিধি। প্রতিটি তদবিরের সাথে প্রয়োগবিধি উল্লেখ আছে।

বাড়ী বন্ধ করার তদবীর
কোন কোন সময় দেখা যায় যে, অনেকের বাড়ী ঘরে জ্বীন-পরীতে উৎপাত করে, এবং বহু ক্ষতি সাধন করে। এমত অবস্থায় বাড়ী বন্ধ করিলে জ্বীন-পরীতে কোন ক্ষতি করিতে পারেনা। বাড়ীর চতুর্দিকে সীমানা দিয়া তদবীর করিলে ঐ সীমানার ভিতরে জ্বীন-পরীতে কোন প্রকার ক্ষতি করিতে পারে না বা প্রবেশ করিতে পারে না। বাড়ী বন্ধ করার নিয়ম পদ্ধতি এই:— প্রথমতঃ চারটি বড় লোহা (পেরেক) ও চারটি ছোট শিশি (বোতল) যোগার করিয়া লইবে। তারপর সূরায়ে মোজ্জামিল তিনবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে লোহা চারটির উপরে ফুঁক দিবে এবং তিনবার নিম্নোক্ত চেহেল কাফ পাঠ করিয়া তিনটি ফুঁক দিবে। অতঃপর জাফরান ও গোলাব পানির কালি দিয়া নিম্নোক্ত তাবিজটি ও চেহেল ক্বাফ চার টুকরা কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া একটি করিয়া তাবিজ শিশির (বোতলের) ভিতরে ভরিয়া শিশির মুখ এমন ভাবে বন্ধ করিবে, যেন উহার ভিতরে পানি ঢুকিয়া তাবিজ নষ্ট করিয়া না ফেলে। তাবিজটি এই:

سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله اكبرو

চেহেলে কাফ এই:

كفاك ربك كم يكفيك وكفة كنكا نها ككمين كان من كلك تكر كرا گگر الكر في كبد تحكى مشكشكة گلكلك لكي كفاك مابي كفات الكاف كربته ياكوكبا كان يحكي كوكب الفلك

উচ্চারণঃ কাফাকা রাব্বুকা কাম ইয়াকফীকা ওয়া কিফাতাব্ কিফকাফুহা কাকামীনিন্ কানা মিন্ কুলুকিন্ তাকিররু কাররান্, কাকাররিল কার্রি ফী রী কাবাদিন, তাহকী মুশাক্ শাকাতান্ কালু কলূকিন্ লাকাকিন্, কাফাকা মাবী কাফাকাল্ কাফু কুরবাতাহু ইয়া কাওকাবান্, কানা ইয়াহ্কী কাওকাবাল ফুলকি।

এর পর আমেল ব্যক্তি এক বালতি বালু নিয়া নিম্নোক্ত আয়াতটি তিনবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে বালুর উপর ফূক দিবে।

প্রথমেই আজান দেওয়ার জন্য চারজন লোক এবং তাহাদের সঙ্গী হিসাবে আরও চারজন লোক যোগার করিয়া লইবে। আর বালু ছিটাইবার জন্য প্রয়োজন মত লোক যোগার করিয়া লইবে। আয়াতটি এই:

إنهم يكيدون كيدا و اكيد كيدا- فمهل الكفرين
امهلهم رويدا

উচ্চারণঃ ইন্নাহুম ইয়াকীদুনা কাইদাঁও ওয়া আকীদু কাইদা, ফামাহহিল কাফিরীনা আমহিল হুম রুওয়াইদা।

অতঃপর বাড়ী বন্ধের কাজ শুরু করার পূর্বেই সকলের শরীর তিনবার আয়াতুল কুরছী পাঠ করিয়া ফুঁক দিয়া শরীর বন্ধ করিয়া লইবে। যেহেতু কোন কোন বাড়ীতে জ্বিন পরী পূর্বেই আড্ডা পাতিয়া থাকিতে পারে। এইজন্য সাবধান হইয়া কাজ শুরু করিতে হয় নতুবা বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং শরীর বন্ধ করিয়া লইলে তখন আর কোন বিপদের আশংকা থাকে না। তারপর বাড়ীর এক এক কোনে দুইজন করিয়া লোক যাইবে এবং এক সাথে চার কোনায় চারজন লোক আজান দিবে আর বাকী চারজন লোকের একটি পেরেক ও একটি শিশি এক এক কোনায় মাটিতে গড়িয়া মাটি চাপা দিয়া রাখিবে। পূর্বেই বাড়ীর চার কোনায় চারটি গর্ত খুড়িয়া রাখিবে। আর অন্য লোকেরা আজানের মধ্যে সমস্ত বাড়ীতে বালু ছিটাইয়া দিবে। এই কাজ আজান শেষ হইবার পুর্বেই সমাধা করিতে হইবে।

শরীর বন্ধ করার পরীক্ষিত তদবীর
বাড়ী বন্ধ করিবার পুর্বে কিংবা সফরে গিয়া এমন সব জায়গায় উপস্থিত হয়, যেখানে জ্বীন-ভুতের ভয় থাকে, তখন নিম্নোক্ত পরীক্ষিত আমলটি করিলে, তখন আর জ্বীন-ভূতের কোন প্রকার ক্ষতি করিতে পারবে না। তদবীরের নিয়ম এই যেঃ- সর্ব প্রথমে একবার আয়াতুল কুরছী পাঠ করিয়া, পরে সুরায় ফালাক্ ও সুরায় নাছ এবং নিম্নোক্ত আয়াত একবার পড়িয়া হাতের তালুতে ফুঁক দিয়া ঐ হাত দ্বারা মাথা হইতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর মুছিয়া ফেলিবে। আল্লাহর রহমতে ইহাতে জ্বীন-ভুতের আর কোন প্রকার ক্ষতি করিতে পারবে না। আর যদি কোথায়ও রাত্রি যাপন করিতে হয়, তখন উপরোক্ত নিয়মে সব কিছু পাঠ করিয়া একখানা লাঠির উপর ফুক দিয়া ঐ লাঠি দ্বারা নিজের থাকার স্থানের চতুর্দিকে একটি রেখা টানিয়া লইবে। তবে এই রেখা টানিয়া শরীর বন্ধ করিবার পরে বাকী রাত্রিতে কোথায়ও বাহির হইতে পারবে না। যদি বাহির হয় তবে এই বন্ধনে কোন কাজ হইবে না। তবে রাত্রি শেষ হওয়ার পরে বৃত্তের বাহিরে যাইতে পারবে। এই প্রকার আমল করিলে জ্বীন ভুতের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যেহেতু ঐ বৃত্ত্ব জ্বীন-ভূতের নিকট একটি বৃহৎ প্রাচীর সমতুল্য হইবে, তাহারা উহা কিছুতেই লঙ্গন করতে পারবে না। আয়াতটি এই:

قل لن يصيبنا إلا ما كتب الله لنا - هو مولنا وعلى الله فليتوكل المؤمنين

উচ্চারণঃ ক্বুল লাইয়্যুছীবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লাহু লানা, হুওয়া মা ওলানা ওয়া আলাল্লাহি ফাল্ ইয়াতাওয়াক্কালিল মু'মিনূন।

জ্বীন হাজির করার নিয়ম ও আমল
প্রথমে আমল করার জন্য একটি স্থান নির্দিষ্ট করিয়া উহাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া লইবে এবং যে কোন চন্দ্র মাসের প্রথম সপ্তাহে আমল শুরু করিতে হইবে। মানুষের খাবার্তায় আমল করিতে অসুবিধা বিধায়, গভীর রাত্রে সকলে নিদ্রা যাইবার পরে আমল আরম্ভ করিবে।

এই আমল শুরু করার পূর্বে স্থানটিকে ধুপ-লোবান জালাইয়া এবং আতর ব্যবহার করিয়া স্থানটিকে সুবাসিত করিয়া লইবে, সম্ভব হইলে গোলাব পানি ছিটাইয়া নিবে। তারপর পাক পবিত্র হইয়া জায়নামাজে পশ্চিমমুখী হইয়া বসিবে এবং নিম্নের দোয়াটি একহাজার একশতবার একাগ্রমনে পাঠ করিবে। দোয়াটি পড়িবার আগে ও পরে এগার বার করিয়া দরূদ শরীফ পাঠ করিবে। এই প্রকারে বিরতি ছাড়া এই আমল একচল্লিশ দিন পর্যন্ত করিতে হইবে। আমলের মধ্যে নিরামিশ খাইতে হইবে, কোন অবস্থায় মাছ, গোস্ত খাইবেনা। দোয়াটি এই:

بسم الله الرحمن الرحيم- عزمت عليكم يا معشر الجن والإنس ربطا ربطا مثلا محلا نشرا نشرا محشرا بحق سليمان پیغمبرین داود عليهما السلام حاضر شو
حاضر شو- حاضر شو

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আযামতু আলাইকুম ইয়া মা’শরাল জ্বীন্নি ওয়াল ইন্‌সি রাবত্বান রাবত্বান মাহলান মাহলান নশরান নাশরান মাহশারান মাহশারান, বিহাকিক সুলাইমানা পয়গা-স্বারাবনি দাউদা আলাইহিমাছ্ ছালাম। হাযের শাও, হাযের শাও, হাযের শাও।

“হাযের শাও” শব্দটি পাঠ করার সময় হাতে তালি দিতে হইবে। তারপর নিম্নের নকসাটি একটুকরা সাদা কাপড়ে লিখিয়া সলিতা বানাইয়া সরিষার তৈল মাখিয়া আগুন দ্বারা জ্বালাইবে। আমল করতে বসার পুর্বে সুবিধা মত সময় তাবিজটি লিখিয়া লইতে পারেন। প্রকাশ থাকে যে, এই আমল করার প্রথম দিকে জ্বীন হাযির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন ভীত না হইয়া সাহসিকতার সাথে আমল চালাইয়া যাইবে। দোয়াটি পাঠ করার শেষ অবস্থায় কিংবা সালতা জ্বালাইবার সময় জ্বীন বিকট আকার ধারণ করিয়া হাযির হইতে পারে এবং খুব তর্জন গর্জন করিতে পারে। তখন ভীত না হইয়া সাহসের সহিত আমলের কাজ চালাইয়া যাইবে। যেহেতু তাবিজ জ্বালাইবার সময় জ্বীনের শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হইয়া যায়। অতি সাহস ও হিম্মত না থাকিলে এই আমল করিবে না। কারণ অনেক সময় বিপদ হইতে জ্বীন হাযির হইলে তাহার সহিত প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলিবে। নকশাটি এই:

 


ছোট বাচ্চাদের জ্বীনের আছর হইলে উহার তদবীর
ছোট সুন্দর বাচ্চাদের প্রতি মানুষের যেমন নজর পরে, তদ্রুপ জ্বীন-পরীরও নজর পতিত হইয়া থাকে। সেই নজরের তেজ ছোট বাচ্চারা সহ্য করিতে না পারিয়া বেহুশ হইয়া পরে। তখন নিম্নোক্ত তদবীর করিলে জ্বীনের নজর দুর হইয়া বাচ্চার হুশ ফিরিয়া আসিবে।

ছোটবাচ্চাদের প্রতি জ্বীনের নজর পতিত হইলে নিম্নোক্ত দোয়াটি সাতবার পাঠ করিয়া প্রতিবারে বাচ্চার বাম কৰ্ণে ফুঁকদিবে। ইহাতে বাচ্চার হুশ ফিরিয়া আসিবে। যদি ইহাতে বাচ্চার হুশ ফিরিয়া না আসে, তবে, একবার সুরা ফাতেহা, একবার সুরা ফালাক্ব, একবার সুরা নাছ ও তিনবার আয়াতুল কুরছি পাঠ করিয়া বাচ্চার শরীরের উপর ফুঁক দিবে। ইনশাআল্লাহ, জ্বীনের নজর পতিত হইয়া থাকিলে ইহাতে জ্বীনের আছর দূর হইয়া বাচ্চার হুশ হইবে। আর যদি বাচ্চার হুশ না হয়, তখন মনে করিবে যে, বাচ্চার অন্য রোগ হইয়াছে। সে অবস্থায় ভাল ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করাইবে। দোয়াটি এই:

ولقد فتنا سليمان والقينا على كرسيه جسدا ثم اناب

উচ্চারণঃ ওয়ালাক্বন্দ্ ফাতন্না সুলাইমানা ওয়া আলকাইনা আ'লা কুরছিয়্যিহী জাচ্ছাদনি ছুম্মা আনাবা।

জ্বীন হাযির করিয়া কোন বিষয় জানার তদবীর
যেকোন চন্দ্র মাসের প্রথম জুমমার রাত্রে এশার নামাজ শেষ করিয়া ঐ বিছানায় বসিয়া একাগ্রমনে এগারবার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া সুরায় মুয্যাম্মিল একচল্লিশবার পাঠ করিয়া পুনঃ এগারবার দরূদ শরীফ পাঠ করিবে। একাধারে বিরতি ছারা এই আমল চল্লিশ দিন পর্যন্ত করিবে। আমল শেষ হইবার পরে তিনজন, পাঁচজন অথবা সাতজন মিসকিনকে পেট ভরিয়া খানা খাওয়াইবে। ঐ দিন রাত্রিতে পবিত্র বিছানায় নিদ্রা যাইবে। সকাল বেলা নিদ্রাভঙ্গের পরে দেখিবে যে, একজন লোক তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছে, ঐ লোকটিই জ্বীন। তাহার নিকট প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলিবে, সে যে পরামর্শ দিবে সেই মত কাজ করিবে।

ঐ লোকটি প্রকৃত জ্বীন কিনা উহা বুঝিবার জন্য সুরায় জ্বীনের প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠ করিবে। যদি ইহাতে ঐ লোকটি রাগিয়া যায় তবে মনে করিবে ঐ লোকটি প্রকৃত জ্বীন। তবে ইহা না করা ভাল। এর পরে যখন জ্বীন হাযির করার প্রয়োজন হইবে, তখন যেকোন জুময়ার রাত্রে উপরোক্ত নিয়মে একচল্লিশবার সুরায় মুয্যাম্মিল পাঠ করিয়া পবিত্র বিছানায় নিদ্রা যাইবে। সকল বেলা পূর্ব নিয়মে একটি লোক দেখিতে পাইবে। সেই ব্যক্তিকে জ্বীন মনে করিয়া প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা করিবে।

জ্বীনের সর্দারকে উপস্থিত করিয়া তাহার দলের জ্বীনদের উ ৎপাত বন্ধ করার তদবীর কোন নির্দিষ্ট বাড়ী-ঘরে বা অন্য কোন স্থানে জ্বীনেরা আড্ডা পাতিয়া

ঐ বাড়ী ঘরের কিংবা স্থানের লোকজনের ক্ষতি করে কিংবা উৎপীড়ন বা অত্যাচার করে, তবে নিম্নোক্ত আয়াতটি যথা নিয়মে পাঠ করিয়া জ্বীনদের সর্দারকে হাযির করিয়া অভিযোগ পেশ করিলে প্রতিকার পাইবে। আমলের নিয়ম এই:

কোন নির্জন ঘরে রাত্রি দ্বিপ্রহরের পরে ধুপ, লোবান জ্বালাইয়া এবং আতর ব্যবহার করিয়া গোলাব পানি ছিটাইয়া উক্ত ঘর খানাকে সুবাসিত করিবে। তারপর আয়াতুল কুরছি পাঠ করিয়া একখানা চাকুর উপর ফুঁক দিবে। ইহার পরে আয়াতুল কুরছি পাঠ করিতে করিতে নিজের বসার চতুদিকে উক্ত চাকু দ্বারা একটি গোলাকার রেখা টানিয়া লইবে। পুনঃসাবধানতার জন্য আয়াতুল কুরছি পাঠ করিয়া নিজের শরীর বন্ধ করিয়া লইবে।

ইহার পর পশ্চিম মুখী হইয়া এগার বার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া নিম্নোক্ত দোয়াটি একবার পাঠ করিবে। প্রত্যহ এই আমল করিলে আল্লাহর রহমতে একুশ দিনের মধ্যে জ্বীনদের সর্দার হাযির হইবে। তখন তাহার নিকট বিনয়ের সাতে নিজেদের অভিযোগ সমুহ বলিলে আল্লার রহমতে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকার লাভ করিবে। দোয়াটি এই:

يا ايها الملاء إلى القيا إلى كتاب كريم- إنه من سليمان وإنه بسم الله الرحمن الرحيم -

উচ্চারণঃ ইয়া আয়্যুহাল মানাউ ইন্নী উলাক্বিয়া ইলাইয়া কিতাবুন কারীম। ইন্নাহু মিন সুলাইমানা ওয়া ইন্নাহু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

জ্বীনের আছর নষ্ট করার তদবীর
জ্বীনের আছর করিয়াছে কিনা, উহা সর্বাগ্রে পরীক্ষা করা দরকার। জ্বীনে আছর করা রুগীর প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া প্রথমে সুরায় জ্বীনের প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠ করিবে এবং এক গ্লাস পানিতে দম করিয়া রোগীর নাকে মুখে ও শরীরে ছিটাইয়া দিবে। ইহাতে যদি রুগী চিৎকার দেয় কিংবা কোন প্রকার নরম সুরে কথা বলে, তবে মনে করিতে হইবে যে, সত্যই রুগীর উপর জ্বীনের আছর হইয়াছে। এই অবস্থায় নিম্নোক্ত দোয়াটি রুগীকে শুনাইয়া তিনবার পাঠ করিবে এবং পানিতে ফুক দিয়া উহা পান করাইবে। ইহাতে যদি আছর দূর হইয়া যায় তো ভাল কথা, নতুবা পুণঃ ঐ দোয়াটি তিনবার পাঠ করিয়া এক গ্লাস পানিতে ফুঁক দিয়া রূগীর মুখ মন্ডলে ও শরীরে ছিটাইয়া দিবে। ইহাতেও যদি আছর দূর না হয়, তবে একটু সাদা কাপড়ে দোয়াটি লিখিয়া সলিতা তৈয়ার করিয়া সরিষার তৈল দ্বারা আগুনে জ্বালাইয়া উহার ধোয়া রোগীর নাকে মুখে ও শরীরে দিবে। আল্লাহর রহমতে ইহার পর আর আছর থাকিবে না, জ্বীন রূগীকে ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে। দোয়াটি এই:

وعزمت عليكم برب جبرائيل وميكائيل وإسرافيل وعز رائيل أمنحنا الذي جعل العرش- عزمت عليكم بالذي اجاب ون واذهب له عيسى ابن مريم وايدنـاه بـروح القدس عزمت عليكم بخاتم سليمان ابن داود عليهما السلام الذي ع سخرية الرياح والجن والشيطان سريعا

উচ্চারণঃ ওয়া আযামতু আলাইকুম বিরাব্বি জিবরাঈলা ওয়া মীকাইলা ওয়া ইসরাফীলা ওয়া আয্রাঈলা আমনাহ্ নাল্লাজী জায়ালাল আরশা, আযামতু আলাইকুম বিল্লাযী আজাবা ওয়া আযহাবা লাহু ঈসাবনু মারইয়ামা, ওয়া আইয়্যাদনাহু বিরূহিল ক্বুন্দুছ। আযামতু আলাইকুম বিখাতামি সুলাইমানাব্‌নি দাঁউদা আলাইহিমাস্ সালাল্লাযী সাখখারা লাহুর রিযাহা ওয়াল জ্বিশা ওয়াস্ শাইত্বানা ছারীআ।

আল্লাহর রহমতে জ্বীনের আছর দুর হইয়া রুগী সুস্থ হইলে পর, সুরায়ে জ্বীনের প্রথম পাঁচ আয়াত কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া রুগীর গলায় বা হাতে বাঁধিয়া দিবে কমের পক্ষে এই তাবিজ একচল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করিবে। তবে এর পরেও ব্যবহার করিলে ভাল হয়।

জ্বীন-পরীর আছর নষ্ট করার তদবীর
যদি কাহাকেও জ্বীন-পরীতে আছর করে, তবে একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়া উহার উপর একবার সুরায় ফতেহা, একবার আয়াতুল কুরছী ও সুরায় জ্বীনের প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠ করিয়া দম করতঃ রূগীর মুখ মন্ডলে ও শরীরে ছিটাইয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীন-পরীর আছর দূর হইয়া যাইবে।

জ্বীন ভূতের আছর দূর করার তদবীর
কোন মানুষের উপর জ্বীন-ভুতের আছর করিলে নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করিয়া তাহার শরীরে ফুঁক দিবে এবং পানিতে ফুঁক দিয়া রুগীকে পান করাইবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীন-ভুতের আছর দূর হইয়া যাইবে। আয়াত এই:

إذ قال يوسف لابيه يا أبت إني رأيت أحد عشر كوكبا والشمس والقمر رأيتهم لي سجدين بمعشر الجن ولانس إن شتطعتم أن تنفذوا من أقطار السموات والأرض فانفذوا لاتنفذون إلا بسلطان

উচ্চারণঃ ইয্ ক্বালা ইউছুফু লিআবিহে ইয়া আবাতি ইন্নী রাআইতু আহাদা আশারা কাওকাবাওঁ ওয়াশ্ শামছা ওয়াল ক্বামারা রাআইতুহুম লী ছাজেদীন। ইয়া মা’শারাল জ্বিন্নি ওয়াল ইন্‌সি ইনিছ তাত্বা'তুমআন্ তানফুযু মিন আক্তা—রিছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ফানফুযু লা তান ফুযুনা ইল্লা বিছুলত্বান।

জ্বীন-ভুতের আছর দূর করার তদবীর
কোন লোকের উপর যদি কখনো কোন জ্বীন-পরীতে আছর করিয়া কষ্ট দিতে থাকে, তখন নিম্নোক্ত আয়াত সমুহ নীলরংয়ের কাপড়ের টুকরায় লিখিয়া ঐ লোকের গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীন-ভূতের আছর দূর হইয়া যাইবে। আয়াত গুলি এই:

 



Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url