জ্বীন শয়তান জ্বালাইবার এবং বোতলে ভরার নকশা তদবির

জিন-ভূতের আছর এবং রোগী পরীক্ষা করার তদবির সহ দুষ্টু শয়তান জ্বীন বোতলে ভরার, জ্বালাবার উপায় মূলক কিছুসংখ্যক তদবির, নকশা ও দোয়া নিয়ে আলোচনা করা হলো। সতর্কতা এবং উস্তাদ বা গুরুর পরামর্শ অনুযায়ী নিম্নোক্ত তদবির গুলো প্রয়োগ করবেন। অন্যথায় নিজের ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা রয়েছে।

জ্বীন শয়তান জ্বালাইবার তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি পলিতায় লিখিয়া সরিষার তৈল নূতন প্রদিপে দিয়া পাক পবিত্র স্থানে বসিয়া জ্বালাইবে। রোগীকে প্রদিপের দিকে নজর করিতে বলিবে এবং উক্ত স্থানে আতর গোলাব ও সুবাসিত ফুল রাখিবে। নকশাটি এই:

 


জ্বীনকে বোতলে ভরিবার তদবীর

দুষ্টু জ্বীনকে বোতলে ভরিবার ইচ্ছা হইলে, বড় একটি বোতল নিয়া নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়িয়া দম করিবে। এবং কাগজে লিখিয়া বোতলের মুখে বাঁধিবে, অন্য একটি লিখিয়া বোতলের ভিতরে ঢুকাইয়া যখন বুঝিবে যে বোতল ভারী হইয়াছে, তখন মনে করিতে হইবে জ্বীন ঢুকিয়াছে। ইহার পর বোতলের মুখ ভাল করিয়া বন্ধ করিবে এবং মোম দ্বারা আটকাইয়া দিবে। তারপর বোতলটি মাটির মধ্যে দাদন করিয়া রাখিবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১ নং নকশা)

জ্বীন-ভূত দূর করার তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি পলিতায় লিখিয়া আগুণে জ্বালাইবে। ইহাতে জ্বীন দূর হইয়া যাইবে, অথবা জালিয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ২ নং নকশা)

জ্বীন দূর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া পলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাইয়া উহার ধোঁয়া রুগীর শরীরে দিবে। জ্বীন দূর হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৩ নং নকশা)

জ্বীন দূর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া পলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাইয়া রুগীর নাকে ধোঁয়া দিবে। ইহাতে জ্বীন ছাড়িয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৪ নং নকশা)


জ্বীন-ভূত দুর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া পলিতা বানাইয়া আগুনে জ্বালাইয়া রোগীর নাকে উহার ধোঁয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীন দূর হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৫ নং নকশা)

ঘরে জ্বীন পরীতে ঢিল মারিলে উহার তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া যেই ঘরে জ্বীনে ঢিল মারে সেই ঘরের দেওয়ালে লটকাইয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে ঢিল মারা বন্ধ হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৬ নং নকশা)


জ্বীনের আছর দূর করার তদবীর

যেই ঘরের মধ্যে জ্বীন-ভূতের আছর আছে, নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া সেই ঘরের পূর্ব মুখী করিয়া লটকাইয়া রাখিবে। আল্লার রহমতে জ্বীনের আছর দূর হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৭ নং নকশা)

জ্বীনের আছর দূর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া রুগীর গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীনের আছর দুর হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৮ নং নকশা)

জ্বীনের আছর দূর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া জ্বীনের আছর গ্রস্থরোগীর হাতে বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে রোগী আরগ্য লাভ করিবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ৯ নং নকশা)


জ্বীনের আছর দূর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত সুরায় নূরের নকশাটি কাগজে লিখিয়া ঘরের চার কোনায় লটকাইয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীনের আছর বন্ধ হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১০ নং নকশা)

জ্বীনের আছর দুর করার অন্য তদবীর

নিম্নোক্ত নকশাটি চীনামাটির বরতনে লিখিয়া পানি দ্বারা ধুইয়া রুগীকে পান করাইবে। এতে রোগী আরোগ্য হইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১১ নং নকশা)

জ্বীনের আছর হইতে বাচ্চাদের রক্ষার তদবীর

রবিবার দিন সাদা মোরগের রক্তদ্বারা নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া সন্তানের গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীন-ভুতের আছর হইতে রক্ষা পাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১২ নং নকশা)


গৃহ হইতে জ্বীনের আছর দূর করার তদবীর

যেই সমস্ত গৃহে জ্বীনের আছর করার আশংকা আছে সেই সকল গৃহে নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া দেওয়ালে লটকাইয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বীনের আছর হইতে রক্ষা পাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১৩ নং নকশা)

সূরায় জ্বীনের নকশা

যদি কোন লোক সুরায় জ্বীনের নকশা কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া সঙ্গে ব্যবহার করে, তবে সে ব্যক্তি জ্বীনের আছর হইতে রক্ষা পাইবে। সাতবার সুরায় জ্বীন পড়িলে জ্বীন-ভূত ভাগিয়া যাইবে। যদি কেহ প্রত্যহ এই সুরা অজিফা বানাইয়া পাঠ করে, তবে জ্বীন তাহার বাধ্য হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১৪ নং নকশা)


জ্বীন দুর করার জন্য চেহেল ক্বাফের নকশা

জ্বীন গ্রন্থ রোগীর সাথের জ্বীন দূর করার জন্য নিম্নোক্ত চেহেল ক্বাফের নকশা কাগজে লিখিয়া রুগীর সঙ্গে বাঁধিলে জ্বীন দূর হইয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১৫ নং নকশা)

জ্বীন-ভূত তাড়াইবার তদবীর

জ্বীনের আছর গ্রস্থ রোগীর জ্বীন তাড়াইবার জন্য নিম্নোক্ত নকশাটি মুলার রস দিয়া লিখিয়া আগুনে জ্বালাইয়া রুগীর শরীরে ধোঁয়া দিলে জ্বীন ভূত ভাগিয়া যাইবে। (নিম্নোক্ত চিত্রের ১৬ নং নকশা)


জ্বীন-ভূতের আছর এবং রোগ পরীক্ষার তদবীর

প্রথমে সাত গাছি নীল রংয়ের সূতা যোগার করিবে। তারপর যাহার রোগ পরীক্ষা করিবে, তাহার মাথার চুলের গোড়া হইতে পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলীর মাথা পর্যন্ত মাপিয়া লইবে। ইহার পর ঐ সুতার উপর একবার দরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ফুঁক দিবে। তারপর আলহামদু সুরা সাতবার পড়িয়া প্রতিবারেই ঐ সূতার উপর ফুঁক দিবে এবং আয়াতুল কুরছী একবার পড়িয়া ফুঁক দিবে। তারপর নিম্নোক্ত দোয়া সাতবার পড়িয়া প্রতিবারে ফুঁক দিবে। দোয়াটি এই:

بسم الله الرحمن الرحيم قيوش منش رجمش ميعاش
شائیس ماش ابوش برحمتك يا أرحم الرحمين

উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ক্বায়ুশিন্ মাক্কশিণ রাজমাশিন্ মীআশিন্ শাব্বীশিন মাশিন্ আবুসিন, বি-রাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

অতঃপর রোগীর শরীরে পুর্বের মত সুতা মাপিয়া দেখিবে, সুতা ছোট বড় হইয়াছে না সমান সমান আছে। যদি সুতা এক আঙ্গুল ছোট হয়, তবে মনে করিবে জ্বীন-পরীর আছর। যদি তিন আঙ্গুল কম হয়, তবে মনে করিবে যাদু টোনার আছর। আর যদি চার আঙ্গুল কম হয়, তবে মনে করিবে মাতৃকা রোগ। যদি এক আঙ্গুল বড় হয়, তবে মনে করিবে, মানুষের বদনজর বা মুখ দোষ লাগিয়াছে। যদি দুই আঙ্গুল বড় হয়, তবে ভূত-প্রেতের আছর। আর যদি তিন আঙ্গুল বড় হয়, তবে মনে করিবে যে, বাও বাতাস লাগিয়াছে। আর যদি চার আঙ্গুল বড় হয়, তবে মনে করিবে যে তাপ বাড়িয়াছে বা জ্বর হইয়াছে। আর যদি সুতা সমান সমান থাকে, তবে মনে করিবে যে, শারীরিক রোগ।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url