জ্বিন-ভূত হাজির করিয়া খতম বা বন্দি করার তদবীর

জ্বিন-ভূত হাজির করিয়া খতম বা বন্দি করার তদবীর। সর্বাগ্রে আমল কারী চল্লিশ দিনের একটি চিল্লার নিয়াত করিবে। তার পর প্রত্যহ নিম্নের শব্দগুলি দাওয়াতের নিয়াতে তিনহাজার একশত পঁচিশ বার পাঠ করিবে।

ا اهو محاس محرحن صر هو

উচ্চারণঃ এ এ হুয়া মাহাছ মাহারহান ছার হুয়া।

এইভাবে প্রত্যহ পাঠ করিলে চল্লিশ দিনে মোট এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করা হইবে। উক্ত শব্দগুলি পাঠ করা আরম্ভ করার পূর্বে হযরত রাছুলে পাকের নামে কিছু মিষ্টান্ন ফাতেহা দিয়া ছোট বাচ্চাদেরকে উহা বন্টন করিয়া দিবে। প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে উক্ত সব্দগুলি পোনার বার করিয়া পাঠ করিতে থাকিবে। চিল্লা শেষ হইবার পরে যে কোন সময় জ্বিন হাজির করিবার ইচ্ছা করিবে, তখন একটি ছোট সুন্দর বাচ্চা শিশুকে গোছল করাইয়া পরিষ্কার জামা কাপড় পড়াইয়া পবিত্র স্থানে বসাইবে। শিশুর হাতের তালুতে يا على “ইয়া আলী” শব্দটি আরবীতে লিখিবে এবং উপরে বর্ণিত আরবী সূরাটি তিনবার পাঠ করিবে। ইহার পর শিশুর হাতে يا على শব্দটি কালি দিয়া ঢাকিয়া ফেলিবে, এবং ইহার উপর খুশবুদার ভাল আতর লাগাইবে। তৎপর উক্ত সূরাটি পাঠ করিয়া শিশুর হাতের তালুতে দম করিবে এবং باگریم দুইবার পাঠ করিয়া শিশুর চোখের উপর দম করিবে। ইহার পর শিশুটিকে প্রশ্ন করিবে। যে, সে কালির ভিতরে কিছু দেখিতেছে কি না? মোয়াক্কেল ইসমাঈল উক্ত কালির মধ্যে হাজির হইবে, উহা শিশুটি তাহার চক্ষু দ্বারা দেখিতে পাইবে। যদি মোয়াক্কেল ইসমাঈল লাল রংয়ের পোষাক পরিধান অবস্থায় থাকে, তবে তখন তাহার দ্বারা কোন কাজ করাইবেনা এবং সে অবস্থায় আমল বন্ধ করিয়া ফেলিবে। আর যদি সে কাল রংয়ের পোষাক পরিহিত অবস্থায় থাকে, তবে মনে করিবে ইহা শয়তানের ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যদি সে সবুজ রংয়ের পোষাক পরিহিত অবস্থায় থাকে, তবে ইহা ভাল মনে করিবে এবং এই অবস্থায় আমল করিলে কোন ক্ষতি হইবে না। তখন শিশুটিকে বলিবে যে, মোয়াকেকলের কাছে আমার ছালাম বল এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করবে, অমুক লোকের উপর জ্বিন-ভূতের আছর হইয়াছে কিনা? বা কোন রোগ ব্যাধি আছে কিনা? যদি জ্বিন-ভূতের আছর হইয়া থাকে তবে সেই জ্বিন ভূতকে বন্দি করিয়া আন। ইহার পরে মোয়াকেকল ঐ জ্বিনকে ধরিয়া আনিয়া হাজির কিরয়া দিবে। অতঃপর আমলকারী প্রয়োজন অনুসারে জ্বিনকে জবেহ করিতে পারে কিংবা বোতলে বন্ধী করিয়া রাখিতে পারে অথবা যদি ছাড়িয়া যাইতে ওয়াদা করে এবং যেই তদবীর করিতে মোয়াকেকল বলিবে সেই তদবীর করিয়া জ্বিনকে ছাড়িয়া দিবে। অর্থাৎ তখন আমলকারী যাহা করিতে বলিবে মোয়াকেকল তাহাই করিয়া দিবে। আর যদি মোয়াকেকল বলে যে, জ্বিনের আছর নহে, ইহা রোগীর শারীরিক রোগ, তবে মোয়াকেকলে নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া যে ঔষধের কথা বলিবে তাহা রুগীর জন্য ব্যবস্থা করিবে।

দুষ্ট জ্বিনকে জ্বালাইবার তদবীর
কোন লোকের উপর দুষ্ট জ্বিন-ভূতে আছর করিলে, তাহাকে প্রথমে সাতটি কুয়ার অথবা সাতটি পুকুরের পানি যোগার করিয়া গোছল করাইবে। আর একটি স্থানকে মাটি দ্বারা লেপিয়া ঐ স্থানে একটি নূতন পাতিল রাখিয়া উহার ভিতর একটি প্রদিপে সরিষার তৈল ঢালিয়া রাখিবে। তারপর নিম্নোক্ত নকশা ও সূরাটি সলিতায় লিখিয়া উক্ত তৈলের ভিতর রাখিয়া জ্বালাইবে। আর আছর গ্রস্থ লোককে উহার নিকট বসাইয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন চলিয়া যাইবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরাটির ভিতর ফালান বিনতে ফালানের স্থানে রোগীর নাম ও তাহার মায়ের নামে লিখিবে। নকশা ও সূরাটি এই:
 

জিন ছারাইবার তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া জ্বিনগ্রস্থ রোগীর গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন ছারিয়া যাইবে। (১ নং নকশা)

জ্বিন-ভূত দফে করার তদবীর
জ্বিন-ভূতে পাওয়া রোগীকে নিম্নোক্ত নকশাটি চিনা বরতনে লিখিয়া পানি দ্বারা ধুইয়া রোগীকে পান করাইবে। আল্লাহর রহমতে আছীব দফে হইয়া যাইবে। (২ নং নকশা)


জ্বিন—পরী দফে করার তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া রুগীর গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন-পরীর আছর দফে হইয়া যাইবে। (৩ নং নকশা)

জ্বিন—পরী দফে করার অন্য তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া আছর গ্রস্থ রোগীর গলায় বাঁধিয়া দিবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন-পরী দূর হইয়া যাইবে। (৪ নং নকশা)


বাড়ী—ঘর হইতে জ্বিনের আছর দূর করার তদবীর
কাঠের পাতলা তক্তার উপর নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া সেই বাড়ীর কোন গাছের ডালে বাঁধিয়া রাখিলে, আল্লাহর রহমতে উক্ত বাড়ীতে জ্বিন ভূতের আছর হইবে না। এবং চান্দির পাতের উপর ইহা খুদিয়া ছোট ছেলে মেয়েদের গলায় দিলে, আল্লাহর রহমতে দুষ্ট জ্বিন-পরীর আছর হইতে রক্ষা পাইবে।(৫ নং নকশা)

জিনে বাড়ীঘরে ঢিল নিক্ষেপ করিলে উহার তদবীর
কোন বাড়ীঘরে জ্বিন-ভূতে ঢিল নিক্ষেপ করিলে নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া ঘরের দেওয়ালে বা চৌকাঠের উপর লটকাইয়া রাখিবে। আল্লাহর রহমতে ঢিল নিক্ষেপ করা বন্দ হইয়া যাইবে (৬ নং নকশা)


জ্বিন—পরী জ্বালাইবার তদবীর
যদি কোন বদ জ্বিন ছাড়িয়া যাইতে নারাজ হয় তবে নিম্নোক্ত নকশাটি কাপড়ের উপর লিখিয়া কনজুদ তৈল দ্বারা জ্বালাইবে। আল্লাহর রহমতে জ্বিন-পরী জ্বালিয়া যাইবে। (৭ নং নকশা)

ভূত-পেত্নী জ্বালাইবার অন্য তদবীর
যদি কোন লোকের উপর জ্বিন-ভূতের আছর হইয়া থাকে এবং ঐ জ্বিন-ভূত ছাড়িয়া যাইতে না চায়, তখন আমেল নিম্নোক্ত নকশাটি সলিতায় লিখিয়া সরিষার তৈল দ্বারা জ্বালাইবে। ইহাতে জ্বিন-ভুত পুড়িয়া যাইবে অথবা ছাড়িয়া যাইবে। (৮ নং নকশা)

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url