প্রিয় পাঠক, এই প্রবন্ধে আমরা জিন-ভূতের আছর দূর করার কিছু মুসলিম তদবির-নকশা নিয়ে আলোচনা করব। এই নকশা-তদবির গুলোর মাধ্যমে আপনি জীন-ভূতের বদ নজর থেকে বাঁচতে পারবেন। তদবির গুলো ব্যবহারের পূর্বে গোসল করে নিবে, পবিত্র থাকবে, পরিষ্কার পোশাক পড়বে এবং ঐদিন মাছ-মাংস খাবে না। মনে বিশ্বাস রেখে তদবির গুলো প্রয়োগ করবে।
জ্বিন-ভূতের আছর দূর করার তদবীর
জ্বিন-ভূতের আছর দূর করার জন্য নিন্মোক্ত নকশাটি সলিতায় লিখিয়া সরিষার তৈল দ্বারা জ্বালাইবে। নকশাটি লিখার সময় আতর ব্যবহার করিবে এবং লোবান জ্বালাইবে। আল্লাহর রহমতে যত জ্বিন-ভূত হউকনা কেন উহার আছর দূর হইয়া যাইবে। নকশাটি এই:
প্রকাশ থাকে যে, তাবিজের ভিতরে ফালান বিনতে ফলানের স্থানে রোগীর নাম ও তহার মায়ের নাম লিখিতে হইবে।
দুষ্ট জ্বিনের আছর দূর করার তদবীর
দুষ্ট জ্বিনের আছর দূর করার জন্য নিম্নের তাবিজটি সলিতায় লিখিয়া সরিষার তৈল দ্বারা জ্বালাইবে, আল্লাহর রহমতে দুষ্টু জ্বিনের আছর দূর হয়ে যাবে। প্রকাশ থাকে যে, ফালান স্থানে রুগীর নাম লিখিবে। (১নং নকশা)
জ্বিনের আছর দূর করার পরীক্ষিত তদবীর
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া আছর গ্রস্থ রোগীর গলায় বাঁধিয়া দিলে, আল্লাহর রহমতে যতবড় দুষ্ট জিন হউকনা কেন সে দূর হইয়া যাবে। (২নং নকশা)
বদ জ্বিনের আছর দূর করার তদবীর
বদ জ্বিনের আছর প্রস্থ রোগীর গলায় নিম্নোক্ত তাবিজটি কাগজে লিখিয়া বাঁধিয়া দিলে আল্লাহর রহমতে আছর দূর হইয়া যাইবে। তাবিজটি এই:
بسم الله الرحمن الرحيم - احفظ من جميع الجن والانس والثقلان بحق اياك نعبد واياك نستعين - سبوح قدوس ربنا ورب الملئكة والروح حي حي هو هو بـحـق اهدنا الصراط المستقيم ياغفور یاغفور
۱۱ ۱۱۱ ۲۱۹ ۳۱ ٣و ۸۷۱۱ع ودو ٣١عـه ح ح ح ٤١ هـ
সর্বপ্রকার জ্বিনের আছর দূর করার তদবীর
সর্বাগ্রে ঘরখানা লেপিয়া মুছিয়া পরিষ্কার করতঃ লোবান, চন্দনের ধোয়া দিবে এবং কুপুর ও ফুল দিয়া ঘরকে সুবাসিত করিবে। আর সাতবিড়া পানি ও সাতশত গ্রাম মিঠাই খরিদ করিয়া উহা হযরত মখদুম আশরাফ (রঃ) এর নামে ফাতেহা দিয়া তাহার রুহের উপর বখশিশ করিবে। তারপর নিম্নোক্ত নকশা ও তাবিজগুলি সলিতায় লিখিয়া নতুন প্রদীপে সরিষার তৈল দ্বারা জ্বালাইবে। আল্লাহর রহমতে যে কোন প্রকার আছর জ্বলিয়া খতম হইয়া যাইবে। নকশা ও তাবিজ এই:
