জ্বীন ভূত রোগীর উপড় হাজির করার তদবির

কোন ব্যক্তি যদি কখনো দুষ্ট জিন-ভূতের কবলে পড়ে থাকে অথবা তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে এই প্রবন্ধে উল্লেখিত দোয়া-দরুদ ও তদবির গুলো বিশ্বাসের সহিত প্রয়োগ করলে উক্ত সমস্যা হইতে সুস্থতা লাভ করবেন। ইনশাআল্লাহ।

জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিবার আমল

যদি বিশেষ কারণে জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিয়া তাহার নিকট হইতে কোন বিষয় জানিবার বা জিজ্ঞাসা করিবার প্রয়োজন হইলে, প্রথমে জাকাত স্বরূপ নিম্নের সূরাটি এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পাঠ করিবে। ইহার পরে একটি অতি সুন্দর চেহারার নাবালগ ছেলেকে গোছল করাইয়া পরিস্কার জামা কাপড় পরিধান করাইয়া খুশবুদার আতর মাখিয়া ঐ বালকের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিটিকে কাজল দ্বারা কাল করিয়া ফেলিবে। তার পর উক্ত বালকটিকে আমল কারীর সম্মুখে বসাইয়া নিম্নের সূরাটি পড়িতে থাকিবে। এইরূপ পড়িতে পড়িতে যখন জ্বিনের বাদশা ঐ বালকের বদ্ধাঙ্গুলির নখের ভিতরে আসিয়া উপস্থিত হইবে, তখন সূরা পাঠ করা বন্ধ করিবে। তখন জ্বিনের বাদশার নিকট যে কোন বিষয় জানিবার দরকার উহা প্রশ্ন করিবে। আল্লাহ্ রহমতে জ্বিনের বাদশা সঠিক উত্তর দিবে। সূরাটি এইঃ
 الله الصمدى يامحمد مددی

উচ্চারণঃ আল্লাহু চ্ছামাদী ইয়া মুহাম্মাদু মাদাদী।

আমল কারীর সঙ্গী দুষ্ট জ্বিন হাজির করার আমল 

আমল কারীর সঙ্গের দুষ্ট জ্বিনকে হাজির করিতে ইচ্ছা করিলে, নিজ বাম হাত দ্বারা গোবরের সাতটি গোলা বানাইবে। ইহার পরে মেশক জাফরানের কালি দ্বারা একটুকরা কাগজে নিম্নের সূরাটি লিখিবে। সূরাটি লিখার পরে বাম হাত দ্বারা মাটির মধ্যে একটি গর্ত খুড়িয়া উহার ভিতরে বাম হাত দিয়া উক্ত গোবরের গোলা কয়টি এবং সূরা লিখা কাগজটি পুতিয়া রাখিবে। ইহাতে দুষ্টু জ্বিন হাজির হইবে। সূরাটি এইঃ
عے مر ر د و من مر عـ هر عـه

জ্বীন-ভূত রোগীর উপর হাজির করার তদবীর

প্রথমে নিম্নোক্ত নশাটির যাকাত স্বরূপ এক হাজার এক খানা নকশা কাগজে লিখিয়া নদীর মধ্যে ফেলিয়া দিবে। ইহার পর এক টুকরা, কাগজে নকশাটি লিখিয়া জ্বিনে পাওয়া রুগীর সম্মুখে রাখিয়া নকশাটির মধ্য খানের কাল স্থানটির প্রতি নজর করিতে বলিবে। এই অবস্থায় নকশাটির মোয়াক্কেল গণ জ্বিনটিকে ধরিয়া আনিয়া নকশার কাল স্থানে হাজির করিবে। তখন রুগী নিজেই বুঝিতে পারিবে যে, সে কিভাবে কাহার দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে। আমেল তখন জ্বিনকে তাহার প্রয়োজনীয় প্রশ্নাদি জিজ্ঞাসা করিবে। নকশাটি এইঃ 

জ্বীনে ধরা রোগীর উপর মোয়াক্কেল হাজির করার তদবীর

শনিবার, রবিবার কিংবা মঙ্গলবার দিবগত রাত্রিতে নিম্নোক্ত নকশাটি সলিতার উপর লিখিয়া নূতন প্রদিপে গরুর চর্বি দিয়া জ্বালাইবে। আর রোগীকে উক্ত প্রদিপের উপর নজর করিতে বলিবে। এই প্রকার কাজ করিলে জ্বিন পাওয়া রোগীর উপর তাহার মোয়াকেকল হাজির হইবে। তখন আমলকারী তাহাকে প্রশ্ন করিয়া রোগ সম্পর্কে জানিয়া লইবে। মোয়াক্কেল ঠিকমত উত্তর দিবে। নকশাটি এইঃ

জ্বিনের বাদশাকে হাজীর করিয়া ব্যবস্থা করার তদবীর 

কোন লোকের উপর জ্বিন-পরীর আছর হইলে, উহা ছাড়াইবার জন্য যদি জ্বিন-পরীর বাদশাকে হাজির করার প্রয়োজন হয়, তবে প্রথমে রোগীকে গোছল করাইয়া পবিত্র পোষাক পরিধান করাইয়া পবিত্র স্থানে বসাইবে। এবং ঐ স্থানে ধূপ- লোবান জ্বালাইবে আর আতর দ্বারা সুবাসিত করিবে। তাহার পরে নিম্নোক্ত নকশাটি সলিতায় লিখিয়া জ্বিন-পরীতে পাওয়া রোগীর সম্মুখে জ্বালাইবে। ইহাতে জ্বিনের বাদশা রোগীর উপর উপস্থিত হইবে অথবা জ্বিন-পরি রোগীকে ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে। যদি জ্বিনের বাদশা হাজির হয় তবে তাহার নিকট দরকারী কথা জিজ্ঞাসা করিবে, সে ঠিকমত উত্তর দিবে। নকশাটি এইঃ


জ্বিন—পরী দূর করার তদবীর 
জ্বিন-পরীতে পাওয়া রোগীর গলায় নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া বাঁধিয়া দিলে, জ্বিন—পরী ছাড়িয়া যাইবে। আল্লাহর রহমতে রুগী সুস্থ হয়ে যাবে। (১ম নকশা)

জ্বিনের আছর দূর করার তদবীর
জ্বিন-ভূতের আছর গ্রস্থ রোগীর গলায় নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজে লিখিয়া কবজ বানাইয়া বাঁধিয়া দিলে, আল্লাহর রহমতে জ্বিনের আছর দূর হয়ে যাবে। (২য় নাকশা)

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url