ত্রৈলোক্যমোহন গৌরী মন্ত্র (তান্ত্রিক সম্মোহনী বিদ্যা)

তন্ত্র-মন্ত্র শাস্ত্র গুলো পর্যালোচনা করলে সম্মোহন বিদ্যার অস্তিত্ব সহজেই পাওয়া যায়। সম্মোহন এমন একটি বিদ্যা, যার মাধ্যমে কাউকে মোহিত করে নিজের বশে আনা সম্ভব। এবং ওই ব্যক্তি দ্বারা নিজের কাজ হাসিল করা যায়। প্রাচীন কাহিনী এবং পুরান গুলো পর্যালোচনা করলে মোহিনী বিদ্যার বহুল চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি তন্ত্র শাস্ত্রে মোহিনী নামে এক দেবীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। 

সম্মোহন বিদ্যায় মোহিনী দেবী সহ একাধিক দেবীর সম্মোহন মন্ত্র-তন্ত্রের প্রমাণ মেলে। যেখানে একেকটি মন্ত্র একেকটি বিধি অনুযায়ী শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। এই প্রবন্ধে আমরা ত্রৈলোক্যমোহন গৌরী মন্ত্র নিয়ে চর্চা করব। এই মন্ত্রটি বিধি মোতাবেক পালন করলে, আপনি যে কাউকে সম্মোহিত করে আপনার বশে আনতে সফল হবেন। মন্ত্র তন্ত্রের বিস্তারিত প্রয়োগ বিধি জানার জন্য ষটকর্ম প্রবন্ধটি পড়ুন। 

মন্ত্র— “ওঁ হ্লীং নমো ব্রহ্মশ্রীরাজিতে রাজপূজায়ে জয় বিজয় গৌরি গান্ধারী ত্রিভুবন বশঙ্করী সর্বস্ত্রীপুরুষ বশঙ্করী সু সু দু দু ঘে ঘে বা বা হ্রীং স্বাহা।”

বিধি— উপরোক্ত মন্ত্রটি প্রত্যহ ১০৮ বার করে জপ করলে মোহন মন্ত্র সিদ্ধ হয়। ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) জপ সম্পূর্ণ হলে যথাবিধি ঘৃত সহযোগে বিল্বপত্র সমিধ দ্বারা জপের দশাংশ হোম, দশাংশ তর্পণ, দশাংশ মার্জন করবে। এতে মন্ত্র সিদ্ধ হবে। প্রয়োজন সময়ে যাকে মোহিত করতে হবে, তার নাম কুঙ্কুমের দ্বারা ভূর্জপত্রে লিখে ধূপ-দীপ জ্বেলে উক্ত সিদ্ধ মন্ত্র ১০৮ বার জপ করে ভুর্জপত্রে ফুঁ দেবে। তার সেই পুরুষ বা নারী মোহিত হবে।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url