রুগ্নতা নাশক শক্তিশালী দুর্লভ বজ্রযোগিনী মন্ত্র

মানব শরীরে এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা এবং মানসিক সমস্যা থাকে, যা ওষুধের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। অথচ এই অবস্থাকে কাটিয়ে তোলার জন্য মানুষেরা কিছু পরীক্ষিত তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে সুফল পেতে পারে। যে মন্ত্র গুলো প্রাচীন যুগ থেকে চর্চার মাধ্যমে সাধকগণ উপকৃত হয়ে আসছে।

এই প্রবন্ধে আমরা তেমনি একটা মন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। মন্ত্রটির নাম “বজ্রযোগিনী”। দেবী বজ্রযোগিনী অন্যের কল্যাণ এবং আত্মকেন্দ্রিকতা ধ্বংস করার জন্য প্রবলভাবে সক্রিয় থাকেন। তন্ত্র শাস্ত্র মতে, যে সকল ব্যক্তির অনুভূতিগুলি অত্যন্ত প্রবল, বজ্রযোগিনী তাদের ক্ষেত্রে আদর্শ। কারণ, দেবী সেই সকল অনুভূতিকে বুদ্ধসুলভ (জ্ঞানী) গুণাবলিতে রূপান্তরিত করেন। দেবী বজ্রযোগিনী এক অনুত্তরযোগ তন্ত্র ইষ্টদেবতা। এই দেবী সর্ববুদ্ধডাকিনী নামেও পরিচিতা, যার অর্থ "সকল বুদ্ধের (সার) ডাকিনী"।

বজ্রযোগিনী ধ্যানম্:

ওঁ ইন্দ্রাগ্নিসূর্য্যং নয়না পাশাঙ্কুশধরাং শিবাম্। দ্বিভুজাং সিংহমধ্যস্থাং ভজেঽহং বজ্রযোগিনীম্‌।

বিঃদ্রঃ “ঽ” অক্ষরটি নিয়ে অনেকেই শংকিত থাকেন। এটাকে অবগ্রহ বর্ণ বলে। যা সংস্কৃতে "অ" স্বরের বিলোপ চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হতো। এই অক্ষরটিকে দীর্ঘ “অ” হিসেবে উচ্চারণ করতে হয়। যেমন: "শিবোঽহম্" (সন্ধিবিচ্ছেদ: শিব+অহম) বা শুনঽঽঽ...(উচ্চারণ হবে: শুনঅঅঅ...)।

মন্ত্র— “ওঁ হ্লীং, বজ্রযোগিন্যৈ স্বাহা।”

বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র প্রত্যহ প্রাতে, দুপুরে ও সন্ধ্যায় ১০৮ বার করে জপ করলে রুগ্ন দেহ পুষ্ট হয়। বজ্রযোগিনী দেবী শরীরের সমস্ত রোগ নিরাময় করে শরীরকে বজ্রের তুল্য দৃঢ় করে।

প্রিয় পাঠক, আমাদের অবিশ্বাস এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রভাবে আমার এই মন্ত্র গুলো ভুলে যেতে বসেছি। গণক্কার এই হারিয়ে যাওয়া মন্ত্র গুলো সবার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আলোচনা করে। তন্ত্র-মন্ত্রের শুদ্ধ বানান এবং ব্যবহারবিধি গুলোর দিকে গণক্কার সবসময় নজর রাখে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url