শুক্র স্তম্ভনে ৪টি তন্ত্র | বেশিক্ষণ আলিঙ্গনের উপায়

তন্ত্র শাস্ত্রে স্পষ্টভাবেই যৌন জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছে। এখানে আলিঙ্গনকে একটি আরাধনার মাধ্যম বলে বিবেচনা করা হয়। এই প্রবন্ধটি তাদের জন্য যারা আলিঙ্গনে অল্পতেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তবে এর সমাধান আমরা তন্ত্র-শাস্ত্র থেকেই তুলে ধরবো। নিম্নের চারটি তন্ত্র উপায় বলা হলো।


এক
ওঁ নমঃ খড়্গবজ্রপাণয়ে মহাব্রহ্মসেনাপতয়ে স্বাহা।
ওঁ রুদ্র হ্রাং হ্রীং বরশক্তা হরিতবিদ্যা।
ওঁ মাতরো স্তম্ভয় স্বাহা।”
মহাসুগন্ধিকা মূলং শুক্রং স্তম্ভেৎ কটৌ স্থিতম্।

ষটকর্মের নিয়মানুসারে উপরোল্লিখিত মন্ত্রে মহাপুৎন্ধিক মূল অভিমন্ত্রিত করিয়া কটিতে ধারণ করিলে নিশ্চিত শুক্র স্তম্ভন হইয়া থাকে। ইহা মহাদেবের বাক্য, সঠিকরূপে কার্য করিতে পারিলে নিশ্চিত ফল প্রাপ্ত হবে।


দুই
ব্রহ্মদন্ডশিখা বকত্রে ক্ষিপ্ত্বা শুক্রস্য স্তম্ভনম্।
মূলং জয়ন্ত্যা বক্‌ত্রস্থং ব্যবহারে জয়প্রদম্ ।

ষটকর্মের নিয়মাদি সমাধান পূর্ব্বক ব্রহ্মদণ্ডী বৃক্ষের মুল মুখের মধ্যে ধারণ করিলে শুক্র স্তম্ভন হয় এবং জয়ন্তী বৃক্ষের মূল মুখ মধ্যে ধারণ করিলে ব্যবহারে জয় লাভ হইয়া থাকে।


তিন
রক্তাপামার্গমূলস্ত সোমবারে নিমন্ত্রয়েৎ।
ভৌমে প্রাতঃ সমুদ্ধত্য কট্যাং বদ্ধা তু বীর্যধৃক্॥

সোমবারে ষট্‌কর্ম্মাদি সমাপন করিবে, পরে মঙ্গলবার রাতে রক্তাপামার্গ বৃক্ষের মূল উত্তোজন করিয়া কটিতে ধারণ করিলে শুক্র স্তম্ভন হয়। বলা বাহুল্য সোমবার দিবস রক্তাপামার্গ বৃক্ষকে নিমন্ত্রণ করা আবশ্যক। মূল তোলার নিয়ম বিধি পড়তে এখানে ক্লিক করুন


চার
ইন্দ্রবারুণিকামূলং পুষ্যে নগ্নঃ সমুদ্ধরেৎ।
কটুত্রয়ৈর্গবাং ক্ষীরৈঃ সংপিষ্য গোলকীকৃতম্ ॥
ছায়াশুষ্কং স্থিতঞ্চশ্যে বীর্য্যস্তস্তকরং পরম্।

ষটকর্মাদি  সমাধান পূর্বক পুষ্যানক্ষত্রে রাখালশসা বৃক্ষের মূল উত্তোলন করিবে। পরে তাহা শুঁঠ, পিপুল ও মরিচ সহযোগে গো-দুগ্ধ দ্বারা পেষণ করতঃ বটিকা প্রস্তুত করিবে। ছায়ায় শুষ্ক করিয়া ঐ বটিকা মুখ মধ্যে ধারণ করিলে শুরু স্তম্ভন হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url