ভূতকে দিয়ে কথা বলানো এবং ভূত মারণ মন্ত্র

ভূত প্রেত বিশ্বাস অবিশ্বাস ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভূত প্রেতে বিশ্বাস না করলেও তাদের বিষয়ে সবারই ধারণা আছে। এই প্রবন্ধে আমরা ভূতকে দিয়ে কথা বলানো এবং ভূত মারণ প্রসঙ্গে আলোচনা করব। এখানে ভূতকে দিয়ে কথা বলানো এবং ভূত-প্রেত বিনাশের মন্ত্র তুলে ধরা হয়েছে। যারা এই মন্ত্র গুলো প্রয়োগ করবেন তারা অবশ্যই সাবধানতার সহিত এবং বিধি নিয়ম গুলো ভালো করে দেখে তারপর প্রয়োগ করবেন। মন্ত্র প্রয়োগে ভুল-ত্রুটি হলে গণক্কার দায়ী নয়।

ভূতকে কথা বলানো মন্ত্র


ওঁ নমো আদেশ গুরু কো, 
নারী জায়া নারসিংহ, 
অঞ্জনী জায়া হনুমন্ত, 
বানে জারী বীজ ভবন্তা, 
বা তোড়ী গাঢ় লঙ্কা তেরী পাখরি কৌন ভরে, 
নারসিংহ বলবন্ত বন মেঁ ফিরে,
অবোলড়া ভঁওয়র্ খিলাে কেশ 
ওয়ারো ভাটো মধু কী পীদে,
বারা বক্রা বায় ন ধায়ে,
তো নারসিংহ তু দওড় মশানা জায়,
সাত পাঁচ নে মার খায়,
সাত পাঁচ নে চখ্ খাই, 
দেখুঁ নারসিংহ ওয়ীর তেরে মন্ত্র কী শক্তি,
হাড়া হাড় মেঁ সঁ,
চাম চাম মেঁ সূঁ, নখ নখ মেঁ সঁ, 
রোম্ রোম্ মেঁ সুঁ, বার বার মেঁ সঁ, 
অমুকী কে নও নারী বহত্তর্ কোঠা মেঁ, 
ও খেদ্ কো পকড় আনি হাজির না করে তো 
মাতা নাহরী কা চুংখা,
দূধ হরাম করে, রাজা রামচন্দ্র কো পড়ী
কাট ভৈ পড়ে, শব্দ সাঁচা, পিণ্ড কাঁচা,
ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরোবাচা।

বিঃদ্রঃ—মন্ত্র মধ্যে অমুকী শব্দের স্থলে ভূত-গ্রস্ত রোগীর নাম বলতে হবে।

বিধি—প্রথমে লিখিত বিধি অনুযায়ী ১০০০ (এক হাজার) জপ করে মন্ত্র সিদ্ধ হতে হবে। তারপর কালো মরিচ নিয়ে ৭বার উক্ত মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে ভূতগ্রস্ত রোগীকে খাওয়ালে ভূত প্রশ্নের উত্তর দেবে ও চীৎকার করবে। তারপর নিচের নারসিংহ মন্ত্রে ভুত ছাড়াবে।

নৃসিংহ মন্ত্ৰ


“ওঁ নমো নারসিংহায়
হিরণ্যকশিপু বক্ষ বিদারণায়,
ত্রিভুবন ব্যাপকায় ভূত-প্রেত পিশাচ-
শাকিনী ডাকিনী কীলোন্মূলনায়। 
সন্তুষ্ট ভব, সমস্ত দোষাণ হন হন, 
সর সর চল চল কম্প কম্প মথ মথ 
হুং ফট হুঁ ফট ঠঃ ঠঃ 
মহারুদ্র জাপিয়াৎ স্বাহা।

বিধি—প্রথমে উক্ত মন্ত্র গ্রহণের দিন কিংবা দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন, অথবা দোল পূর্ণিমার দিন ১০০০ (এক হাজার) জপ করবে। তার ফলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে।  তারপর প্রয়োগ করতে হবে। 

ভূত মারণ মন্ত্র


“ওঁ নমো আদেশ গুরু কো।
হনুমন্ত ওয়ীর বজরঙ্গী বজ্রধার, 
ডাকিনি শাকিনি ভূত-প্রেত জিন্ কো,
ঠোক্ ঠোক্ মার্ মার্, 
নহী মারে তো— 
নিরঞ্জন নিরাকার কা দুহাঈ।”

বিধি—শনিবার দিন আরম্ভ করে ২১ দিন পর্যন্ত শ্রীহনুমানজীর বিধিমত পূজা করবে এবং প্রত্যহ উক্ত মন্ত্র ১২১ বার জপ করবে। তার ফলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে। পরে চৌরাস্তার কাকর অথবা মাষ কলাই হাতে নিয়ে উক্ত মন্ত্রে ৭বার অভিমন্ত্রিত করে ভূতগ্রস্ত রোগীর দেহে নিক্ষেপ করলে ভূত মারা যায়, রোগীও আরোগ্য হয়।

এই বিষয়ে আরো মন্ত্র পড়তে ভূত-পেতাদি মন্ত্র সূচিপত্র দেখুন। 
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url