ভূত বন্দীকরণ এবং ডাকিনী শাকিনি নামানো মন্ত্র
"ভূত" মৃত ব্যক্তির আত্মা বা আত্মার ধারণাকে বোঝায় যা মৃত্যুর পরেও বিদ্যমান থাকে। ভূতের প্রতি বিশ্বাস অনেক সংস্কৃতি এবং বিশ্বাস ব্যবস্থার অংশ। এটি লোককাহিনী, ধর্মীয়, পৌরাণিক এবং শতাব্দীর জনপ্রিয় সংস্কৃতি। ডাকিনী-শাকিনি বলতে বুঝায় কিছু অশরীরী নিম্ন জীব। যারা অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। যাদের বশ করে ভালো-খারাপ দুটো কাজই করানো যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এদের মন্দের দিকটাই বেশি।
বিভিন্ন দেশে ভূত সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। এইসব স্থানে ভূতকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, সেটা তাদের ভাষার কারণে। এমনকি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন প্রকার ভূত বন্দির মন্ত্রও প্রচলিত রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা একটি ভূত বন্দির মন্ত্র ও একটি ডাকিনী-শাকিনি নামানো মন্ত্র নিয়ে আলোচনা করব। এই মন্ত্রটি ভারত এবং বাংলাদেশের তান্ত্রিকগণ প্রয়োগ করে থাকেন। মন্ত্রটি প্রয়োগের আগে অবশ্যই আপনাকে দেহ বন্ধ মন্ত্র জানতে হবে। দেহবন্দ করে তারপর ভূত বন্দী করনে যাবেন। এই মন্ত্র দুটি নতুনদের জন্য নয়। তবে চর্চা করার জন্য আপনি বিজ্ঞ কোন তান্ত্রিক বা সাধুকে ধরতে পারেন, যিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ।
ভূতকে বন্দীকরণ মন্ত্র
মন্ত্র— বন্ধ্ বন্ধ্ শিব বন্ধ্ শিব বন্ধ্।
বিধি—উপরোক্ত মন্ত্র দ্বারা অভিমন্ত্রিত করে মাষ কলাই ভূতগ্রস্ত রোগীর দেহে নিক্ষেপ করলে ভূত বন্দী হয়। প্রথমে শনিবার দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করে সিদ্ধ হতে হবে।
ডাকিনি-শাকিনি নামানো মন্ত্র
মন্ত্র— ওঁ নমো হনুমান জী আয়া কাঁঈ আয়া কাঈ, কাঈ লায়া ডাকিনি শাকিনি, আন্ আন্ কুরু কুরু স্বাহা।
বিধি—প্রথমে উক্তমন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করে সিদ্ধ হবে। পরে রোগীর মাতা-পিতার দ্বারা পেষণ করা আটা বা মাষকলাই নিয়ে দু'টি পুতুল তৈরী করবে। পুতুল দুটিকে ৩০০ গ্রাম তেলে ভিজাবে, সেটি রোগীর গায়ে ৭ বার ওপর থেকে নিচে বুলিয়ে জ্বালাবে। পরে মাথার দিকে ৩ বার মন্ত্র পড়ে, মাষ কলাই এবং জল পুতুলের ওপর মারতে থাকবে। তারপর একটি থালায় জল রেখে তার ওপর পুতুলটি দাড় করিয়ে তাকে ডাকিনি মনে ভেবে তার ওপর জ্বলন্ত দ্বিতীয় পুতুলটির তেল ঢালবে। পুতুলটি যেন ঠিক জলেই থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। এই প্রক্রিয়ার দ্বারা শাকিনি ডাকিনি প্রভৃতি দূর হয়।