দেহ রক্ষা বা শরীর বন্ধ করার মন্ত্র
ভূত-প্রেত ছাড়াতে যাওয়ার আগে নিজের দেহকে রক্ষা বা শরীর বন্ধ করতে হয়। আপনি যদি নিজের শরীর বন্ধ না করে ভূত ছাড়াতে চান তাহলে আপনার বিপদ হতে পারে। যেমন আপনার উপর ভর করতে পারে। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগেই আপনার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। তাই যারা ভূতপ্রেত ছাড়ান তারা কোথাও যাওয়ার আগে নিজের শরীর বন্ধ করেন, তারপর গন্তব্য স্থলে যান। এই প্রবন্ধে আমরা শরীর বন্ধ করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি তুলে ধরব। তবে সবচেয়ে ভালো হয়; আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে একজন গুরু ধরুন। কারণ এই পদ্ধতি গুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
আত্মসার মন্ত্র (ধুলো পড়া)
কাঁউর কামিখ্যা মাতা দিল মোরে সাড়া।
সেই মায়ের দোহাই দিয়ে এই ধুলো পড়া।
ফুঁক দিয়ে বুকে, মুখে পিঠে আর শিরে।
গুহ্যে লিঙ্গে হাতে পায়ে, আর নবদ্বারে।
অধঃ ঊর্ধ্ব, আশে পাশে, ছড়াইয়া দিয়ে।
জয় চণ্ডীর দাস চলে, জয় সঙ্গে নিয়ে ৷
কার বাপে রোখে মোরে, কার বুকের পাটা।
চৌষট্টি যোগিনী সাথে হাড়ির ঝি চণ্ডিকা ৷
ঘোরে ফিরে আট প্রহর ছাওয়ালের কাছে।
ভয় নাই বুকে মোর যাই দশ দিশে ॥
বিধি—প্রথমে মন্ত্রটি হৃদয়ে চিন্তা করে বাঁ হাতে একমুঠো ধূলো নিয়ে আবার ঐ মন্ত্র চিন্তা করবে। তারপর ধূলো মুঠো ওপর দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মাথা ও দেহে সেই ধূলি গ্রহণ করে, গন্তব্য স্থানে যাবে।
দেহ রক্ষা মন্ত্র (১)
ভূত-প্রেত প্রভৃতি তাড়াতে গেলে, আগে নিজের দেহকে রক্ষা করতে হয়। তা না হলে সাধকের ওপর বিপদ আসে।
মন্ত্র— “ও পরমাত্মনে পরব্রহ্ম নমঃ।
মম শরীরং পাহি পাহি কুরু কুরু স্বাহা॥”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্রটি ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করলে সিদ্ধ হয়। এবার কোনও কাজে বা ভূত-প্রেত তাড়াতে গেলে প্রথমে উপরোক্ত মন্ত্র ৩ বার পড়ে ৩ বার নিজের দেহে ফুঁ দিয়ে যেতে হবে। রোগীর কাছে গিয়ে যেখানে বসবে, সেখানে 'নিজের চারদিকে ৩ বার মন্ত্র পড়ে মাটিতে গণ্ডী কেটে দেবে। তাহলে ভূত-প্রেত বা দুষ্ট লোক ক্ষতি করতে পারবে না।
দেহ রক্ষা মন্ত্র (২)
মন্ত্র— “ওঁ নমো বজ্র কা কোঠা।
জিসমে পিন্ড হমারা ব্যায়ঠা।
ঈশওয়র কুলজী বজ্র কা তালা।
আঠোঁ ইয়াম্ কা হনুমন্ত্ রখ্ওয়ালা॥
বিধি— শনিবার দিন হনুমানজীর পূজা অর্চনা করে, উপবাসী হয়ে উপরোক্ত মন্ত্র ১০০৮ (এক হাজার আট বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হয়। এবার যখন কোনও কাজে যাবে, তখন উপরোক্ত মন্ত্রটি ৩ বার পাঠ করে ৩ বার নিজের দেহে ফুঁ দেবে। তাহলে ভূত-প্রেত-ডাইনী বা অন্যান্য কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।