জ্বালামালিনী যক্ষিণী বশীকরণ মন্ত্র

বশীকরণ সম্পর্কে আমরা সবাই পরিচিত তাই বশীকরণ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ইতিমধ্যেই আমরা এই ওয়েবসাইটে বশীকরণের অনেকগুলো মন্ত্র আলোচনা করেছি। আজকে এই প্রবন্ধে যে বশীকরণ মন্ত্র নিয়ে আলোচনা করব; তা হচ্ছে জ্বালামালিনী বশীকরণ মন্ত্র। এটি একটি যক্ষিণী মন্ত্র। জ্বালামালিনী যক্ষিণীকে জৈন ধর্মে এবং হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে দেখা যায়। যেমন সম্পদ অর্জন, শত্রু ধ্বংস এবং কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে বশীকরণ করার উদ্দেশ্যে এই জ্বালামালিনী মন্ত্র প্রয়োগ করা হয়।

জ্বালামালিনী মন্ত্র সিদ্ধির উপায় 


এই বশীকরণ মন্ত্রটি আপনাকে টানা ২১ দিন পর্যন্ত সাধন করতে হবে। এর জন্য নিচে দিয়া মন্ত্রটি ১০৮ (একশত আট) বার জপ করতে হবে। এই বশীকরণ মন্ত্রটি সাধনার জন্য কোন বিশেষ নিয়ম বা পূজার কথা উল্লেখ নেই। তবে মন্ত্র সংজ্ঞা সঠিকভাবে গোনার জন্য আপনি জপমালা ব্যবহার করতে পারেন। বশীকরণে লাল বা গোলাপি রঙের জপমালা ব্যবহার করতে হয়। 

মন্ত্রঃ ॐ হ্রীং ক্লীং আং ক্ষীং ক্লীং ব্লুম ড্রাং ড্রিং হামাসাহ ইয়া হ্রীং জ্বালামালিনী দেবদত্তাস্য সর্বজন বশ্যম কুরু কুরু স্বাহা।।

যেহেতু এটি যক্ষিণী বশীকরণ মন্ত্র, তাই রাতে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি জপ করবে টানা ২১ দিন। অবশ্যই মন্ত্রটি গোপনে চর্চা করতে হবে। এইভাবে একদিনে ১০৮ (একশত আট) বার করে টানা ২১ দিনের মন্ত্র পালন শেষ হলে, কিছু মিষ্টি কিনে এলাকার বাচ্চাদের খাওয়াবে। খেয়াল রাখবে; বাচ্চারা যেন তৃপ্তি ভরে খেতে পারে। বাচ্চাদের মিষ্টি খাওয়ালেই এই মন্ত্রটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং এটি ব্যবহার করতে সাধক সক্ষম হয় আর এর মধ্য দিয়েই জ্বালামালিনী বশীকরণ সিদ্ধি সাধন শেষ হয়।

জ্বালামালিনী বশীকরণ প্রয়োগ বিধি


কোন ব্যক্তিকে বশীকরণ করার জন্য সাধক এক চিমটি গোলাপি রঙের আবির নিবে। এবার সেই আবিরের উপর যক্ষিণী বশীকরণ মন্ত্রটি ২১ (একুশ) বার জপ করবে। এই জপ করা আবির যদি কোন নারী বা পুরুষের মাথায় ছিটিয়ে দেয়া যায়, তাহলে সেই নারী বা পুরুষ সাধকের বশীভূত হবে। এভাবেই এই জ্বালামালিনী যক্ষিণী মন্ত্র প্রয়োগ করে যে কাউকে বশীকরণ করা যায়। খেয়াল রাখবে; তন্ত্র মন্ত্র কখনো খারাপ উদ্দেশ্যের জন্য প্রয়োগ করা উচিত নয়, এতে হীতে বিপরীত হয়।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url