নিজের বিছানায় বসে থেকেই কাউকে বশীকরণ করার ছোট্ট মন্ত্র

এই প্রবন্ধে যে বশীকরণ টোটকা আমি বলব, বলা যায় সেটা সব থেকে সহজ টোটকা। কারণ, এই বশীকরণ টা আপনারা নিজের খাটে বসে করবেন, শুধু একটা শব্দ আপনাদেরকে বলতে হবে। পছন্দের মানুষটির হৃদয়ের কোন একটি কোণার মধ্যে আপনার জন্য ভালোবাসা ছোট্ট করে জন্মাবে। কিছুদিনের মধ্যে সেই ফিলিংসটা বড় একটা ভালোবাসায় পরিণত হবে এবং সে নিজে আপনাকে জানাবে ডাইরেক্ট না জানালেও আপনাকে ইশারাতে বোঝাবে, এমন কোন কথাবার্তা বলে যাতে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার প্রেমে পুরোপুরিভাবে সে হাবুডুবু খাচ্ছে, তার মনের মধ্যে আপনার জন্য ভালোবাসার জোয়ার এসে গেছে। এই বশীকরণ টা সবথেকে সোজা বশীকরণ। এবার আপনি যাকে চাইছেন তার মনের উপরে রাজত্ব শুরু করে দেবেন। আসুন জেনে নিই বশীকরণ টা। 

তার আগে একটা জিনিস বলবো- মঙ্গলবার দিন, শনিবার দিন, বৃহস্পতিবার দিন এই তিনটে দিন ছাড়া অন্য দিন এই বশীকরণের কাজটা করতে পারবেন না। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার, শনিবার এই তিনটে দিন আপনারা জন্য পছন্দ করে নেবেন। এই বশীকরণ টার জন্য আপনাদের ছোট একটা বাক্য বলতে হবে। সেটা হলো “ইয়া মুকিত”। 

ছোট্ট কথাটা আপনাদেরকে বলতে হবে ২০০ বার। হাতে আপনি কাউন্ট করতে পারেন। যে ২০০ বার হচ্ছে কিনা। কিন্তু ১৯৯ যেন না হয়। মিনিমাম ২০০ বার আপনাকে এটা বলতে হবে। আপনি যখন শুতে  যাবে তখন “ইয়া মুকিত” “ইয়া মুকিত” “ইয়া মুকিত”....... এইভাবে বলতে থাকবেন এবং ভালো করে মনে রাখবেন একটা জিনিস, এইখানের মেইন ভাইটাল যে জায়গাটা- সেই জায়গাটা হল; পুরোপুরিভাবে কনসার্ট রেট করতে হবে তার চেহারার দিকে, যাকে আপনি বশ করতে চাইছেন। চোখ বন্ধ করবেন, চোখ বন্ধ করে মন্ত্র বলবেন এবং তার চেহারাটাই যেন আপনার সামনে ঘোরে।  তাকে কল্পনায় ভাববেন এবং মন্ত্রটি উচ্চারণ করবে।  

আমি ফ্রেন্ডলি কথা বলি। তাই একটা জিনিস বলছি- হতেই পারে যে আপনি একজন কেন হয়তো ৩-৪ জনকে মনের মধ্যে বসিয়ে রেখেছেন। যে খুব ভালো লাগে ওকে দেখলে, তাকে দেখলে মনে হয় দারুন লাগে ইত্যাদি। কিন্তু আপনি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যার জন্য এই উপায়টা করছেন চেহারাটা আপনাকে চিন্তা করতে হবে শুধুমাত্র তার। যেন তিন-চারজন না আসে। কারণ এইটা সোজা গিয়ে তার হৃদয়ের মধ্যে কিন্তু তীরের মত বিধে যাবে এবং আপনার প্রতি ভালোবাসার জন্মাবে। 

২০০ বার যে আপনি ইয়া মুকিত বলবেন, তার চেহারাটা যেন আপনার চোখের সামনে ভাসে, মনের মধ্যে চোখের মধ্যে চিন্তা করে তবেই এটা বলবেন, যেন অন্যজন না আসে। কারণ আমি আবার বলছি এটা একটা তীরের মত। নিশানা যদি চার-পাঁচটা হয়ে যায় তখন তীর কোথায় যাবে নিজে বুঝতে পারবে না। 
এবার লাস্ট বা শেষ “ইয়া মুকিত” যখন বলবেন- তার চেহারাটা চিন্তা করা অবস্থাতেই নিঃশ্বাসটা জোরে টানবেন, জোরসে একটা ফু দেবেন একদম বুকের মধ্যে। দরজার মধ্যে যেরকম ভাবে আমরা নক করি সেরকম তার হৃদয়ের মধ্যে নক করবে এই মন্ত্র।

এবার কিছুদিন অপেক্ষা করুন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি দেখতে পাবেন যে সে আপনার প্রেমে অলরেডি হাবুডুবু খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আপনাকেই সেখান থেকে তুলে আনতে হবে তাকে। প্রেম-ভালোবাসা একদম ভালোভাবে জুড়ে যাবে। যেমন আমরা টেলিপ্যাথি করি, একজনের মাইন্ডের সঙ্গে আরেকজনের মাইন্ড জড়িয়ে যায়। তেমন আপনাদের দুই মন পুরোপুরিভাবে জুড়ে গিয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url