বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

যাদের রাশি বৃশ্চিক, সেই সব জাতক-জাতিকা বলিষ্ঠ, সুগঠিত দেহ, মাংসল বাত, উদার হৃদয়, লম্বা চেহারা হয়। এদের মধ্যে সুগাঠত ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। মাথা কি বড়, দীপ্ত ললাট এবং উজ্বল চক্ষু বিশিষ্ট হয়। এই সব ব্যক্তি পুরুষত্ব প্রধান এবং হাস্যরস প্রিয় হয়। অপরকে আনন্দ দিতে ভালবাসে। এদের ব্যক্তিত্বের মধ্যে এমন একটা সম্মোহন শক্তি থাকে যে এরা সেই শক্তি দ্বারা যে কোনও ব্যক্তিকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। এবং এদের আপন করে নেয়। চুম্বকীয় এবং সম্মোহক ব্যক্তিত্বশালী জাতক, ধনী গুনী তন এবং বন্ধুদের অতি সহজেই প্রিয় হয়। বঙ্কিতশালী জাতক, ধনী, গুণী জাতি, সমাজ প্রেমের ক্ষেত্রে এই সব জাতক-জাতিকা খুবই অগ্রণী। এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়। কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে এরা বেশ সাবধানতার সঙ্গে অগ্রসর হয়। এদের প্রেম হয় ঐকান্তিক এবং গোপনীয়। এদের প্রেমের ব্যাপারটি অপরে জেনে চর্চা করতে পারে না। 

ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার কপটতা থাকে না মনে। লেন-দেনের ব্যাপারে এরা থাকে নিরপেক্ষ। এরা যাকে বিশ্বাস করে, তাকে সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করে। এরা যাকে বিশ্বাস করে তার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করে। সে যদি শত্রুতাও করে বা মনে আঘাত দেয়, তবুও তার জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে এরা পিছপা হয় না। আবার যার সঙ্গে শত্রুতা করে, তার পক্ষে যমের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। নিজের কাজকর্মের প্রতি এরা কর্তব্যনিষ্ঠ হয়। কাব্যে, সঙ্গীতকলা ইত্যাদি কলাবিদ্যার প্রতি এদের অনুরাগ দেখা যায়। লেখার কর্মে সততা থাকার ফলে এদের লেখায় একটা মৌলিকতা বর্তমান থাকে। মৌলিকতা বজায় রাখা এদের একটা প্রধান গুণও বলা যায়। এরা সাধারণ দৃষ্টিতে নতুনের পূজারী। বহুলোকের সঙ্গে এদের আলাপ পরিচয় থাকে। কোন্ ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ হাসিল করতে হবে, সেটা এরা ভালভাবেই জানে।

বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

বৃশ্চিক রাশির প্রভাব

অশুভ তিথিকৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের—প্রতিপদ, ষষ্ঠী, একাদশী।
অশুভ মাস—আশ্বিন।
অশুভ বার—শুক্রবার।
অশুভ প্রহর—দিবা ও রাত্রির প্রথম প্রহর।
অশুভ চন্দ্র—জাতকের সপ্তমে এবং জাতিকার দ্বিতীয়ে চন্দ্র অশুভ।
শুভ তারিখ—যে কোনও মাসের ৯, ১৮, ২৭।
শুভ তিথি—তৃতীয়া, ষষ্ঠী, নবমী, দ্বাদশী (যে কোনও পক্ষের)।
শুভ বার—বৃহস্পতিবার। সোমবার।
শুভ প্রহর—দিবা ও রাত্রির চতুর্থ প্রহর।
মিত্র রাশি—মিথুন, কর্কট।

ইষ্ট—এদের শিব পূজা করা কর্তব্য। কারণ শিবই এই সব জাতক-জাতিকার। অধিপতি দেবতা। যদি সম্ভব হয়, প্রতি সোমবার রুদ্রাভিষেক দ্বারা শিবার্চনা করবে।
প্রত্যহ বিল্বপত্র দ্বারা শিবের পূজা করবে এবং শিব দর্শন করবে। সম্ভব হলে নিম্নলিখিত পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র ১০৮ বার করে প্রত্যহ জপ করবে।
মন্ত্র—“ নমঃ শিবায় 
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url