তুলা রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

তুলা রাশির জাতক জাতিকা আদর্শ ও উচ্চ ভাবনা পোষণ করে মনে। যে কোনও কার্যে শীঘ্র এবং সঠিক নির্ণয় করতে পারে। নিজের ব্যক্তিত্ব, প্রভাব এবং কথায় অপরকে বন্ধু করা এদের ব্যক্তিত্ব। এরা যে কোন পরিকল্পনা করে, অনেক ভেবে-চিন্তে করে। যে কাজ এরা শুরু করে। শেষ না করে ছাড়ে না। তুলা রাশির প্রতীক হলো তুলাদণ্ড। সেজন্য এই সব জাতক-জাতিকা ন্যায়নিষ্ঠ হয়। কারও ওপর রাগ করে না। অন্যায় দেখতেও পারে না। এই ন্যায়প্রিয়তার ফলস্বরূপ এবং রূঢ় সত্যকথা লোকের মুখের ওপর বলে দেয়। তার ফলে অনেকেই কিছু সময়ের জন্য এদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়, কিন্তু মনে মনে এদের ন্যায়নিষ্ঠার প্রশংসা করে। এরাই আবার পরম মিত্র হয়ে দাড়ায়। 

শারীরিক দিক থেকে তুলা রাশির জাতক-জাতিকা মধ্যম চেহারার হয়। গৌরবর্ণ দেহ, বেশী লম্বাও নয় আর বেশী বেঁটেও হয় না এরা। ঠান্ডা প্রধান প্রকৃতি, চতুর, মৃদু হাসিযুক্ত মুখ, চওড়া চেহারা, তীক্ষ্ণ নাসা, সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষক চক্ষু, চওড়া বক্ষ, সুন্দর আকৃতি বিশিষ্ট, ধনী ব্যক্তির ন্যায় জীবন ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে। অপরের মনের কথা জানতে এরা বেশ দক্ষ। যে কোনও লোককে এরা আপন করে নেবার শক্তি রাখে। ন্যায়, দয়া, ক্ষমা, শান্তি এবং অনুশাসনের দিকে এদের ঝোকও যেমন থাকে, তেমনি এগুলির দিকে লক্ষ্যও রাখে। এদের কল্পনাশক্তি খুব প্রবল। সব সময় এদের লক্ষ্য থাকে উচু দিকে। বন্ধুদের সহায়তাতেই এইসব জাতক জীবনে সাফল্য লাভ করে।

তুলা রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য

তুলা রাশির প্রভাব

অশুভ তিথি—কৃষ্ণ পক্ষ এবং শুক্লপক্ষের চতুর্থী, নবমী, দশমী।
অশুভ মাস—মাঘ মাস।
অশুভ বার—বৃহস্পতিবার।
অশুভ প্রহর—চতুর্থ প্রহর।।
অশুভ চন্দ্র—তৃতীয় স্থানে। জাতিকার পক্ষে—৬ষ্ঠ স্থানে।
শুভ তারিখ—৬, ১৫, ২৪ (প্রতি মাসের)
শুভ তিথিতৃতীয়া, ষষ্ঠী, নবমী (কৃষ্ণপক্ষের), দ্বাদশী, পূর্ণিমা।
শুভ বার—শুক্রবার।
শুভ প্রহর—দ্বিতীয়, তৃতীয়।
মিত্র রাশিবৃশ্চিক, কুম্ভ, মিথুন।

ইষ্ট দেবতা—এই সব জাতক যদি নিজের ইষ্টকে ভক্তিপূর্বক নিয়মিত পূজা করে, তাহলে এই রাশির জাতক নিশ্চয় সফলতা প্রাপ্ত হয়। তুলা রাশির জাতক-জাতিকার ইষ্ট দেবী "লক্ষ্মী"। নিত্য প্রাতে উঠে এদের পক্ষে নিম্ন মন্ত্র ১০৮ জপ করবে।

মন্ত্র—“ ওঁ মহালক্ষ্মৈ চ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নো শ্রী প্রচোদয়াৎ ”

এই মন্ত্র এদের পক্ষে অমোঘ, এবং সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থদাতৃ বলা হয়েছে শাস্ত্রে।
বিঃ দ্রঃ বিপরীত পরিস্থিতিতে পড়লে বা চারদিকে বাধা দেখা গেলে আয় কমে
গেলে নিম্নলিখিত তন্ত্রোক্ত মন্ত্র জপ করবে, অথবা কোনও যোগ্য ব্রাহ্মণ দ্বারা জপ
করাবে।

তন্ত্রোক্ত মন্ত্র “ওঁ ঐং জং গ্রীং গ্রহেশ্বরায় শুক্রায় নমঃ ”

জপ সংখ্যা
- ১৬,০০০ (ষোলো হাজার) বার।।

দান—স্বর্ণ, রৌপ্য, চাউল (আতপ), মিছরী, দুগ্ধ, শ্বেত বস্ত্র, শ্বেত চন্দন। এই সব জাতকের উচিত হলো সোনার আংটিতে হীরা বসিয়ে ধারণ করা এবং কনিষ্ঠা অঙ্গুলিতে আংটি ধারণ করে। প্রাতে আংটি দেখে, তারপর নিত্য-নৈমিত্তিক কাজকর্ম করবে।
Previous Next
1 Comments
  • Unknown
    Unknown May 28, 2020 at 7:17 AM

    Nice

Add Comment
comment url