প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বিচ্ছেদ করানোর মন্ত্র

অনেক সময় এমন দুজনের মধ্যে প্রেমের সৃষ্টি হয় যা সমাজ মেনে নিতে পারেনা। অথবা পরিবার থেকে যে প্রেম মেনে নেয়া যায়না, সে প্রেম নিয়ে পরিবারের সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। প্রয়োজন দেখা দেয় প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে বিচ্ছেদ করানোর। তাদের পরিবার থেকে বাধা দেয়া হয়, দেখানো হয় ভয়-ভীতি ও ধমকি-ধামকির। কিন্তু কে শুনে কার কথা। প্রেমিক-প্রেমিকাদের মন হয়ে ওঠে আরও গভীর ও নাছোড়বান্দা। অনেক সময় প্রেম, অপরাধের জন্ম দেয়। মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। অথচ, আমরা চেষ্টা করলে অনেক কিছুই পারি। যার সমাধান আমাদের জ্ঞান ও চিন্তাধারার মধ্যেই রয়েছে। বিচ্ছেদের অনেক পথ রয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো মন্ত্র তন্ত্র বিদ্যা। নিচে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বিচ্ছেদ করানোর একটি সঠিক মন্ত্র দেয়া হলো। এটির যথার্থ ব্যবহার বিচ্ছেদ ঘটাতে সক্ষম। যদি আপনি এটির ব্যবহার করতে না পারেন, তাহলে আপনার জানা কোন তান্ত্রিক এর সঙ্গে পরামর্শ করে এটি করতে পারেন। অথবা তান্ত্রিক কে দিয়ে এই মন্ত্রের সকল কার্যাদি করিয়ে নিতে পারেন। 
বিঃদ্রঃ খেয়াল রাখবেন, তান্ত্রিক দিয়ে এইসব করালে তান্ত্রিককে অর্থ এবং বস্ত্র দুটোই দান করতে হয়।
প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে বিচ্ছেদ মন্ত্র

প্রেমিক প্রেমিকার বিচ্ছেদ বা বিদ্বেষণ মন্ত্র 
মন্ত্র— “ বারা সরস্যো তেরা রাষ্ট্র। 
পাট কী মাটী মশান কী ছাই।। 
পঢ়কর মরু করদ তওয়ার। 
অমুকা কটে ন দেখে অমুকী কা দ্বার।। 
মেরী ভক্তি গুরু কী শক্তি, 
ফুরাে মন্ত্র ঈশ্বরাে বাঁচা, 
সতনাম আদেশ গুরু কা।। 

বিধি — গ্রহণ বা দীপান্বিতার রাত্রে উক্ত মন্ত্র ১০,০০০ ( দশ হাজার ) বার জপ করলে সিদ্ধ হবে। তারপর, উক্ত সিদ্ধ মন্ত্রে যেখানে ‘ অমুকী শব্দ আছে সেখানে সেই নারী বা পুরুষের নাম উল্লেখ করতে হবে। যদি দুজনের একজন পুরুষ একজন নারী হয় সেখানে অমুকার স্থলে পুরুষের নাম এবং অমুকীর স্থলে নারীর নাম উচ্চারণ করতে হবে। প্রধানতঃ এই মন্ত্র প্রেমিক - প্রেমিকার মধ্যে বিচ্ছেদ বা বিদ্বেষ করানাের জন্যই প্রযুক্ত হয়। সরষে, রাই ও শ্মশানের ছাই, এগুলি সমান ভাগে নিয়ে একসঙ্গে মিশাবে। আখের ছোবড়া/ছিবড়ের ওপর উক্ত মন্ত্র পাঠ করে ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালাবে আমের টুকরা দিয়ে উক্ত মন্ত্র পাঠ করতে করতে ১০৮ বার আহুতি দিতে হবে। শেষে হােমের সামান্য ছাই নিয়ে যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা থাকে বা বসে প্রেম করে, সেই স্থানে অথবা তাদের ঘরের দরজার সামনে ছড়িয়ে দিলে উভয়ের বিচ্ছেদ বা বিদ্বেষণ হয়।

প্রিয় পাঠক, দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো, ঝগড়া লাগানো, বিবাদ, শত্রুতা ও বিরােধ - এর চিন্তা উৎপন্ন করা। একে বলা হয় অভিচার কর্ম এবং এই কাজ পাপ মধ্যে গণ্য। তাই দ্বেষবশতঃ এর প্রয়ােগ করা উচিত নয়। যখন নিজের ঘর, পরিবার, সম্মান, প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তির হানি হতে থাকে, দ্বিতীয় কোনও উপায় থাকে না, তখন শেষ উপায় হিসাবে এর প্রয়ােগ করা চলে।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url