বরশিতে মাছ ধরার মন্ত্র

মন্ত্র প্রয়োগ করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার নিয়ম:

মাছ ধরার মন্ত্র


আপনি হয়তো দেখে থাকতে পারেন যে কিছু লোক আছে বরশি জলে ফেলতেই মাছ ধরে। অথবা গ্রাম অঞ্চলে এমন কিছু ব্যক্তিকে দেখা যায় তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আর এই মাছ ধরার পদ্ধতি হচ্ছে শুধু একটি বরশি। আপনি হয়তো দুই থেকে তিন ঘণ্টা বড়শি হাতে নিয়ে পুকুর বা নদীতে বসে আছেন কিন্তু একটি মাছের সন্ধান পাননি। অথচ আপনার পাশে বসে থাকা লোকটি দু-তিন ঘণ্টায় মাছ দিয়ে ঝুড়ি ভরিয়ে ফেলেছে। এত মাছ ধরার কারন টা তার কাছে জানতে গেলে হয়তো আপনাকে তেমন কিছু বলবেনা। যা বলবে তা হল এসব অভিজ্ঞতার ফল। কিন্তু গ্রামগঞ্জে এখনো শোনা যায় মাছ ধরার মন্ত্র রয়েছে। এইসব মন্ত্র প্রয়োগ করে কিছু মৎস্যজীবী লোক মাছ ধরেন এবং সেই মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। প্রিয় পাঠকগণ, এই পোস্টে আমরা মাছ ধরার মন্ত্র নিয়ে চর্চা করব। মাছ ধরার দুটি বিশেষ মন্ত্র রয়েছে। হয়তো আরো থাকতে পারে। কিন্তু আমরা প্রথম মন্ত্রটি নিয়ে আলোচনা করব না। প্রথম মন্ত্রটিতে একটি অভিশাপ বাক্য রয়েছে তা হলো; “আমি সন্তান চাইনা মাছ চাই”। অনেকে বলে থাকেন প্রথম মন্ত্রটিতে সন্তানের বদলে মাছ চাওয়া হয়েছে, সেহেতু যে ব্যক্তি এই মন্ত্র প্রয়োগ করে মাছ ধরে। তার সন্তান হয় না অথবা সন্তান জীবিত থাকলে সে সন্তানের মৃত্যু হয়। তাকে নিঃসন্তান হয়ে জীবন কাটাতে হয়। যার কারণে আমরা প্রথম মন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। তবে দ্বিতীয় মন্ত্রটিতে তেমন কোনো সংশয় না থাকার কারণে এই মন্ত্রটা নিয়ে আমরা চর্চা করব।

মাছ ধরার মন্ত্র:
শ্মশানের মাটি লই হাতেতে করিয়া
বিসমিল্লাহ বলে দিই জলেতে ফেলিয়া।
যে যেখানে আছে মাছ আনহ ডাকিয়া
মাটী ফেলি মাটীশ্বর আছেন বসিয়া।
এই মাটি গড়ি করি মাছ ধরিবার
যথায় রহিস মাছ শীঘ্র কাটায় ধর।
কার আজ্ঞে?
কাউরের কামিক্ষে মায়ের আজ্ঞে।
কার আজ্ঞে?
হাড়ির ঝি চণ্ডীর আজ্ঞে।

শশ্মানের মাটি হাতে নিয়ে উক্ত মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে তিনবার ফুঁ দিয়ে পুকুরে ফেলে দিলে, ছিপে খুব মাছ পড়বে। 

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url