বাও বাতাস জনিত জ্বরের ঝাড়ন মন্ত্র

বাও বাতাস জনিত জ্বরের ঝাড়ন মন্ত্র প্রয়োগ:

জ্বরের ঝাড়ন মন্ত্র
হঠাৎ করে দেখা যায় যে আপনার বাচ্চার মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিচ্ছে। রোগা হয়ে যাচ্ছে খাবারে অনীহা, সব সময় কাদা কাদি করে। শরীরের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অনেক সময় খিটখিটে হওয়ার কারণে শরীরে কালো রং হয়ে যায়। এর কারণ হতে পারে বাও বাতাস লাগা। অথবা কোন দূরের পুজোতে গিয়ে, দুপুরে নির্জন জায়গায়, শ্মশানঘাটে বা দেবোত্তর এলাকায় গিয়ে ভয়ের কারণে গায়ে জ্বর আসতে পারে। গ্রাম গঞ্জের সাধারণ ভাষায় একে বলা হয় ভয় পাওয়া, দৃষ্টি করা, দুষী করা, আসনি করা ইত্যাদি। যদি আপনি এইরকম রোগীর সন্ধান পেয়ে থাকেন। তাহলে নিম্নের মন্ত্রটি প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যের উপকারের জন্য মন্ত্র প্রয়োগ গণক্কার তার পাঠকদের অনুমতি দেয়।

জ্বরের ঝাড়ন মন্ত্র:
জ্বরাসুরা মহাবীরা-মান্য দুই ভাই
দিবারাত্র খেটে মরে মহাদেবের ঠাই।
কুরছুদে ছত্রিশ রূপ মহুর্ত্তেকে ধরে
নারাজ মানুষে বর দিয়া ফিরে ঘরে।
জ্বালা জ্বর পালা জ্বর কালা জ্বর আদি
দাহ জ্বর উমা জ্বর ভূমা জ্বর খাদি।
ভাঙ্গ ঘূটিতে ডাকে তােদের ভাঙ্গের পিনাটিক।
ও জ্বর জ্বরাসুরা কোন দিকে চাও
শীঘ্র করি উস্কার অঙ্গ ছাড়ি যাও।
যদি ভাটি খাইয়া উজানেতে যাস্।
কার আজ্ঞে?
কাউরের কামাখ্যা মায়ের আজ্ঞে।
কার আজ্ঞে?
হাড়ির ঝি চণ্ডীর আজ্ঞে।।

যেমন জ্বরই হােক না কেন, রােগীকে উত্তর কিংবা পূর্বমূখে বসিয়ে মন্ত্র সাতবার পাঠ করতে করতে ঝাড়তে হবে। তিনদিন এইভাবে ঝাড়লে জ্বর আরােগ্য হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url