বাণ কাটার মন্ত্র
আপনাদের সবাইকে স্বাগতম গণক্কারে। মন্ত্র তন্ত্র সাধনায়, বান মারন, উচ্চাটন, স্তম্ভন এমনকি স্বার্থপর ক্ষতির জন্য বশীকরণ এবং মোহন মন্ত্র পাপকার্যে পড়ে। তন্ত্র মন্ত্র সাধনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে: যে মন্ত্র প্রয়োগ করে অন্যের ক্ষতি করে সেও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এইসব মন্ত্র তখনই প্রয়োগ করা যায়, যখন কারো দ্বারা জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং নিজেকে বাচার ক্ষেত্রে অর্থাৎ আত্মরক্ষার্থে এসব মন্ত্র প্রয়োগ করা যায়। আজকে আমরা ক্ষতিকর কোন মন্ত্র নিয়ে আলোচনা করব না। এইসব মন্ত্র কে প্রতিহত করতে যেসব মন্ত্র প্রয়োগ করা হয় তার একটি নিয়ে আলোচনা করব।
যদি কোন ব্যক্তি বান মন্ত্র বা মারন মন্ত্র এর কারনে জীবন বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে সেই মন্ত্রের ক্ষমতা নাশ করতে নিম্নের মন্ত্রটি প্রয়োগ করতে পারেন। গণক্কার নিম্নের মন্ত্রটি পাঠকদের প্রয়োগের অনুমতি দিলো।
বাণ কাটার মন্ত্র:
যুড়িল ধম্বন্তরি বাণ,
তাতে পৃথ্বী কম্পমান,
ভয়েতে বাসুকি ভাবে মনে মন।
নাগের প্রবীণ যিনি,
তাহারে পাঠান তিনি,
ব্রহ্মা কাছে উপস্থিত হন।
ব্রহ্মার ব্রহ্মঅস্ত্র বাণ,
শিবের পাশুপত বাণ,
নারায়ণ চক্র লণ হাতে।
তাহাতে উপজিল অগ্নি,
যেন সেটা জমদগ্নি,
পুড়ায় যতেক বাণ তাতে।
আমারে যে হয় রুষ্ট,
বিশেষ দেয় গাে কষ্ট,
কাটুক তাহার বাণ তিনে।
আং রিং জঃ জয় চামুণ্ডে।
মম শত্রু বিনাশয় আং শ্লিং
হুং ফট স্বাহা।
কোনও লােক যদি কাউকে বাণ মারে তাহলে এক ঘটি জল মন্ত্রে তিনবার অভিমন্ত্রিত করে খাওয়ালে এই দোষ কেটে যাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যারা মন্ত্র চর্চা করবেন তাদের অবশ্যই নিরামিষভোজী, সত্যবাদী, হিংসা ত্যাগী এবং পরিচ্ছন্ন-পবিত্র থাকতে হবে। পরিষ্কার বস্ত্র ও পোশাক পরতে হবে। যদি আপনি মনে করেন যে— আপনি মন্ত্র প্রয়োগ করবেন, তাহলে মন্ত্র প্রয়োগ এর কিছুদিন আগ থেকে আপনাকে উপরের বিধিগুলো মানতে হবে।