গেটে বাত রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি

মানুষের শরীরের গাঁটে গাঁটে বা সন্ধিস্থানসমূহে যে ফোলা ও ব্যথা প্রায়শ: আমাবশ্যা-পূর্ণিমায় দেখা দেয়, কিংবা বৃদ্ধি পায় তাকে গেঁটে বাত (Arthritis) বলে। এ রকম বাতরােগে নিম্নলিখিত চিকিৎসা-প্রণালী অবলম্বনীয়। যথা—

আকন্দের পাতা: আকন্দের পাতা সেঁকে দিয়ে আক্রান্ত স্থানে বেঁধে রাখলে গেঁটে বাতের উপশম হয়।

আকন্দের আঠা: অকান্দের আঁঠা মর্দন করলেও গেঁটে বাত’ আরােগ্য হয়।

অশথ: অশথের ছালের ক্বাথ এক ছটাক মধুর সাথে দৈনিক সকালে এক থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে রক্ত বাত 'বা 'বাত রক্ত নিরাময় হয়।

অশ্বগন্ধা চূর্ণ: দৈনিক সিকি তােলা পরিমাণ অশ্বগন্ধার গুড়া তিলের তেলে মেড়ে গায় মাখলে ‘বাতপিত্ত রােগ আরােগ্য হয়। এ ঔষধ রােগী অনুযায়ী এক থেকে ছয় সপ্তাহ ব্যবহার্য্য।

আলকুশী: দৈনিক সকালে এক ঝিনুক পরিমাণ আলকুশীমূলের রস, এক থেকে তিন সপ্তাহ যাবৎ পান করলে গেঁটে বাত নিরাময় হয়।

আলকুশীর ক্বাথ: আলকুশীর পাতা পানিতে সিদ্ধ করে হেঁকে সেই পানি প্রত্যহ আধ ছটাক পরিমাণ পান করলে ‘পৈত্তিক বাত 'বা ‘রক্তপিত্তরােগ নিরাময় হয়। এ ঔষধ ক্ষেত্র বিশেষে মাসাধিককাল ব্যবহার্য।

ভেন্নার তেল+সৈন্ধব লবণ: ভেন্নার তেলের সঙ্গে কিছু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে সেই তেল সামান্য গরম করে বাতাক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে বাত-বেদনার উপশম হয়।

করবী মূলের প্রলেপ: করবী মূল ঠাণ্ডাপানিতে বেঁটে প্রলেপ দিলে বাতাক্রান্ত স্থানের বেদনা ও যন্ত্রণা নিবারণ হয় এবং বাতের উপশম ঘটে। এই প্রলেপ প্রত্যহ সকালে ও বিকালে দু'বার করে তিন থেকে সাত দিন প্রযােজ্য।

কাঁচা রসুন: কাঁচা রসুন ভাতের সাথে লবণ দিয়ে খেলে বাত রােগ নিরাময় হয়। এ ঔষধ প্রতিদিন খেলে সারাজীবন বাতরােগ (Arthritis) থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কাঁচা রসুন+চাল ভাজা: কাঁচা রসুন চাল ভাজার সাথে চিবিয়ে খেলেও বাতরােগ দূর হয়। এ পথ্যও নিয়মিত রূপে অনেকদিন খাওয়া আবশ্যক।

তুলসী পাতার রস: তুলসী পাতার রসে ন্যাকড়া ভিজিয়ে রাতে আক্রান্ত স্থানে পটি বেঁধে দিলে বাত-বেদনার উপশম হয়।

মালিশ

গন্ধভাদুলের মূল, ডাঁটা ও পাতা- সর্ষের তেলে সিদ্ধ করে সেই তেল সেঁকে বাতাক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কিছুদিন মালিশ করলে- এই চিকিৎসায় অতি কঠিন বাতরােগ (Arthritis) নিরাময় হয়।


Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url