মাথা ব্যথা ভালো করার ঔষধ এবং লোক চিকিৎসা

মাথার ব্যথা ও জ্বালা যন্ত্রণা। কোন কারণে মাথায় ব্যথা বা যন্ত্রণা হােক না কেন, তা নিরাময়ের ঔষধের উল্লেখ করা হল।

অনন্তমূল+শতমূল: অনন্তমূল ও শতমূল একত্রে বেঁটে রস করে, ক’ড়ে পাত্রে রেখে, সেই রস মাথায় মাখলে মাথার যন্ত্রণা নিবারণ হয়।

আকন্দ গাছ: শনি-মঙ্গলবারে অফোটা আকন্দ গাছের মূল শিকড় নিশ্বাস ধরে'তুলে এনে এক পেশে মাথা ধরা রােগীর চুলে, তার বিছানায় সুতাে দিয়ে বেণীতে বা খোপায় বেঁধে দিলে ঐ রােগ নিরাময় হয়। একাজে শীষ আকন্দ গাছের মূল ব্যবহার্য। আর রােগীর যে পাশের মাথা ধরা থাকে, তার বিছানার ও সেই পাশের সুতাে তুলে নিয়ে এক নিশ্বাসে চুল যতটা বেণী করা যায়, ততটা বেণীতে ঐ শিকড় বাধতে হয়।

আমলকী: আমলকী, গােলাপ পানি ও সাদা চন্দন এক সঙ্গে ঘ'ষে কপালে প্রলেপ দিলে ‘মাথা ধরা রােগ নিরাময় হয়। ‘পটি ভিজিয়ে রাখা আমলকী ও নারকেলের মুচির ফুল ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বেঁটে মাথায় পটি দিলে মাথার গরম উঠে গিয়ে মাথা ব্যথা ও জ্বালা-যন্ত্রণা নিবারণ হয়। তিন থেকে দু'সপ্তাহ এই পটি ব্যবহার্য। এ ঔষধ উন্মাদ, অর্ধ-উন্মাদ ও স্নায়বিক পীড়াগ্রস্থ রােগীর পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)

আষ্টলির গাছের পটি: আষ্টলি গাছের মঞ্জরী, ভাঁটির গাছের মঞ্জরী ও বরোই গাছের জালিপাতা সহ মঞ্জরী পানি দিয়ে বেঁটে মাথায় পটি দিলে স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও যন্ত্রণা নিবারণ হয়। এই পটি শিশুদেরও দেওয়া যায় এবং শিশুদের ‘দোষদৃষ্টি’, ‘কৃমি’ প্রভৃতি নিরাময় হয়।

কদুর পাতা: কদুর (লাউয়ের) কচি পাতা বেঁটে মাথায় ‘ভারা’ দিলে মাথার জ্বালা-যন্ত্রণা দূর হয়।

করবীর মূল: করবী গাছের মূল বেঁটে কপালে প্রলেপ দিলে মাথা ধরা নিরাময় হয়।

ঘৃতকুমারীর পটি: ঘৃত কুমারীর শাস কপালে মাখিয়ে মাথার তালুতে পটি আকারে কয়েকদিন লাগালে মাথার ব্যথা বা যন্ত্রণা, মাথা ধরা প্রভৃতি নিরাময় হয়।

তেলাকুচার মূলের রস+তিল তৈল: তেলাকুচার মূলের রস আধ পােয়া ও এক ছটাক তিলের তেল এক সংঙ্গে মেড়ে মাথীয় নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার যন্ত্রণা দূর হয় এবং মাথা ঠাণ্ডা থাকে। (উক্ত মূল বিনা পানিতে বেঁটে রস বের করতে হয়। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url