চুলকানি দূর করার উপায় ও চিকিসা

চুলকানি বলতে সাধারণত চর্মের ওপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভেদ বুঝায়। ঐসব উদ্ভেদ খুব চুলকায় এবং কখনও কখনও চুলকাবার পরে রস ঝরে-জ্বালা করে। এ রকম চুলকানি নিরাময়ের জন্য নিম্নোক্ত উপায় অবলম্বিত হয়।

কেরােসিনের প্রলেপ

চুলকানি নিবারণের জন্য কখনও কখনও আক্রান্ত অংগে কেরােসিন তেল প্রলিপ্ত করা হয়। তাতে চুলকানির উপশম হয়ে থাকে। 

গরম ঝিকের সেক

কোন অজ্ঞাত কারণে পায়ের তালুতে চুলকালে এবং উক্ত স্থানে ফোস্কা দেখা দিলে, ঐ স্থান উনুনের গরম ঝিকের ওপর চেপে চেপে ধরে তাপ দিলে ফোস্কা-মধ্যস্থ পানি শােষিত হয় এবং চুলকানিও বন্ধ হয়। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)।

মলম

সাংঘাতিক প্রকার চুলকানি আরােগ্যের জন্য নারিকেল তেলের মধ্যে গন্ধক, কপূর, মােমছাল ও বেলে সিদুর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ভাবে গুঁড়া ক'রে-ক্রমে ক্রমে মিশিয়ে মলম তৈরী। করে সেই মলম ব্যবহার করা আবশ্যক। প্রতিদিন দু'তিনবার উক্ত মলম চুলকানি আরােগ্য না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার্য। পাঁচড়া জাতীয় ক্ষতেও এ মলম ব্যবহার করা চলে। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)।এটি পচনশীল পাচড়ারও মহৌষধ।

চিরতার ক্বাথ

প্রতিদিন চিরতার ‘ক্বাথ’ মধুসহ সেবন করলে শরীরের চুলকানি নিরাময় হয়। 

নিমের পাতা 

সিদ্ধ করা পানিতে স্নান নিমের পাতা সিদ্ধ করে, সেই পানি ঠাণ্ডা হবার পর, তা দিয়ে প্রতিদিন স্নান করলে চুলকানি আরােগ্য হয়। কাচা হলুদ সহ নিমের কাচা পাতা বেঁটে সমস্ত শরীর প্রলিপ্ত ক'রে তিন-চার ঘন্টা পর, উপর্যুপরি কয়েকদিন স্নান করলে চুলকানি-পাচড়ায় উপশম হয়।

গিমা শাকের ঘন্ট

গিমা শাকের ঘন্ট প্রত্যহ দু'তিন বার করে কয়েকদিন ভাতের সঙ্গে খেলে শরীরের চুলকানি নিরাময় হয়।

প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত লোক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url