ফোঁড়া ব্যথা হলে কি করতে হয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

ফোঁড়া

ফোঁড়া নানা রকমের হতে পারে, ফোঁড়া হওয়ার কারণও অনেক রকম থাকা সম্ভব। ফোঁড়া চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধ সচরাচর ব্যবহার করা হয়, তার বিবরণ নিম্নরূপ।

অশথের পাতা: ফোঁড়া ওঠার উপক্রম হ'লে অশথের পাতা ঐ স্থানে বেঁধে রাখলে ফোড়া বসে যায়, ওঠে না।

আপাংয়ের পাতা+আতপ চাল: আপাংয়ের পাতা ও আতপ চাল এক সঙ্গে বেঁটে ফোঁড়ার মুখ ব্যতীত তার চার পাশে প্রলেপ দিলে, সহজে ফোঁড়া পেকে ফেটে পুঁজ বেরিয়ে ক্ষত নিরাময় হয়।

রেড়ীর বীজের শাঁস+ দুধ: রেড়ীর বীজের শাস দুধের সঙ্গে বেটে প্রলেপ দিলে ফোড়া পেকে ফেটে যায় ও নিরাময় হয়।

কাঁটা নটের বীজের প্রলেপ: কাটা নটের বীজ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বেঁটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে সত্বর ফেটে দিয়ে আরােগ্য হয়।

করবী মূলের প্রলেপ: করবী গাছের মূল, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বেঁটে প্রলেপ দিলে ফোড়া সহজে পেকে ফেটে গিয়ে আরােগ্য হয়।

কাঁটা নটের শিকড়ের জাব: কাটা ন'টের শিকড় গরুর দুধ দিয়ে বেঁটে ‘জাব’ তৈরি করে ফোড়ায় লাগালে, ফোঁড়া সহজে পেকে গিয়ে আরােগ্য হয়।

ঘৃতকুমারীর শাঁস: ফোড়ার ওপর ঘৃতকুমারীর শাঁস লাগালে ব্যথা ও টাটানি-যন্ত্রণা দূর হয়।

ধুতুরার পাতার রস+ ঘি: ধুতুরার পাতার রস ও সামান্য ঘি মিশিয়ে ফোড়ায় লাগালে, ফোড়া শীঘ্র পেকে গিয়ে নিরাময় হয়।

নিমের পাতার প্রলেপ: নিমের পাতা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বেঁটে ফোঁড়ায় প্রলেপ দিলে, ফোঁড়া সহজে পেকে ও ফেটে শীঘ্র নিরাময় হয়।

বেড়েলার শিকড়ের জাব: বেড়েলার শিকড়ের ছাল বেটে ফোড়ায় ‘জাব’ লাগালে, উক্ত ফোঁড়া শীঘ্র পেকে গিয়ে নিরাময় হয় এবং জ্বালা-যন্ত্রণা দূর হয়।

হরিতকী+ শ্বেত চন্দন: হরিতকী ও শ্বেত চন্দন মাটির পাত্রে সামান্য পানির সঙ্গে ঘ’ষে সেই ‘ কাদা ফোড়া বা যে কোনাে ব্রণের ওপর লাগালে ফোঁড়া বা ব্রণ শীঘ্র পেকে নিরাময় হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url