ধাতু দুর্বলতা বা বীর্য ঘন করার সহজ চিকিৎসা
ধাতু বা বীর্য দূর্বলতা বলতে সাধারণভাবে শারীরিক শক্তিহীনতা বােঝায়। রােগাক্রমণ, অতি মৈথুন, বৃদ্ধ বয়স, অতি পরিশ্রম ইত্যাদি কারণে ‘ধাতু দূর্বলতা দেখা দিতে পারে। রােগাক্রমণ ব্যতীত অতি-মৈথুন কিংবা অতি পরিশ্রম জনিত কারণে বীর্য ক্ষয়, বীর্য হ্রাস বা শারীরিক শক্তিস্বল্পতা দেখা দিলে নিম্নোক্ত উপায়ে চিকিৎসা করা হয়।
অশথ
অশথ গাছের মূলের ছাল ও ডগা এক সঙ্গে বেঁটে সেই রস এক ঝিনুক পরিমাণ সামান্য মধু ও মিশ্রীসহ প্রত্যেহ সকালে সপ্তাহকাল সেবন করলে ধাতু দূর্বলতা দূর হয়।
আলকুশী
প্রতিদিন সকালে আলকুশী বীজের শাস মাসকালাইয়ের সাথে বেঁটে সামান্য পরিমাণে সপ্তাহকাল সেবন করলে ধাতুদুর্বলতা দূর হয়।
উলট কম্বল
উলট কম্বলের ডগা কুচিয়ে গ্লাসে রাতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে আখের চিনি দিয়ে খেলে ধাতু পুষ্ট হ'য়ে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।
কাঁটা কুমােরে লতা+ছাগলের দুধ
কাটা কুমােরে লতার লালাভ লকলকে ডগা কুচিয়ে এক সের ছাগলের দুধের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন হবার পর নামিয়ে, ঐ বস্তু আঁখের চিনি ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সকালে সপ্তাহকাল সেবনে বীর্য বা ধাতু পুষ্ট হয় ও শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।
কাঁটা কুমােরের লতার ডগা
কাঁটা কুমােরে লতার ডগার কচি অংশ প্রত্যহ সকালে এক মাস যাবৎ চিবিয়ে খেলে শুক্র তারল্য দূর হ'য়ে শরীর সবল হয়। প্রত্যহ সকালে এবং সন্ধ্যায় দু'বারও এ ঔষধ খাওয়া যায়। এক সঙ্গে ৫/৭ টি ডগা চিবিয়ে খেতে হয়।
তুলসীর শিকড়
দৈনিক এক থেকে দু'কর পরিমিত তুলসী গাছের শিকড় পানের সঙ্গে চিবিয়ে খেলে ধাতু দুর্বলতা বা ধ্বজভঙ্গ রােগ আরােগ্য হয়।
ফরিদমুটির পাতা+আঁখের চিনি
ফরিদমুটির কয়েকটি পাতা পানিতে চটকালে যে দইয়ের মত জমাট দ্রব্য সৃষ্টি হয়, তা কয়েকদিন সকালে আঁখের চিনি মিশিয়ে খেলে ধাতু দুর্বলতা দূর হয়।
মধু-বেড়েলার ডগা+আঁখের চিনি
দৈনিক সকালে মধু বেড়েলার সাতটি ক'রে ডগা আঁখের চিনিসহ এক থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে বীর্য দুর্বলতা বা শুক্রতারল্য দূর হয়। (পরীক্ষিত ও ফলপ্রদ)
শিমুল গাছের মূল
কচি শিমুল গাছের নরম মূল কুচিয়ে পানিতে ভিজিয়ে আঁখের চিনি দিয়ে দৈনিক সকালে সাত দিন এক গ্লাস পরিমাণ পান করলে ধাতুপুষ্ট শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।
শিলাজুত
শিলাজুত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দৈনিক সকালে বাসি পেটে আঁখের চিনি মিশিয়ে সপ্তাহকাল সেবন করলে ধাতু দুর্বলতা দূর হয় ও শরীরে শক্তি বাড়ে।