লিঙ্গ ও অন্ডকোষ চুলকানি প্রদাহ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি

লিঙ্গের অগ্রভাগে ঘামাচির মত বিচি

কারাে কারাে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের খাঁজকাটা অংশের ত্বক মাঝে মধ্যেই ফেটে যায়, কষ ঝরে, লাল লাল গুটি বা ঘামাচির মতাে হয়। এর সমাধান কী?

সমস্যাটি যদি বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘটে তাহলে স্ত্রীকে Cap flugal ( 150mg ) ১ টি পর পর ২ দিন অর্থাৎ ২ টি ক্যাপসুল খাইয়ে দিতে হবে। কারণ স্ত্রীর যােনিতে ছত্রাক সংক্রমনের জন্য যৌনমিলনের পরবর্তীতে পুরুষাঙ্গে এ ধরনের সমস্যা ঘটতে পারে। অন্যথায় একজন চর্ম বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

অণ্ডথলিতে দানা

কারাে কারাে অণ্ডথলিতে মসুরের ডালের মতাে গােটা হয় যা চাপ দিলে সাদা পদার্থ বেরিয়ে আসে। এর চিকিৎসা কী?

এটি একটি সিস্ট (cyst) হবার সম্ভাবনাই বেশি। এ জাতীয় সিস্ট-এর চিকিৎসা ব্যবস্থা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে যেমন Electrocoagulation, cryo surgery অথবা surgical excision অর্থাৎ কেটে বাদ দেয়া। কোন পদ্ধতিটি প্রযােজ্য হবে তা এক্ষেত্রে একজন চর্মরােগ বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি তা নির্ধারণ করে দেবেন।

অন্ডকোষের ত্বকে প্রদাহ

অন্ডকোষের থলি থেকে এক প্রকার দুর্গন্ধযুক্ত মরা চামড়া উঠছে অনেকদিন ধরে। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?

এসব ক্ষেত্রে ভিটামিন বি-টু অর্থাৎ Riboflavin বেশ কাজে আসে। Riboflavin ট্যাবলেট দৈনিক ৩ বার করে ২ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যয়। অন্যথায় চর্মবিশেজ্ঞকে দেখিয়ে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

পুরুষাঙ্গে আঁচিল

কারাে কারাে পুরুষাঙ্গে আঁচিল হয়। এজন্যে অনেকে হােমিওপ্যাথি চিকিৎসা করান। হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ছাড়া আঁচিল দূর করা সম্ভব কি?

হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কখনাে কখনাে আঁচিল ভালাে হয় বটে, তবে এর একটি বিপজ্জনক দিকও আছে-তা হলাে আঁচিল ভালাে না হয়ে অতিরিক্তভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে। সুতরাং সব সময় হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আঁচিলের ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। Electro cautery বা cryo surgery করে এটি সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব। একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে যােগাযােগ করলে তিনি এ ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে আঁচিল দূর করে দেবেন।

লিঙ্গে ছোঁয়াচে রােগ

কারাে কারাে পেনিসের চামড়ায় হঠাৎ করে ২/১ টি জল গােটা হয়, ৭/৮ দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে যায়। গােটা থাকা অবস্থায় খুব ব্যথা হয়। এজন্য করণীয় কী?

অসুখটি হারপিস প্রােজেনিটালিস। এটি ভাইরাস জনিত রােগ। জ্বর ঠুটোর মত এটিও বার বার হয়। এটি ছোঁয়াচে। তাই এ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস ত্যাগ করতে হবে। নইলে গর্ভজাত সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। আক্রান্ত অবস্থায় ভাইরাক্স ক্রিম ২/৪ ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করতে হবে যত দিন সেরে না যায়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url