দাউদ চুলকানির চিকিৎসা ও ঔষধ পরামর্শ
অল্প দাউদ
অনেকের প্রায়ই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রথমে ফুসকুঁড়ির মতাে ওঠে এবং পরে আস্তে আস্তে তা রিং-এর মতাে গােলাকার রূপ ধারণ করে। এগুলাে খুব চুলকায়, চুলকালে কষ বের হয়। এর সমাধান কী?
এটি একটি ছত্রাক জনিত সমস্যা। যদি অল্প জায়গায় হয়ে থাকে তবে Conasyd cream নামক ওষুধটি প্রতিদিন রাতে ১ বার করে মাস খানেক ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। সমস্যাটা যদি বেশি হয় তাহলে মুখে ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে চর্মরােগ বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী দাউদ
শরীরে বিভিন্ন জায়গায় গােলকার দাগ রয়েছে। এই গােলাকার দাগের পরিধি বরাবর ছােট ছােট দানার মত পাশাপাশি অবস্থান করছে। গােলাকার দাগের মাঝখানের ত্বক তুলনামূলক মসৃন ও চকচকে। এগুলাে খুব চুলকায়, চুলকালে লাল হয়, কষ ঝরে। এ অবস্থায় দাউদ নিরাময়ের জন্য এন্টিফাংগালমলম ব্যবহার করেও লাভ হয়নি। এ অবস্থায় করণীয় কী?
এক্ষেত্রে মুখে এন্টিফাংগাল ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ওষুধটি সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়। বিশেষ করে লিভার ও কিডনির কাজ ঠিকমত না চললে এটি গ্রহণে ঝুঁকি আছে। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এটি গ্রহণ করা উচিত। শরীরে যেকোন স্থানের দাউদের জন্য ফুকোনাজল জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ফুকোনাজল উপাদানের ওষুধ প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মি . গ্রা . এর ১ টি ক্যাপসুল মােট ৪-৬ সপ্তাহ খেতে হবে। এতে দাউদ একেবার সেরে যাবে। কিন্তু পরবর্তীতে যেন এটি আর না হয় সেজন্য সর্তক থাকতে হবে। অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে। আর গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি না খাওয়াই ভাল।
শিশুর দাউদ
শিশুদের অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন- হাতে, পায়ে, বুকে পিঠে দাউদ দেখা দিয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে দাউদ মলমে না সারলে সেক্ষেত্রে করণীয় কী?
শিশুদের দাউদ মলমে না সারলে সেক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার এন্টিফাংগাল ওষুধ দেয়া যেতে পারে। এন্টিফাংগাল ওষুধের মধ্যে ফুকোনাজল উপাদান সমৃদ্ধ সাসপেনশন বয়সভেদে বিভিন্ন মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।
উল্লেখিত ছক অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ খাওয়াতে হবে। ওষুধটি বেশ কিছুদিন ধরে খেতে হয়। তবে কিডনি ও লিভারের কোন অসুখ থাকলে এটি খাওয়া যাবে না।