চুলকানি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ছুলি সমস্যায় করণীয়
কুঁচকিতে চুলকানি ও ভেজাভাব
অনেকেরই কুঁচকির দু'পাশ খুব চুলকায়, ভেজা থাকে ও সামান্য দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে পরিত্রানের উপায় কী?
এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্যে একটি অভ্যাস গড়ে তােলা জরুরী। সেটা হলাে যখনই আপনি বাসায় আসবেন, অর্থাৎ প্যান্ট ও আন্ডার ওয়াটার খােলার সাথে সাথেই প্রথম কাজটি হচ্ছে বাথরুমে গিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে কুঁচকি ধুয়ে তারপর শুকনাে কাপড় দিয়ে জায়গাটা মুছে ফেলা। এ অভ্যাসটি সারাজীবন চালু রাখতে হবে। এছাড়া Micosone cream নামক ওষুধটি রাতে শােবার সময় মাসখানেক মাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মলম ব্যবহারে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে মুখে খাওয়ার ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত স্থানটি শুষ্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে। সিনথেটিক অন্তর্বাস পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন তা বদলাতে হবে।
পায়ের আঙুলের ফাঁক ভেজা
অনেকেরই পায়ের আঙুলের ফাক ভেজা ভেজা থাকে। দু আঙুলের মধ্যস্থান সাদাটে হয়ে যায়। এজন্যে করণীয় কী?
সব সময় জুতাে পরে থাকলে পা ঘামতে পারে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকের পায়ের আঙুলের ফাকে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে। এ সমস্যার জন্যে আক্রান্ত স্থানটি এন্টি ফাংগাল ক্রিম লাগাতে হবে। পা শুকনাে রাখতে হবে। চিকিৎসাকালীন সময়ে জুতাে খুলে রাখতে হবে। সুতির মােজা পরতে হবে।
ছুলি সমস্যা
কারাে কারাে শরীরে বার বার ছৌদ বা ছুলি হয়। এর কোন স্থায়ী সমাধান আছে কি?
ছৌদের জন্যে দায়ী যে ছত্রাক তা প্রতিটি মানুষের ত্বকেই থাকে, তবে সবারই অসুখ হিসেবে দেখা দেয় না। যাদের এই ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ ক্ষমতা কম তাদেরই এটা রােগ হিসেবে দেখা দেয়। সুতরাং একবার যাদের ছৌদ হয় তাদের বারবার হবার আশংকা থাকে। তবে যখন এটা হবে তখন Selsun শ্যাম্পু গােসলের ১০ মিনিট আগে মেখে, সপ্তাহ দুয়েক গােসল করলে ছৌদ ভালাে হয়ে যাবে। প্রতিবারই হওয়ার পর ধৈর্যসহকারে এই চিকিৎসা নিতে হবে।
শাড়ির বাধনে কোমরে ঘা
অনেক মহিলার কোমরে শাড়ি আটকানাের অঞ্চল জুড়ে ঘা’র মতাে হয়। কিছু কিছু স্থান কালচে রং ধারণ করে। স্থানটি খুব চুলকায়। এ থেকে পরিত্রানের উপায় কী?
কোমরে শাড়ি বা সালােয়ার আঁট সাঁট করে বাঁধার জন্যে ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকের উপর চাপ-পড়ার কারণে ডার্মাটাইটিস বা ত্বকের প্রদাহ হয়। বেশিদিন ধরে এই প্রদাহ হলে তা একজিমায় পরিণত হয়। কাজেই কোমরে আঁটসাঁট করে শাড়ি পেঁচানাে যাবেনা কিংবা খুব টাইট করে সালােয়ারের ফিতা আটকানাে যাবেনা। কোমরের বাঁধন ঢিলেঢালা করে রাখতে হবে। ঘা যুক্ত স্থানে এন্টিবায়ােটিক ক্রিম লাগাতে হবে। এছাড়া চুলকানির জন্যে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।