শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ও হাত পা ঘামার ওষুধ

শ্বেতীর চিকিৎসা আছে কি?

শরীরের দু'একটি জায়গা যেমন হাত, পা, ঠোটে সামান্য শ্বেতীরােগ দেখা দিয়েছে। এর কোন কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি আছে কি?

শ্বেতী রােগের চিকিৎসা অনেকভাবে করা যায়। তবে তা নির্ভর করে রােগের স্থায়িত্বের উপর। শ্বেতীর খুব বেশি কার্যকরী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় এ রােগের বিস্তার রােধ করা সম্ভব হতে পারে লিভামিজল ' নামক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে। এটি এক ধরনের কৃমির ওষুধ। তবে ওষুধটি একটু বেশি মাত্রায় গ্রহণ করতে হয় বলে চর্ম বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে খাওয়াই ভাল। বিস্তার বন্ধ হওয়ার পর ত্বকের সাদা দাগ ওষুধ প্রয়ােগে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। এসব কিছুর জন্য রােগীকে ধৈর্যশীল হওয়া দরকার। শ্বেতীর বিস্তার প্রতিরােধে অনেক শ্বেতীরােগীর চিকিৎসাক্ষেত্রে Meladinine, Placentrex ইত্যাদি ব্যবহারের পরেও রােগ দ্রুত বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে সমাধান কী? যদি Meladinine কিংবা Placentrex ব্যবহারের পরেও শ্বেতী বেড়ে যায় তাহলে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে Levamisol নামক ওষুধ (এক ধরনের কৃমির ওষুধ) নির্দিষ্ট নিয়মে খেলে শ্বেতীরােগের বিস্তার রােধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধটি শুরু করতে হয় এবং ওষুধ চলাকালীন অবস্থাতেও বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নিতে হয়।

শ্বেতী কি ছোঁয়াচে?

শ্বেতী রােগকে অনেকেই সংক্রামক বা ছোঁয়াচে ভেবে ভয় পান। শ্বেতী রােগীর সঙ্গে কোলাকুলিতে করমর্দনে অর্থাৎ স্পর্শে কি এই রােগ অন্যের মাঝে ছড়ানাের আশংকা আছে?

না কোলাকুলি, করমর্দন কোন ধরনের সহাবস্থানে এই রােগ একজন থেকে অন্য জনে ছড়ায় না। এরােগ কোন জীবাণু দ্বারা হয়না। সুতরাং সংক্রমিত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে। কাজেই শ্বেতী রােগীকে অযথা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। হাতের চামড়া ওঠা অনেকেরই হাতের আঙুলের চামড়া ফেটে উঠে যায়। এটাকি আর্সেনিকের বিষক্রিয়া না অন্যকিছু। • না, আর্সেনিকের প্রভাবে চামড়া ফাটেনা। এটা হতে পারে সােরিয়াসিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস বা অন্য কোনাে চর্ম সমস্যায়। এ রকম হলে একজন চর্মরােগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে চিকিৎসা নেয়াই উত্তম।

অতিরিক্ত হাত পা ঘামা

অনেকের হাত পা অতিরিক্ত ঘামে -এর চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?

যাদের হাত পা অতিরিক্ত ঘামে, তাদের একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত এ সমস্যাটি থেকেই যায়। হাত পা ঘামা বন্ধ করার স্থায়ী কোনাে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ২০% এ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট ইন এ্যালকোহল নামক ওযুধটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করে ভালাে থাকা যায়। এক নাগাড়ে এক মাস রাতে শােয়ার সময় এই মলমটি হাতে পায়ে মেখে শুতে হবে। পরবর্তীকালে এক সপ্তাহে একবার মাখতে হবে। ওষুধটি ব্যবহারে কিছুটা জটিলতা আছে বিধায় তা ব্যবহারের আগে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url